সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় জরুরি প্রয়োজনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর-০১৯৪৯০৪৩৬৯৭। এ নম্বর ব্যবহার করে সেবা গ্রহণ করা যাবে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, সোমবার বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। উড়োজাহাজটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট।
এ ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে জনতার ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালানো হয়।’বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে। সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবক বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের সরিয়ে নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে, প্রাণহানির ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।সেনাসদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। উল্লেখ্য, এই উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত ১৪ সেনাসদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।আইএসপিআর জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালীন বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উৎসুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধার কাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। ফলে একদল উৎসুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা একপর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে পেশাদারিত্ব ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান বিমানবাহিনী প্রধানের দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটির এ কে খন্দকার প্যারেড গ্রাউন্ডে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আয়োজিত ফিউনারেল প্যারেডে এ কথা বলেন তিনি।বিমানবাহিনীর প্রধান বলেন, পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারানোর সময়ও সেটিকে নিরাপদ কোনো খালি জায়গায় অবতরণ করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিমানটি একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। জরুরি নির্গমনের প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় পাইলটকে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে।তিনি বলেন, দুর্ঘটনার এই দুঃসময়ে ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতারা সবাই একযোগে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।হাসান মাহমুদ খান বলেন, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এরই মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত কারণ শনাক্ত করা হবে। ত্রুটি বা গাফিলতির প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, প্রতিটি বিমানের একটি নির্ধারিত কার্যক্ষম মেয়াদ থাকে, সাধারণত ৩০ বছর। এই সময়ের মধ্যে নিয়মিতভাবে প্রস্তুতকারক দেশের নির্দেশনা অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি পুরোনো ছিল না, তবে এর প্রযুক্তি কিছুটা পুরোনো হতে পারে। তবে রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের আপস করা হয় না।দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এই দুঃসময়ে কেউ যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য বা গুজবে কান না দেয়। একটি পেশাদার, দক্ষ ও শক্তিশালী বিমানবাহিনী আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার অন্যতম স্তম্ভ। এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার মানেই দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আঘাত।বিমানপ্রধান এই দুর্ঘটনাকে ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও অপূরণীয় ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বিমানবাহিনী সব সময় এসব পরিবারকে সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করবে।প্যারেড গ্রাউন্ডে সহকর্মী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যরা অশ্রুসিক্ত নয়নে তৌকিরকে বিদায় জানান। অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের দাফনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের কবরস্থ করার জন্য স্কুলের সন্নিকটে উত্তরা ১২ নম্বরের সিটি করপোরেশন কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই কবরস্থান তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রেস উইং থেকে।এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৬৫ জন। আজ দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার দুপুর ১টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে স্কুল পর্যায়ের বহু শিক্ষার্থী ছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে বের হতে পেরেছেন সরকারের দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টায় পুলিশ প্রহরায় তাদের গাড়িতে করে কলেজ থেকে বের করা হয়। পরে মেট্রোরেলের ডিপোর ভেতরের রাস্তা দিয়ে উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবদের বহনকারী গাড়িগুলো বেরিয়ে যায়।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, উপদেষ্টারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানান। সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। এজন্য উপদেষ্টারা বের হতে পারছিলেন না।তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর দুই উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ও প্রেস উইংয়ের সদস্যরা বেরিয়ে গেছেন।প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে আইএসপিআর।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।শোকবার্তায় ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, বাংলাদেশে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি, যেখানে অনেক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার এবং আহতদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুকও। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং দুঃখিত। যারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন, তাদের সবার কথা আমাদের মনে আছে।’উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজজিআই (৭০১) মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২৫ জন শিশুই। এ ছাড়া আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন ১৬৫ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