পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে শ্রমিকের মৃত্যু, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাইফুল মোল্লা (৩৫) নামে এক আইস ফ্যাক্টরির শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (৭ জুলাই) ভোর ৫ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।সাইফুল মোল্লা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস মোল্লার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি আইস ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্বজন ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায়ও কাজে যোগ দিয়েছিলেন। দুই দিন আগে কর্মস্থলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। এরপর তাঁকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়।পাথরঘাটা উপজেলায় চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু হলো। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজার ৫২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারিভাবে জেলায় ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও, বিভিন্ন বেসরকারি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের কেউ কেউ স্থানীয় হাসপাতালে, কেউবা ঢাকা বা অন্যান্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালের সিঁড়ি, বারান্দা এমনকি রিসেপশন কক্ষেও রোগীদের বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও মাঠপর্যায়ে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিচার প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করতে বরগুনার পাথরঘাটায় অনুষ্ঠিত হলো বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের জন্য এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল ৪টায় পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা, নৈতিকতা, দাপ্তরিক আচরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিশেষত বিচারিক কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ ও আধুনিক প্রশাসনিক কৌশল নিয়ে উপস্থিত কর্মচারীদের হাতে-কলমে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।সভাপতির বক্তব্যে এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ বলেন, “বিচার বিভাগে সাধারণ জনগণের আস্থা গড়ে তুলতে দক্ষতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মচারীদের পেশাগত উৎকর্ষ নিশ্চিত করে, যা বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করে তোলে।”কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিতভাবে আয়োজনের আহ্বান জানান।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি একরাম হোসেন, পাথরঘাটা পৌরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর ফারুক আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/আজাসা
০৩ জুলাই ২০২৫ ০৭:৪০ পিএম
ইলিশের আশায় সমুদ্রে জেলেরা, ফিরছেন খালি হাতে
দীর্ঘ ৫৮ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মেলেনি—ফিরে এসেছেন খালি হাতে অনেক জেলে। বরগুনার পাথরঘাটা উপকূলের হাজারো মৎস্যজীবী এখন চরম অর্থসংকটে দিন পার করছেন। তীরে বসে কাটানো দুঃসহ অবরোধকাল পেরিয়ে মাছের আশায় সমুদ্রযাত্রা হলেও ফলাফল হতাশাজনক।বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর এখনো উত্তাল। জেলেরা ট্রলার নিয়ে তীরে বসে আছেন দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নদী ও সাগরের মাছনির্ভর পরিবারগুলো।পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ শেষে ১২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত মোট ১৩৬ মেট্রিকটন মাছ অবতরণ হয়েছে। এর মধ্যে ইলিশ মাত্র ৫১ মেট্রিকটন। অন্যান্য প্রজাতির মাছ ৮৫ মেট্রিকটন। এই সময়ে সরকার পেয়েছে ৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০ টাকা অবতরণ চার্জ, যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম।স্থানীয় জেলে সুলাইমান ফরাজী বলেন, “৫৮ দিন মাছ ধরতে পারিনি। ধার-দেনা করে সংসার চলেছে। এখন মাছ ধরতে গিয়ে কিছুই পাইনি। কীভাবে চলবে পরিবার?”জেলেদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই পেশার সঙ্গে জড়িত থেকেও তারা সরকারি কোনো সহায়তা পান না। বরং সমুদ্রযাত্রায় ডাকাতির ভয় প্রতিনিয়ত তাড়া করে।ট্রলার মালিক নূর মোহাম্মদ ফরাজী বলেন, “লাখ লাখ টাকার বাজার নিয়ে ট্রলার পাঠিয়ে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। জুন-সেপ্টেম্বর সময়টা ইলিশ মৌসুম হলেও এবারের শুরুটা অত্যন্ত হতাশাজনক।”পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন, এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। তবে সাম্প্রতিক বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই সমুদ্রে যেতে পারছেন না। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, সমুদ্র এলাকায় পানির স্তর বেড়েছে এবং সেখানে পর্যাপ্ত ইলিশও রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরবেন।”জেলেপল্লিতে এখন অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তা। স্থানীয়দের দাবি, দুর্দশাগ্রস্ত জেলেদের জন্য দ্রুত সরকারিভাবে পুনর্বাসন ও খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা দরকার। একই সঙ্গে উপকূলীয় নিরাপত্তা ও আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
