চুয়াডাঙ্গায় এনজিও ঋণের বোঝা সইতে না পেরে আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এনজিও ঋণের বোঝা সইতে না পেরে শামীমুর রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। সে চুয়াডাঙ্গা সদরের পৌরসভা পাড়ার মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শামীমুর রহমান বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে রোববার ভোরে নিজ বাড়ির শোবার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।নিহতের স্ত্রীর ভাই মসলেম উদ্দিন বলেন, শামীমুর রহমান বিয়ের পর থেকে দামুড়হুদায় বসবাস করতো। আমরা তাদেরকে জমি দিয়ে বসবাস করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। সে কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এর কিছু সময় পর সে মারা যায়।দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো হুমায়ুন কবির বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/জাআ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৫ পিএম
জীবননগরে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোরচক্রের দু'জনকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজত হতে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।গ্রেফতারকৃতরা হলো, জীবননগর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. হাসিব হোসেনকে (২১) ও ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার লাউতলা বড় ঘিঘাটি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. ছায়ার হোসেনকে (২৪)।শনিরাব (১৩ সেপ্টেম্বর) জীবননগর থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত দু'জনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।পুলিশ জানায়, জীবননগর উপজেলার সদরপাড়া গ্রামের মো. রহিদুল ইসলামের ছেলে মো. তাকবীর হোসেনের একটি মোটরসাইকেল গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টার সময় তার জীবননগরের গ্যারেজ থেকে চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনার পর জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে এসআই মো. মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার সময় জীবননগর উপজেলার বিজিবি ক্যাম্পের সামনে রাস্তার উপর থেকে চোরাইকৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।এ সময় জীবননগর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. হাসিব হোসেনকে (২১) গ্রেফতার করে। পরে হাসিব হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার লাউতলা বড় ঘিঘাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. ছায়ার হোসেনকে (২৪) গ্রেফতার করে।এ সময় পুলিশ ছায়ার হোসেনের হেফাজতে থাকা ২টি ডায়াং ৮০ সিসি মোটরসাইকেল ও ১টি ভিক্টর ১০০ সিসি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৩৩ এএম
জীবননগর সীমান্তে ১১ নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিজিবির হাতে তুলে দিলো বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে আটক ১১ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সীমান্তের ৬১/৭ এস পিলারের সন্নিকটে অনুষ্ঠিত এ পতাকা বৈঠকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ বেনীপুর বিওপির কোম্পানী কমান্ডারের হাতে তাদেরকে তুলে দেন।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজিবি তাদেরকে জীবননগর থানায় সোপর্দ করেছে।আটককৃতরা হচ্ছেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলার বড়শিকারপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে মিঠুন মন্ডল (৪৪), স্ত্রী কবিতা মন্ডল (৩৮), তিন মেয়ে অনিকা মন্ডল (১৭), অন্তরা মন্ডল (১২) ও মিষ্টি মন্ডল (৯), মাগুড়া জেলার শালিখা উপজেলার ছাবড়ী গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের ছেলে প্রবীন বিশ্বাস (৩৯), স্ত্রী অপর্না বিশ্বাস (৩৬) ও মেয়ে প্রিয়সী বিশ্বাস (১০), ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের সিরাজ হাজারী বাড়ি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সোহাগী আক্তার (৪০), ঢাকার কোতয়ালী থানার আহসানুল্লাহ রোডের বাসিন্দা আল আমিনের স্ত্রী মীম (১৯) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে তাসলিমা (৪১)।মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১১জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ১৯৪ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ ১১জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে। আটকৃতরা বিএসএফকে জানায় তারা অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং মুম্বাই শহরের বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীসহ দিন মজুরের কাজ করতো। দেশে ফেরার পথে তারা বিএসএফের হাতে আটক হয়। আটককৃতদের নাম-ঠিকানা ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ বেনীপুর বিওপিকে অবগত করে আটককৃত বাংলাদেশিদের ফেরত নেয়ার নেওয়ার জন্য। বুধবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সীমান্তের ৬১/৭ নং এস পিলারের সন্নিকটে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ আটক ১১জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বেনীপুর কোম্পানী কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. ওবায়দুল্লাহর হাতে তুলে দেয়।জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিজিবি ১১জন বাংলাদেশিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী নিহত, আহত ৭
