পাথরঘাটায় দীর্ঘদিনের পানি সংকটে অতিষ্ঠ পৌরবাসী
স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের গোলচত্বর। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দীর্ঘদিনের পানি সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধনে নামেন পৌরবাসী। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা পর্যন্ত হাজারো মানুষ অংশ নেন।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, পৌরসভা নিয়মিত ট্যাক্স ও পানির বিল আদায় করলেও নাগরিকরা পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চারটি পাম্প থাকলেও দুটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল, আর কার্যকর দুটি দিয়ে পর্যাপ্ত চাপ তৈরি না হওয়ায় সাপ্লাই লাইন দিয়ে বাসাবাড়িতে পানি পৌঁছায় না।পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী শিকদার বলেন, “রূপদান থেকে পানি উত্তোলনের জন্য যে পাইপের বরাদ্দ ছিল, সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন সেটি আত্মসাৎ করে নিম্নমানের পাইপ বসান। কিছু অল্প টাকা দিয়ে করা সেই পাইপ এক বছরের মধ্যেই জং ধরে নষ্ট হয়ে যায়। এর ভুক্তভোগী আমরা পৌরবাসী।”উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান সাহেদ বলেন, “নাগরিক সেবার মধ্যে পানিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে পানি পাচ্ছে না। আমরা প্রশাসককে অবহিত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। শুধু মুখে বলেন চেষ্টা করছি, কিন্তু বাস্তবে কোনো চেষ্টা নেই। যদি দ্রুত সমাধান না হয়, আমরা পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হব। আমাদের ন্যায্য অধিকার বুঝিয়ে দিতে হবে—ধোঁকাবাজি আর চলবে না।”ছবি: ভোরের আকাশএ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক ফাহিম, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন ইসমে, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লিম খলিফা এবং উপজেলা বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাদের খান।ভুক্তভোগী মুজিবুর রহমান কালু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে পানির বিল দিচ্ছি, অথচ পানির মুখ দেখি না। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। যদি দ্রুত পানি না মেলে, আমরা পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হব।”এতে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, পানি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আশ্বাস দেন, অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা