তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১১:৩৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত
রাইড-শেয়ারিং জায়ান্ট উবার এক নতুন যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রোবোট্যাক্সি প্রযুক্তির বাণিজ্যিক বিস্তার ঘটাতে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে প্রাইভেট ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর সঙ্গে অর্থায়ন সংক্রান্ত আলোচনা চালাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও দারা খসরুশাহি জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে স্বচালিত ট্যাক্সির ব্যবসা মডেলকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে তার বিস্তার ঘটানো।
খসরুশাহি জানান, উবারের রোবোট্যাক্সি কৌশলের তিনটি ভিন্ন মডেল রয়েছে।
ভাড়া ভিত্তিক মডেল: যেখানে পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি গাড়ি অনুযায়ী নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করা হবে।
রাজস্ব ভাগাভাগি মডেল: ফ্লিট অপারেটরদের সঙ্গে আয় ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা।
সম্পূর্ণ মালিকানাভিত্তিক মডেল: যেখানে উবার নিজে রোবোট্যাক্সি মালিক হবে এবং স্বচালিত প্রযুক্তির লাইসেন্স প্রদান করবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “যেদিন আমরা প্রমাণ করতে পারবো যে প্রতিদিন এসব গাড়ি কত আয় করতে পারে। সেদিন প্রচুর বিনিয়োগকারীরাই এগিয়ে আসবে।”
বর্তমানে উবারের বার্ষিক ৭ বিলিয়ন ডলার নগদ প্রবাহ থেকে “মডেস্ট” অর্থাৎ সীমিত অংশ ব্যবহার করে রোবোট্যাক্সি মোতায়েন শুরু করা হবে। তবে প্রয়োজন হলে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ছোট অংশীদারিত্ব বিক্রি করেও তহবিল সংগ্রহ করা হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রোবোট্যাক্সি প্রকল্প সফল হলে উবারের ড্রাইভার-নির্ভর কার্যক্রম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং অপারেটিং খরচ কমে আসবে। ফলে ভবিষ্যতে লাভজনক করবে ।
উবার বর্তমানে অস্টিন (টেক্সাস) এবং আটলান্টা (জর্জিয়া) শহরে ওয়েমো রোবোট্যাক্সি সেবা চালু করেছে। এপ্রিলে তারা ভক্সওয়াগেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। যার আওতায় আগামী দশকে যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার স্বচালিত ইলেকট্রিক ভ্যান সরবরাহ করা হবে।
এছাড়া জুলাই মাসে তারা লুসিড ও নিউরোর সঙ্গে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অংশীদারিত্ব চুক্তি করে। যার মাধ্যমে আগামী ছয় বছরে ২০,০০০-এর বেশি স্বচালিত ট্যাক্সি রাস্তায় নামবে।
ইলন মাস্কের টেসলা সম্প্রতি অস্টিনে সীমিত রোবোট্যাক্সি সেবা চালু করেছে এবং বে এরিয়াতেও রাইড-হেলিং কার্যক্রম শুরু করেছে। অপরদিকে গুগল-মালিকানাধীন ওয়েমো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি শহরে তাদের রোবোট্যাক্সি চালাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে সান ফ্রান্সিসকো।
তবে উবার জানিয়েছে, টেসলার এসব কার্যক্রম শুরুর পর অস্টিন বা সান ফ্রান্সিসকোতে তাদের চাহিদায় কোনো নেতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি।
অবশ্য স্বচালিত যান প্রযুক্তি এখনো বৈশ্বিক পর্যায়ে নানা ধরনের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান উচ্চ খরচ ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের কারণে এ প্রকল্প থেকে সরে গেছে। কিন্তু উবার, টেসলা ও ওয়েমো এখনো এই খাতে বিলিয়ন ডলারের সম্ভাবনা দেখছে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.