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সংঘর্ষের একজন নিহত হয়েছেন। এসময় ইজিবাইকচালকসহ একই পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন।বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের নয়মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত সাহার আলী (৪৮) সদর উপজেলার পুরাতন ভান্ডারদহ গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে।আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের পুরাতন ভান্ডারদহ গ্রামের মৃত, মুনছুর আলীর ছেলে এবং নিহত সাহার আলীর বড় ভাই আশরাফুল হক (৫৫), জামাত আলীর স্ত্রী বেবী খাতুন (৫০) সাহার আলীর স্ত্রী শেফালী খাতুন (৪০) জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী পারভীনা আক্তার (৪৫) রুহুল আমিনের স্ত্রী, জুরিমা খাতুন (২৭) এবং একই উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মকছেদ আলীর ছেলে ইজিবাইকচালক শুকুর আলী (৬৫)। এরমধ্যে ইজিবাইকচালক বাদে সবাই একই পরিবারের সদস্য।আহতরা জানান, বিকেলে একই পরিবারের সাতজন সদস্য এক আত্মীয়ের মরদেহ দেখতে ইজিবাইকযোগে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা এলাকায় যাচ্ছিলাম। এ সময় নয়মাইল নামকস্থানে পৌঁছালে একটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহার আলী মারা যায়। আমাদের সঙ্গে একটি শিশু ও ছিল। ইজিবাইকচালকসহ আমরা সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করা চালায়। ট্রাক এবং ইজিবাইক সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সাহার আলী নামের একজন মারা গেছেন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পৌছে দেয়া হয়েছে।সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, আহতদের মধ্যে জুরিমা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৩০ পিএম
দামুড়হুদায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় জিহাদ নামের এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।নিহত জিহাদ (১৬) পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ৩১ আগস্ট রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা কাউন্সিল মোড় এলাকায় মুজিবনগর-কার্পাসডাঙ্গা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল মোড় ঘুরতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে জিহাদ ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৫টার দিকে জিহাদের মৃত্যু হয়।এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যদি অপমৃত্যুর মামলা হয়, তবে তা রাজশাহীতেই হবে। ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৩৬ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে চুয়াডাঙ্গায় আল মিরাজ ও বাবা তৈয়ব আলীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ভালাইপুর মোড়ের অদূরে পোলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।প্রথমে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই ছেলের মৃত্যু হয়। পরে জখম বাবাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।এদিকে, ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ অভিযুক্ত হাসান আলী বাবু (৪৩) ও রাজীব হাসান রাজুকে (৩২) ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তৈয়ব আলী ও তার ছেলে মিরাজের সঙ্গে আপন ভাতিজা বাবু এবং ভাগ্নে রাজুর বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।মঙ্গলবার দুপুরে তৈয়ব আলী ও তার ছেলে মিরাজ মাঠে চাতালে পাট শুকাচ্ছিল। এসময় হঠাৎই বাবু ও রাজু তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মিরাজ নিহত হন এবং তৈয়ব গুরুতরভাবে আহত হন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।আলুকদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আল বেলাল জানান, শরিকের জমি নিয়ে কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত আজ এই ঘটনা ঘটেছে।চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, জমি জমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাবু ও রাজুকে আটক করেছি। বর্তমানে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:৩০ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারী আটক
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা সীমান্ত থেকে ৮টি স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে দর্শনার ছয়ঘড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আজ দুপুর সারে ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়ন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আটককৃতরা হলো, দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল মমিন (৪৯), মৃত খোদা বক্সের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৭)।প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছয়ঘড়িয়া সীমান্তে অবস্থান নেয় টহল দল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে দুইজনকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে থামার সংকেত দিলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে আটক করা হয়। এ সময় আব্দুল মমিনের কোমরে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানান, জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ১ কেজি ১৬২ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক আসামিদের থানায় হস্তান্তর এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৫ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়ায় জমিজমা বিরোধের জেরে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলোকদিয়া-ভালাইরপুরের চুলকানিপাড়ায় তুফানের চাতালের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- আলোকদিয়া গ্রামের বাজারপাড়ার বাসিন্দা তৈয়ব আলী (৪৫) ও তার ছেলে মিরাজ (১৬)। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাজু ও বাবুকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তৈয়বের সঙ্গে তাদের আপন ভাতিজা একই এলাকার দুখমিয়ার ছেলে বাবুর (৪৩) জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মেটানোর জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।আজ বেলা ১২ টার দিকে মিরাজ এবং তার বাবা আলোকদিয়া নতুনপাড়া পোলের মাঠের চাতালে পাট শুকাচ্ছিলেন। তখন বাবু এবং রাজু তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মিরাজ নিহত হন এবং তার বাবা তৈয়ব মারাত্মকভাবে জখম হন।আহত তৈয়বকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাবু ও রাজুকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।ভোরের আকাশ/তা.কা