স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৯:২৫ এএম
সংগৃহীত ছবি
শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে পথে ফেরানোর লড়াই চালিয়ে গেলেন জশ ইংলিস। তার চমৎকার ইনিংসে একটা পর্যায়ে ঘুরেও দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু লুঙ্গি এনগিডির ছোবলে ভেস্তে গেল তাদের সব আশা। ১৮ রানে প্রতিপক্ষের শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বড় জয়ের আনন্দে মাতল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ম্যাচে ৯৮ রানের জয় পাওয়া এইডেন মার্করামের দল এবারও দাপট দেখাল। তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা। ২০১৬ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে এটি টানা পঞ্চম জয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
কাগিসো রাবাদা চোটের কারণে খেলতে পারছেন না। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সেটা বুঝতেই দিল না। তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নিলেন লুঙ্গি এনগিডি। দারুণ বোলিং করে ৫ উইকেট তুলে নিলেন মাত্র ৪২ রানে। তার এই পারফরম্যান্সেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৪ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজটা এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটা দক্ষিণ আফ্রিকার টানা পাঁচ নম্বর ওয়ানডে সিরিজ জয় যা দলটির ধারাবাহিকতা ও সাম্প্রতিক ফর্মেরই প্রমাণ। ম্যাচটি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকায়ের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনায়। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই বিপদে পড়ে। তবে সেই চাপ সামাল দেন টনি ডি জর্জি, ম্যাথিউ ব্রিটস্কে এবং ট্রিস্টান স্টাবস। ব্রিটস্কে ও স্টাবস মিলে চতুর্থ উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন। তার আগে তৃতীয় উইকেটে ডি জর্জি ও ব্রিটস্কে যোগ করেছিলেন ৬৭ রান।
ব্রিটস্কে ছিলেন বেশি আগ্রাসী। অ্যারন হার্ডির এক ওভারে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। অন্যদিকে, স্টাবস ছিলেন ঠান্ডা মাথার। দু’জন মিলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় এল নাটকীয় পতন।
৮৮ রান করে ব্রিটস্কে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপরই এলিসের আরেকটি শর্ট বলে বেকায়দায় পড়ে ফেরেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। একপ্রান্তে স্টাবস চেষ্টা করছিলেন ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে, কিন্তু শেষ দিকে দলের বাকিরা ধসে পড়লে তাকেও বিদায় নিতে হয়। মাত্র ৩৫ বলের ব্যবধানে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থেমে যায় ২৭৭ রানে।
জয়ের জন্য ২৭৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারেই ট্রাভিস হেড ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলে ইনিংসে চাপ বাড়ে। এর কিছুক্ষণ পরই মার্নাস লাবুশেন আবারও ব্যর্থ, ১ রানেই ফিরে যান। ক্যাপ্টেন মিচেল মার্শ কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। চারটি চারের মার থাকলেও তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। একটি পুল করতে গিয়ে বল ঠিকভাবে না লাগায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
জশ ইংলিস ও ক্যামেরন গ্রিন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তারা ৬৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি গড়েন। তবে গ্রিন ৩৫ রানে থেমে যান সেনুরান মুতুসামির হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর একপ্রান্তে ইংলিস লড়াই চালিয়ে গেলেও অন্যপ্রান্ত থেকে সঙ্গ না পাওয়ায় তাড়াতাড়িই গুটিয়ে যায় অজিদের ইনিংস। শেষের দিকে আবারও আক্রমণে ফেরেন এনগিডি। হার্ডি ও ইংলিসের উইকেট নিয়ে ম্যাচটা একরকম শেষই করে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৯৩ রানে।
ভোরের আকাশ/তা.কা