০২ জুলাই ২০২৫ ০৩:০২ পিএম
পাথরঘাটায় বর্ষার মাঝেও রাস্তা পিচ ঢালাই, স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। এরই মধ্যে কাঁঠালতলী ইউনিয়নের প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সরকারি গ্রামীণ সড়কে কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে সড়কের ওপর দেওয়া প্রাইম কোট ধুয়ে গেলেও নতুন করে তা না দিয়ে গরম পিচ ঢালাই করায় সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকেই।সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁঠালতলী বাজার থেকে পরিঘাটা পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি সরিয়ে শ্রমিকরা পিচ ঢালাই করছেন। এলজিইডির কোনো কর্মকর্তা কাজের সাইটে উপস্থিত ছিলেন না।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৬ টাকায় সিকদার ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি পেয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে, তবে সময় বাড়িয়ে তা এখন ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত করা হয়েছে। কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়কের দুই পাশে মাটি ঠিকমতো ভরাট হয়নি এবং খোয়ায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে এমন পরিস্থিতিতে কাজ চালানোর ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁরা প্রশাসনের দ্রুত তদারকির দাবি জানিয়েছেন।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিকদার ট্রেডার্সের মালিক মনির জোমাদ্দার বলেন, “কাজ শুরু করার সময় বৃষ্টি ছিল না, পরে বাধ্য হয়ে কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমরা নিয়ম মেনে কাজ করছি।”পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী সমিরন মন্ডল জানান, “বৃষ্টির মধ্যে কাজ করা ঠিক নয়। আমাদের লোক কাজের জায়গায় যাওয়ার আগেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। যে মাল ঢালা হয়েছিল, তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগের কাজের মান নিয়ে তদন্ত চলছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”স্থানীয়রা মনে করেন, প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি ও কঠোর তদারকি ছাড়া পাথরঘাটার কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না।ভোরের আকাশ/জাআ
৩০ জুন ২০২৫ ০১:৪৫ পিএম
পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহকারীর মৃত্যু
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সিরাজুম মুনিরা (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক জুয়েলের দাপ্তরিক সহকারী (সিএ-২) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।শনিবার (২৮ জুন) সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে প্রাণ হারালেন দুই নারী।নিহত সিরাজুম মুনিরা উপজেলার ৩ নম্বর চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের বাসিন্দা।পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শুরু করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পথেই তার মৃত্যু হয়।এর আগে গত ২৪ জুন কালমেঘা ইউনিয়নের ছোট পাথরঘাটা গ্রামের গৃহবধূ সাধনা রানী (৩৫) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার স্কুলপড়ুয়া ছেলেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে এখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে বরগুনা জেলাকে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ ঘোষণা করা হয়েছে। যদি এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে পাথরঘাটাও যে কোনো সময় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি আলাদা ওয়ার্ড খোলা হলেও চিকিৎসক ও জনবল সংকট প্রকট। ২৭টি অনুমোদিত চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র একজন চিকিৎসক, যিনি একজন দন্ত চিকিৎসক (ডেন্টিস্ট)। এই সীমাবদ্ধতার কারণে বেশিরভাগ রোগীকেই বরিশালে রেফার করা হচ্ছে।স্থানীয়রা বলছেন, মশক নিধন কর্মসূচি ও প্রচার প্রচারণা থাকলেও চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন দৈন্যদশায় মানুষ বাড়িতে বসেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, ওষুধ সরবরাহ, ফগিং কার্যক্রম জোরদার ও জনগণকে সচেতন করতে মাঠপর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালানোর দাবি উঠেছে।ডেঙ্গুতে দুই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয়দের প্রশ্ন, আর কত প্রাণ গেলে নড়বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ?ভোরের আকাশ/জাআ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোট পাথরঘাটা গ্রামের সাধনা রানী (৩৫) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) মধ্যরাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার স্কুলপড়ুয়া ছেলের অবস্থাও বর্তমানে আশঙ্কাজনক এবং তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগে বরগুনা শহরে প্রয়োজনীয় কাজে গেলে সেখান থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন সাধনা রানী। অসুস্থ হলে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়, পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। ইতোমধ্যে বরগুনা জেলাকে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ ঘোষণা করা হয়েছে, আর সচেতন নাগরিকদের মতে পাথরঘাটাও এখন সেই চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।