ইশরাক সমর্থকদের আনন্দ মিছিল
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরের দিকে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজের আদেশের খবর পেয়ে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীরা বলতে থাকেন, এই মুহূর্তে খবর এলো, ইশরাক মেয়র হলো’, ‘এই মাত্র খবর এলো, জনগণের বিজয় হলো’।
এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা আনন্দমিছিল নিয়ে কাকরাইল মসজিদ মোড় থেকে মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে রওনা দেন।
এর আগে নগর ভবনের সামনে টানা অষ্টম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়েও অবস্থান করতে দেখা যায় ইশরাক সমর্থকসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। রাতভর সেখানেই অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো।বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি হেড অব মিশন ফেডরিকো জামপারেল্লি।জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, ইতালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।বৈঠকে তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ-ইতালির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও টেকসইকরণ, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ দুই দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইতালি দূতাবাসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর মি. ফেদেরিকো জামপারেল্লি। আমিরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশে গত বছর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।আর সেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি প্রায় ২০ বছর নির্বাসনে জীবন কাটাচ্ছেন। ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে কার্যত দলটির প্রধান নেতা। বিএনপি নেতাদের বিশ্বাস, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদীয় নির্বাচনে তারা জিততে পারে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এরই মধ্যে বলেছেন, সময় এসেছে, ইনশাআল্লাহ, আমি শিগগিরই ফিরে আসব। হয়ত কিছু ব্যক্তিগত কারণে এখনো ফিরতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে হয়, সময় এসেছে।তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি নির্বাচন, যার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছিল, আমি এই সময় নিজেকে দূরে রাখতে পারব না। ২০২৬ সালের এ নির্বাচনকে দেশটির জন্য অন্যতম ফলপ্রসূ নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।গত বছর ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে এ সরকার গঠন করা হয়। সেই আন্দোলন ও তৎকালীন সরকারের দমন অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায়।শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পলে ফলে দেশে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়। এ সময় এ শূন্যতা পূরণে দায়িত্বে আসেন শেখ হাসিনার সমালোচক এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার। পরে আওয়ামী লীগকে যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়।তারেক রহমান, যিনি জনপ্রিয়ভাবে তারেক জিয়া নামে পরিচিত, ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে তিনি নির্বাসিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে একাধিক মামলায় তাকে দণ্ডিত করা হয়। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমান নিজেকে দোষী হিসেবে স্বীকার করেননি। গত বছর শেখ হাসিনার উৎখাতের পর তার উপর থাকা সব অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পান।তারেক রহমানের মা, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং এখনো নিশ্চিত নয় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন কি না।তারেক রহমান বলেন, তিনি সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছিলেন এবং অসুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছেন, তিনি যথাযথ চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু… যদি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তিনি অবশ্যই নির্বাচনে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্টভোরের আকাশ/মো.আ.
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।বুধবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু আর নেই। ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।আজ (বুধবার) বাদ আসর তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে নুরপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও রংপুর বিভাগীয় জিয়া মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়েন উদ্দীন।এদিকে বিএনপি সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর হঠাৎ মৃত্যুতে নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই নগরী নুরপুরস্থ তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। জানা গেছে, আনিছুর রহমান লাকু আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জেলা সম্মেলনে দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দাওয়াত দিতে ঢাকায় যান। সেখানে সাংগঠনিক কাজ শেষে রংপুর ফেরার পথে বগুড়ার শেরপুরে পৌঁছার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তিনি ইতোপূর্বে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার মিথ্যা মামলায় ১০ বছরের সাজা নিয়ে দীর্ঘদিন জেলখানায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় একাধিক মামলা ছিল।তার মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ জিল্লুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আল ইমরান সুজন, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজ লাবু, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন- আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, দপ্তর সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেলসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনাসহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.