ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘জাতীয় সবুজ মিশন’ নামে একটি নতুন উদ্যোগ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই উদ্যোগের বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
পোস্টে তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি জাতীয় সবুজ মিশন শুরু করব। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২৫ কোটি গাছ রোপণ, নদী পুনরুদ্ধার, বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ এবং তরুণদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সমুদ্র অর্থনীতি সম্প্রসারণ করা হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন বন্ধ করে সারাদেশে পরিকল্পিত, আধুনিক ও টেকসই শহর গড়ে তোলা হবে, যাতে প্রতিটি অঞ্চল সমানভাবে উপকৃত হয়।”
বাসস্থানকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “প্রতিটি মানুষ এমন একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ বাড়ির অধিকারী হওয়া উচিত যেখানে সে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে। আমাদের গ্রাম, শহর, নদী ও বন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত— এগুলোর সুষম উন্নয়নই একটি টেকসই ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তুলবে।”
বিশ্ব বাসস্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচিকে তিনি দেশের পরিবেশ ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ‘রোডম্যাপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দুটি প্রতিশ্রুতিতে— জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা (দফা ২৯) এবং পরিকল্পিত, সুষম নগরায়ন ও বিকেন্দ্রীকরণ (দফা ৩১)।
শেষে তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, “বিএনপি সরকার মানুষের আবাসস্থল ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় কাজ করবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি সবুজ, আধুনিক ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলি।”
ভোরের আকাশ//হর
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক শহিদুল আলমকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আটকের খবর নিশ্চিতের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই পোস্টে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন।বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি শহিদুল আলমের বিষয়ে বার্তা দেন।পোস্টে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি সরকারকে শহিদুল আলমের নিরাপদে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।এর আগে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম জানান, সমুদ্রে তাদের আটক করা হয়েছে এবং ইসরাইলের দখলদার বাহিনী তাকে অপহরণ করেছে।শহিদুল আলম ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘আমি শহিদুল আলম বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখেন, তার মানে আমাদের সমুদ্রে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এই দেশ। আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য।’ফ্লোটিলা জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী দ্য কনশেনস নামের একটি নৌকায় হামলা করে। এটি শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন সাংবাদিক, ডাক্তার এবং কর্মী বহন করছিল। এ জাহাজের সঙ্গে থাকা তিনটি ছোট নৌকাও আক্রমণ করে ইসরায়েলিরা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারানো আব্দুল হাকিম বিএনপির কেউ নন বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।রিজভী বলেন, রাউজানের মদুনাঘাট ব্রীজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুস্কৃতিকারিদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনায় মো: আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হন। উল্লিখিত সহিংস ঘটনা সম্পূর্ণরূপে সমাজবিরোধী কিছু দূর্বৃত্ত চক্রের পরিকল্পিত হিংস্র কর্মকাণ্ড। এর সঙ্গে রাজনীতি বা বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। নিহত ব্যক্তি ও দুস্কৃতকারীদের কেউই বিএনপির নেতাকর্মী নন। কয়েকটি গণমাধ্যমে নিহত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন।তিনি বলেন, এই সহিংস ঘটনা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির একটি বড় ধরণের নজির। এই রক্তাক্ত ঘটনা ওই এলাকার জনমনে উদ্বেগ ও ভীতির সঞ্চার করেছে। বর্তমানে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, চারিদিকে অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা ও হতাশা বিরাজমান, যা এই বর্তমান সরকারের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশা করে না। জনপ্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই দুস্কৃতিকারীরা অপকর্মে মেতে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাউজানের সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে এলাকায় আধিপত্যকামী দুস্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাউজানের মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। নিহত হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ‘হামিম অ্যাগ্রো’ নামে একটি গরুর খামারের মালিক ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো।বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি হেড অব মিশন ফেডরিকো জামপারেল্লি।জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, ইতালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।বৈঠকে তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ-ইতালির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও টেকসইকরণ, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ দুই দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইতালি দূতাবাসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর মি. ফেদেরিকো জামপারেল্লি। আমিরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশে গত বছর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।আর সেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি প্রায় ২০ বছর নির্বাসনে জীবন কাটাচ্ছেন। ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে কার্যত দলটির প্রধান নেতা। বিএনপি নেতাদের বিশ্বাস, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদীয় নির্বাচনে তারা জিততে পারে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এরই মধ্যে বলেছেন, সময় এসেছে, ইনশাআল্লাহ, আমি শিগগিরই ফিরে আসব। হয়ত কিছু ব্যক্তিগত কারণে এখনো ফিরতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে হয়, সময় এসেছে।তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি নির্বাচন, যার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছিল, আমি এই সময় নিজেকে দূরে রাখতে পারব না। ২০২৬ সালের এ নির্বাচনকে দেশটির জন্য অন্যতম ফলপ্রসূ নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।গত বছর ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে এ সরকার গঠন করা হয়। সেই আন্দোলন ও তৎকালীন সরকারের দমন অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায়।শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পলে ফলে দেশে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়। এ সময় এ শূন্যতা পূরণে দায়িত্বে আসেন শেখ হাসিনার সমালোচক এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার। পরে আওয়ামী লীগকে যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়।তারেক রহমান, যিনি জনপ্রিয়ভাবে তারেক জিয়া নামে পরিচিত, ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে তিনি নির্বাসিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে একাধিক মামলায় তাকে দণ্ডিত করা হয়। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমান নিজেকে দোষী হিসেবে স্বীকার করেননি। গত বছর শেখ হাসিনার উৎখাতের পর তার উপর থাকা সব অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পান।তারেক রহমানের মা, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং এখনো নিশ্চিত নয় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন কি না।তারেক রহমান বলেন, তিনি সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছিলেন এবং অসুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছেন, তিনি যথাযথ চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু… যদি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তিনি অবশ্যই নির্বাচনে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্টভোরের আকাশ/মো.আ.