× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

খালেদা জিয়াকে ঘিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

এম. সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫ ০৮:৪৮ এএম

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ছবিটি গতকাল লন্ডনের হি‌থ্রো বিমানবন্দর থেকে তোলা

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ছবিটি গতকাল লন্ডনের হি‌থ্রো বিমানবন্দর থেকে তোলা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। চিকিৎসা শেষে চার মাস পর দেশে ফিরছেন তিনি। বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়।

এর আগে তাকে বিমানবন্দরে আবেগাপ্লুত নয়নে বিদায় জানান বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় হয়রত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। সঙ্গে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমানসহ ১৪ জন সফরসঙ্গী। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা দলীয় প্রধানকে অভ্যর্থনা জানাতে অনেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগরেও রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তার এই প্রত্যাবর্তন স্বরণীয় করে রাখতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে বিএনপি। শৃঙ্খলা রজায় রাখতে ইতোমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা প্রদান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ডিএমপি।

দলটির নেতারা বলছেন, আজ বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে ঢাকায় গণজোয়ার বয়ে যাবে। রাজনীতি ও গণতন্ত্রের জন্যে বেগম খালেদা জিয়া ‘আপসহীন’ উল্লেখ করে তারা বলছেন, তিনি ভালো থাকলে দেশের গণতন্ত্রে সুবাতাস বয়ে চলে। তার উপস্থিতি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সেই হিসেবে চার মাস পর আজ মঙ্গলবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার লন্ডন সময় বিকেল ৪টায় হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। কাতারের আমিরের পাঠনো বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেয়। 

এর আগে বেলা ২টা ১০ মিনিটে নিজে কার চালিয়ে মা বেগম খালেদা জিয়া, স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শর্মিলা রহমানকে নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান। এ সময় তাকে বেশ অশ্রুসিক্ত ও আবেগাপ্লুত দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার জন্য বিরতি থাকবে। এ সময় সেখানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকা তার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান ছাড়াও খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, খালেদা জিয়ার সহকারী মাসুদুর রহমান, মিসেস দিলারা মালিক, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. জাফর ইকবাল ও তার দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার। বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের অনেকে ঢাকায় এসেছেন। 

এছাড়া ঢাকার মহানগরের দুই অংশ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনেরও ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে দলীয় প্রধানকে অভ্যর্থনা জানাতে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিএনপি ইতিমধ্যে পথনির্দেশিকা প্রদান করেছে। দলীয় পথনির্দেশনা অনুযায়ী মহানগর উত্তর বিএনপি থাকবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত, ছাত্রদল লা মেরিডিয়ান থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত, যুবদল খিলক্ষেত হোটেল রেডিসন পর্যন্ত, দক্ষিণ বিএনপি রেডিসন হোটেল থেকে আর্মি স্টেডিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত, কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত, শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

এছাড়া, ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, সব পেশাজীবী সংগঠন, মহিলা দল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা নির্ধারিত রুটে অবস্থান নেবেন। শনিবার মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের যৌথসভা শেষে দলের চেয়ারপারসনের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীবাসীর চলাচলের যেন কষ্ট না সেটি মাথায় রাখার জন্যে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে অভ্যর্থনা জানানোর জন্যে অনুরোধ করেছিলেন।

এছাড়া গত রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শৃঙ্খলার সঙ্গে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে একহাতে জাতীয় পতাকা এবং আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে পারবেন নেতাকর্মীরা। তবে বিমানবন্দর ও চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল এবং হাঁটা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের জরুরি বার্তা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বার্তা দেন তিনি। 

এতে তিনি লেখেন, কাতারের আমিরের পাঠানো রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার সকালে (সাড়ে ১০টায়) বেগম খালেদা জিয়া দেশে এসে নামবেন। আবার সকালে এসএসসি পরীক্ষার জন্য বের হবেন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় দলের নেতাকর্মীদের বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত ফুটপাত থেকে সড়কে না নামার আমি আমি অনুরোধ করছি।

