ভাষাসৈনিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমদ রফিক রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে প্রবীণ এই বুদ্ধিজীবীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছেন। বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। কিডনির সমস্যার পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকবার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’-এর শিকার হয়েছেন তিনি।এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাকে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় গত রবিবার তাকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে অবস্থানকালে গত ১৩ বা ১৪ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন। বর্তমানে সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রাবন্ধিক ইতিহাসবিদ এই লেখক শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা। ২০১৯ সাল থেকে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করলে অস্ত্রোপচার করা হলেও ফল আশানুরূপ হয়নি। ২০২৩ সাল থেকে তিনি প্রায় দৃষ্টিহীন।এর আগে, ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে যেতে থাকে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী মহল আহমদ রফিকের উন্নত চিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৪৬ এএম
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক ফের হাসপাতালে
আবারও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর একদিন আগেই শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছিলেন তিনি।আহমদ রফিকের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল কালাম জানান, ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে যায়। এরপর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যায়। অসুস্থতার কারণে লেখালেখি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি মানসিকভাবেও বেশ দুর্বল হয়ে পড়েন। ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করছে বলেও জানান আবুল কালাম।আহমদ রফিকের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল সাদী গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। চিকিৎসক বলেছিলেন, হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। উল্টো সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। তাই তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।ভাষাসৈনিক ও বিশিষ্ট লেখক আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ২০০৬ সালে আহমদ রফিকের স্ত্রী মারা যান। এর পর থেকে নিঃসন্তান এই কবি ও লেখক বাসায় একাই থাকেন। তার লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও পদক পেয়েছেন আহমদ রফিক। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে পেয়েছেন ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।ভোরের আকাশ/তা.কা
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৭ এএম
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক হাসপাতালে ভর্তি
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সোমবার ( ১৮ আগস্ট) সকালে ল্যাবএইড গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. এ এম শামীম জানান, আহমদ রফিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তার কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত।কবি ও বহুমাত্রিক লেখক, রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক অসুস্থ অবস্থায় নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরে ভাড়া বাসায় একাই ছিলেন।জানা গেছে, বেশ কিছুদিন থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল সাদী। তিনি জানান, আহমদ রফিকের দেখভাল করেছেন ব্যক্তিগত সহকারী আবুল কালাম।আহমেদ রফিকের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে এসেছিল ২০১৯ সাল থেকেই। সে বছর চোখে অস্ত্রোপচার করলেও অবস্থার বেশি হেরফের হয়নি। ২০২৩ সাল থেকে প্রায় দৃষ্টিহীন।ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল কালাম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভাঙার পর থেকেই আহমদ রফিকের অবস্থা বিশেষ ভালো যাচ্ছিল না। এর মধ্যে দৃষ্টি হারানোর পর লেখালেখি বন্ধ হওয়ায় খুবই মানসিক কষ্টে ছিলেন।উল্লেখ্য, আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন ২০০৬ সালে। তিনি নিঃসন্তান। নিজের লেখা ও সংগ্রহ করা বিস্তর বই ছাড়া সম্পদ বলতেও কিছু নেই। কবিতা, প্রবন্ধ, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, গবেষণা মিলিয়ে তার লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক।সর্বশেষ বই, ভারত-পাকিস্তান বাংলাদেশ কথা ও প্রবন্ধগ্রন্থ শিল্প-সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের অমর একুশের বইমেলায়। রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ হিসেবে আহমদ রফিক দুই বাংলায় অগ্রগণ্য। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে পেয়েছেন ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি। দেশে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও পদক পেয়েছেন বহুগুণে গুণান্বিত এই মানুষটি।সম্প্রতি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তরফে সংস্কৃতি উপদেষ্টা পাঁচ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছিলেন তাকে।ভোরের আকাশ/জাআ