সাধনা রানীর মৃত্যু যেন পাথরঘাটার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের অভিযোগ—পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রায় নেই বললেই চলে। ২৭ জন চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক, যিনি মূলত একজন দন্ত চিকিৎসক (ডেন্টিস্ট)।যদিও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে, তবু চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে সেখানে রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা। ফলে অধিকাংশ রোগীকেই বরিশাল পাঠাতে হচ্ছে বা বাড়িতে থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।পাথরঘাটা পৌর শহরের ইমান আলী সড়কের বাসিন্দা মাওলানা জাকির হোসেনের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে তাকওয়াও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক না থাকায় বাড়িতেই চিকিৎসা দিতে হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশালে রেফার করা হয়।স্থানীয়রা বলছেন, শুধু মশা মারার ফগিং করলেই চলবে না, চাই দ্রুত ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ। চিকিৎসক নিয়োগ, জরুরি ওয়ার্ডে সেবার মান উন্নয়ন, ওষুধ সরবরাহ এবং মশা নিধন অভিযান আরও জোরদার করতে হবে।সাধনা রানীর মৃত্যুতে তার পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে ছেলের জীবন রক্ষার যুদ্ধ—দ্বিগুণ দুঃখে ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা।ভোরের আকাশ/জাআ
২৬ জুন ২০২৫ ০৯:৫১ পিএম
পাথরঘাটায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন
“প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনার পাথরঘাটায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই ছিল এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজন করা হয় দিবসটি। এ সময় র্যালি, মানববন্ধন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন বাস্তবায়ন করে সুন্দরবন যুব ফোরাম। এতে সহযোগিতায় ছিল রূপান্তরের সুন্দরবন প্রকল্প।এ সময় তারুণ্যের বাংলাদেশ যুব সংস্থার সদস্যরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তিনি পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ হাতে তুলে দিয়ে প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান জানান।তিনি বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ শুধু প্রকৃতি নয়, আমাদের স্বাস্থ্যকেও হুমকির মুখে ফেলছে। এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ হতে পারে উত্তম সমাধান।”অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মহসিন হোসেন, বরগুনা জেলা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য শফিকুল ইসলাম খোকন, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিন সোহেল, রূপান্তর ইকো সুন্দরবন প্রকল্পের ফেসিলিটেটর মো. ইমরান হোসাইন, সাংবাদিক সাকিল আহমেদ, সুন্দরবন যুব ফোরামের আহ্বায়ক ইমরান হোসেনসহ অন্যান্যরা।সভার বক্তারা বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণই হতে পারে পরিবেশ রক্ষার মূল চাবিকাঠি।ভোরের আকাশ/জাআ
২৬ জুন ২০২৫ ০৯:১৬ পিএম
পাথরঘাটায় নতুন ভবনে চৌকি আদালতের কার্যক্রম উদ্বোধন
বরগুনার পাথরঘাটায় চৌকি আদালতের (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) অস্থায়ী ভবনে বিচার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।বুধবার (২৫ জুন) নতুন এই ভবনের উদ্বোধন করেন বরগুনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল আলম।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী, স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে নির্মিত এ ভবন থেকে বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পাথরঘাটার বিচারপ্রার্থীদের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এতে বিচারপ্রক্রিয়া আরও গতি পাবে এবং আইনি সেবা আরও সহজলভ্য হবে বলে মত দেন সংশ্লিষ্টরা।ভোরের আকাশ/আজাসা
২৫ জুন ২০২৫ ০৭:৫১ পিএম
বিষখালী নদী বর্জ্যে আচ্ছন্ন: পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কায় পাথরঘাটা
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫ টনের বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হলেও এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত কোনো ডাম্পিং স্টেশন কিংবা বর্জ্য পরিশোধনাগার গড়ে ওঠেনি। ফলে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সরাসরি বিষখালী নদীর তীরে। এতে নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মশার উপদ্রব, দুর্গন্ধ এবং পানিবাহিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের জীবনযাত্রা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।পাথরঘাটা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে, দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে উন্নীত হয় ২০১২ সালে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস এই পৌর এলাকায়। কিন্তু গত তিন যুগেও পৌর কর্তৃপক্ষ একটি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ট্রাকে করে এনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাঁধ সংলগ্ন নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, খোলা পরিবেশে স্তূপ করে রাখা বর্জ্যে কাক, কুকুর, মুরগি ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুর্গন্ধে পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া এসব ময়লা বিস্তৃত এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষখালী নদী এখন অঘোষিত ভাগারে পরিণত হয়েছে। পানি ব্যবহার করেও রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।