তিনি আরও লেখেন, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও কেউ যেন সড়কে না নামতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আমি অনুরোধ করছি।

এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ করে বিমানবন্দর ও তার আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বিমানবন্দর থেকে তার বাসভবন পর্যন্ত যাত্রা সুগম করতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চলাচলে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনাও জারি করেছে ডিএমপি। গতকাল সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণকে গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সংশ্লিষ্ট দলের নেতাদের আগত জনসাধারণকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান/বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প বেশ কিছুর সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনাও দেয় ডিএমপি।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার আগের দিন অর্থ্যাৎ গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার  উপস্থিতি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে। বেগম খালেদা জিয়া সারাজীবন দেশের মানুষের জন্যে লড়ছেন।

বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন এটি নেতাকর্মীদের কাছে ভিন্ন রকম আবেগের খবর। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়নি পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরছেন এতে দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষের মাঝেও ভিন্ন আমেজ বিরাজ করছে। বিমানবন্দর ও আশপাশে লোকে লোকারণ্য হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করছেন তিনি। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ সঙ্গে থাকায় বাড়তি খুশির খবর বলেও জানান আমিনুল।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ থাকলে দেশের গণতন্ত্র সুস্থ থাকে। আলহামদুল্লাহ তিনি যতটুকু সুস্থ হয়ে ফিরছেন তাতে দেশে গণতন্ত্রকামীদের জন্যে বড় খুশির খবর। দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানাতে ছাত্রদলের পাশাপাশি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে ‘কথিত’  দুর্নীতির মামলায় সাজা দিয়ে তাকে কারাবন্দি করা হয়েছিল। ওই মামলায় সাজা দিয়ে দুই বছরের বেশি সময় নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল তাকে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির ওই আদেশের দিকে না তাকিয়ে আইনিভাবে মামলা মোকাবেলা করেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি ‘কথিত’ দুর্নীতির দুই মামলা থেকেই খালাস পান।

যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেসব মামলার সাজা বাতিল করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। এরপর খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান। ৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর সেখানে অবস্থানরত তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। তারেক রহমানের বাসায় ফেরার পর গত দুই মাসে খালেদা জিয়াকে আর হাসপাতালে নিতে হয়নি। কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হলে দ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বাসায় গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন।

এদিকে, সর্বশেষ গত বছর ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর যখন খালেদা জিয়া লন্ডনে যান তখন একই ধরনের প্রপাগাণ্ডা চালানো হয়। এবারও দুই পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মাইনাস হচ্ছেন বলে গুঞ্জন ও অপপ্রচার চালানো হয়। কারণ খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা পরিবারের সবাই এখন বিদেশে। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার পর দলের ভেতরে ও বাইরে এবং শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে ‘স্বস্তি’র পাশাপাশি ‘উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা’ দেখা দেয়। খালেদা জিয়া দেশে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের কারণে। ইতঃপূর্বে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দুই পরিবারকে মাইনাস করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও খালেদা জিয়ার দৃঢ়তায় সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
 বিস্ফোরণে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো সুদান

বিস্ফোরণে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো সুদান

 এবার পদ্মায় মিলল ১৫ কেজির পাঙাশ

এবার পদ্মায় মিলল ১৫ কেজির পাঙাশ

 জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ‘সংক্ষিপ্ত রায়ে’ ফাঁসি দেয়া হয়

জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ‘সংক্ষিপ্ত রায়ে’ ফাঁসি দেয়া হয়

সংশ্লিষ্ট

এটিএম আজহারকে নিয়ে জামায়াত আমিরের আবেগঘন স্ট্যাটাস

এটিএম আজহারকে নিয়ে জামায়াত আমিরের আবেগঘন স্ট্যাটাস

১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন জোবাইদা রহমান

১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন জোবাইদা রহমান

পথে পথে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল

পথে পথে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল

ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন খালেদা জিয়া

ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন খালেদা জিয়া