স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৫ পিএম
সংগৃহীত ছবি
ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতে যদি জিজ্ঞেস করা হতো ফাইনাল কে খেলবে, নির্দ্বিধায় বেশিরভাগ সম্ভবত পাকিস্তান-আফগানিস্তানের কথাই বলত। তাদের একজনকে টপকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাইনাল খেলা হতো বড় চমক। সেই চমক যে ঘটছে না তা প্রায় অনুমেয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে সিরিজ শুরু করা আফগানরা দ্বিতীয় দেখায় (১৮ রানে জয়) শোধ তুলেছে। একইসঙ্গে দুজনেরই ৩ ম্যাচ শেষে সমান ৪ পয়েন্ট করে।
শুরুর ম্যাচে পাকিস্তান ৩৯ রানে আফগানদের হারিয়ে সিরিজে সুবিধা নিয়েছিল। কিন্তু আজ আফগানিস্তান শক্তিশালী বোলিং ও ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দিয়েছে।
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে। সে কারণেই রশিদ খান আজ টসে জিতে পাকিস্তানকে বোলিংয়ে পাঠাতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি।রহমানউল্লাহ গুরবাজ শুরুতে আউট হলেও আতাল ও ইব্রাহিম দ্বিতীয় উইকেট গড়েন ১১৩ রানের জুটি, যা টি–টোয়েন্টি পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো উইকেট জুটিতে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ। দুজনেই পেয়ে যান ফিফটি।
এই জুটি ভাঙার পর আফগানরা দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারায়। তবে ততক্ষণে তারা পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার মতো সংগ্রহ দাঁড় করায়। পাকিস্তানের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ২৭ রানে নেন ৪ উইকেট, যা টি–টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। সাহিবজাদা ফারহান ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দুই ওপেনারকেই আউট করেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি। এরপর অভিজ্ঞ ফখর জামান অধিনায়ক আগা সালমানকে নিয়ে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ৬২/২ থেকে ১১১/৯–এর দলে পরিণত হয় তারা।
দশ নম্বরে নামা হারিস রউফ করেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান। তার ১৬ বলে ৪ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংসটা ক্যারিয়ারসেরাও। সুফিয়ান মুকিমকে নিয়ে ৪০ রান যোগ করেছেন রউফ, যা টি–টোয়েন্টিতে শেষ উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ।
নুর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি—আফগানিস্তানের এই চার বোলার নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এই ম্যাচ দিয়েই রহস্যময় স্পিনার আল্লাহ গজরফরের টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে। তবে ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য।
সিরিজের চার ম্যাচ শেষে দুটি করে জয়ে ৪ পয়েন্ট পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের। স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন পর্যন্ত নিজেদের দুটি ম্যাচেই হেরেছে।
আমিরাতের পরের দুই ম্যাচ বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ও শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচের একটিতে স্বাগতিকেরা হারলেই রোববারের ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান–আফগানিস্তান।
ভোরের আকাশ/তা.কা