বেরিবাঁধ লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, আগে সন্ধ্যাবেলা নদীপাড়ে বসে থাকতাম, এখন দুর্গন্ধে দাঁড়ানো যায় না। টিউবওয়েলের পানিতেও দুর্গন্ধ পাচ্ছি। পরিবারে সবাই রোগে ভুগছে।নিলুফা বেগম বলেন, আগে এখানে মানুষ ঘুরতে আসতো, এখন কেউ আসেই না। শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।সমাজ উন্নয়নকর্মী মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন, পৌরসভার বয়স ৩৬ বছর হলেও আজও একটি বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হয়নি। বিকেলে শহরের মানুষ একটু স্বস্তির জায়গা খুঁজে নদীপাড়ে আসে, এখন সে জায়গাটাও দখল করেছে পৌরসভার ময়লা। অথচ পৌরসভার উন্নয়নের নামে শত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বারবার।পরিবেশবিদদের মতে, বিষখালী নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় জলাধার। এখানে বর্জ্য ফেলা হলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়, জলজ প্রাণীর প্রজনন ও অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে এবং নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষের জীবনঝুঁকি বাড়ে।পাথরঘাটা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্ধারিত একটি জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান আছে। ডাম্পিং স্টেশন নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে সরকারি একটি জায়গায় বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। তবে পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয়, সেজন্য বর্জ্য ফেলার পর তা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন, দীর্ঘকাল ধরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কেন এখনো একটি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা গেল না? বিষখালী নদী একসময় ছিল মানুষের জন্য প্রশান্তির আশ্রয়, আজ তা পরিণত হয়েছে এক দুঃসহ বাস্তবতায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৭ জুন ২০২৫ ০৫:৪৩ পিএম
জামায়াত প্রার্থী পাথরঘাটায় আগমন উপলক্ষে জনসভা অনুষ্ঠিত
বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. সুলতান আহমেদের আগমন উপলক্ষে এক বিশাল নির্বাচন জনসভার আয়োজন করেছে পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াত। বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. সুলতান আহমেদের আগমন উপলক্ষে এক বিশাল নির্বাচন জনসভার আয়োজন করেছে পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াত।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মসজিদের ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মাসুদুল আলমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সুলতান আহমেদ বলেন, "দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, নৈতিক নেতৃত্ব এবং ইসলামভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে জামায়াত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনসাধারণের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।"প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যোগ্য ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন নেতৃত্ব চায়, আর সেই নেতৃত্ব দিতে সক্ষম জামায়াত।"অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান আল মামুন, সহকারী সেক্রেটারি মো. শামীম আহসান, বেতাগী উপজেলা আমির মো. সাইদুল ইসলাম সোহরাব, বামনা উপজেলা আমির হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান, বরগুনা জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুমন আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ড. শাহ আলম এবং পাথরঘাটা পৌর আমির মাওলানা বজলুর রহমান।সমাবেশে বক্তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সহনশীলতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
১২ জুন ২০২৫ ০৯:০৬ পিএম
পাথরঘাটায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত পক্ষকালব্যাপী (৫-১৯ জুন ২০২৫) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (৬ জুন) কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়কপাশ ও জনবহুল এলাকায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়।পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় ছাত্রনেতারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ পাথরঘাটা উপজেলা শাখার সভাপতি এম মাহমুদুল হাসান জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইমাম হাসান, স্কুল সম্পাদক মুহা. আব্দুল্লাহ্ জুবায়েরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।নেতৃবৃন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে গাছ লাগানো অন্যতম কার্যকর উদ্যোগ।এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিত চলবে বলেও তারা জানান।ভোরের আকাশ/জাআ