চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে অর্থনীতির অগ্রগতি অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বন্দরের পরিবর্তন নিয়ে আগে লেখালেখি করলেও এবার সুযোগ পেয়েছি। এটাকে সত্যিকারের বন্দর হিসেবে তৈরি করতে প্রথম দিন থেকে কাজ শুরু করেছি।
চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন পথ খোলা সম্ভব না। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে, সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে যান তিনি। একদিনের এ সফরে যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে। এ ছাড়া কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনেরও কথা রয়েছে তার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২১তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আলী রীয়াজ বলেন, প্রথম ধাপ ও দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আজ বা কালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। আমরা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষ করতে চাই। আর ঐকমতের বিষয়গুলো সংযুক্ত করে পরশু দিনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব আশা করছি।বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেগুলোর মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি বুধবার পর্যন্ত। আশা করি প্রাথমিক পর্যায়ে যেগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো আজ বা কালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে পারব। তার সঙ্গে এ পর্যন্ত (দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ) যেগুলো ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো সংযুক্ত করে পরশু দিনের মধ্যে সনদের জায়গায় পৌঁছাব।তিনি আরও বলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আমরা যেভাবে হোক সনদের চূড়ান্ত রূপ অন্তত পক্ষে, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো স্পষ্ট করতে হবে এবং সনদে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কয়েকটি দলের নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, সেগুলো সমন্বিত করে একটি প্রস্তাব আপনাদের সামনে হাজির করতে চাচ্ছি। কারণ প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব বক্তব্য থাকবে, সেটি বিবেচনায় প্রস্তাবগুলো নিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি।প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। এতে জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা লেখেন তিনি।উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছেন, তদবিরের কথা উঠলো যখন, একটা ঘটনা বলি। আমাদের এক বন্ধু একজন ব্যক্তিকে আমার ভাইয়ার সঙ্গে দেখা করায়। বিটিভির একটা টেন্ডারের কাজ করে দিলে তারা পার্সেন্টেজ দিবে এবং জুলাই নিয়ে কয়েকটা দেশে প্রোগ্রামের জন্য হেল্প করবে। আমি জানার পর এটা নিষেধ করে দেই। সদুদ্দেশ্যে হলেও রাষ্ট্রের আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। পরবর্তীতে সে টেন্ডারের কাজ ও স্থগিত হয়।তিনি আরও লিখেছেন, সে ব্যক্তি কনভারসেশন রেকর্ড করে একজন সাংবাদিককে পাঠায়। সে সাংবাদিক যোগাযোগ করলে আমি বলে দিই, ভাই আমরা এ কাজ করতে দেইনি। আর, ঐ লোক ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই জুলাইয়ের প্রোগ্রামের কথা বলে একাজ করেছে। উনি আমার কথা বিশ্বাস করে আর রেকর্ডটি পাবলিক করেননি।মাহফুজ আলম অভিযোগ করে বলেন, আজকাল অনেকের লেজকাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী এতে জড়িত। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লেখেন, কয়েকটা বাক্য নিয়ে অযথাই জলঘোলা হচ্ছে, তাই এডিট করে দিলাম। জুলাই কতিপয় লোকের কাছে পলিটিকাল মবিলিটির ল্যাডার।একটা না, কয়েকটা দলের মহারথীরাই আমার/ আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কিন্তু, সবার এখন গুজববাজ আর সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্ব বাঘ দিবস আজ। ‘বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সুন্দরবনের সমৃদ্ধি’ স্লোগানে বন অধিদপ্তরের আয়োজনে পালিত হবে এই দিবসটি।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিশ্ব বাঘ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর বন ভবনের হৈমন্তি মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন।বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে এক জরিপে ২১টি বাচ্চাসহ বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। ২০০৯ সালে বনবিভাগ এক জরিপে ৪০০ থেকে ৪৫০ বাঘের সন্ধান পান। ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এক জরিপে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ১০৬টি তে।২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২২৯ দিনে ১৬৫৯ কিলোমিটার এলাকায় ২৪৯টি জায়গায় গাছের সঙ্গে ৪৯১টি সর্বাধুনিক ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে জরিপে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪টি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এক জরিপে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৫টি।ভারত, নিউজিল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ দলের মতামতের ভিত্তিতে জরিপের ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। সুন্দরবনের ৬০৫টি গ্রিটে ১২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে এ জরিপ চালানো হয়। ১০ লাখের বেশি ছবি ও ভিডিও থেকে ৭২৯৭টি বাঘের ছবি পাওয়া যায়। যা এর আগে কখনই পাওয়া যায়নি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ৫ আগস্টের আগেই ঐকমত্য নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রজন্ম ও জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মুখ দেখবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তব হবেই। জুলাই শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন মাহফুজ আলম।পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র গত ৩১ ডিসেম্বর ঘোষিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের জন্য সেবার সে প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিভিন্ন দলের খসড়া প্রস্তুত হলেও ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে সংলাপ মীমাংসায় পৌঁছায়নি। বিভিন্ন ধারা নিয়ে রাজনৈতিক আদর্শিক পজিশন নিয়ে নেগোসিয়েশন থমকে যায় পরের দুই মাস। (মাঝে রমজান ছিল)।তিনি আরও বলেন, মে মাসে ক্যাবিনেটে আমি আবার আলাপ তুলি ঘোষণাপত্র নিয়ে। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে আলোচনা করতে অনাগ্রহ দেখায়। কিন্তু, জুন মাসে আবার এটা উত্থাপন করি এবং সিদ্ধান্ত হয় সরকারের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটা সর্বসম্মত ঘোষণাপত্র প্রণয়ণ করবেন।সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাইয়ের শুরু থেকে এ প্রক্রিয়ায় কয়েকবার আলাপ হলেও রাজনৈতিক আদর্শিক (ঐতিহাসিক ও বটে) কিছু বক্তব্য নিয়ে এখনো ঐকমত্য নিশ্চিত হয়নি। কিন্তু, আশা করি সবাই ছাড় দিয়ে (ছাত্রদের অনেক বক্তব্যই নেগোশিয়েটেড হয়েছে) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে যথাযথ রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির সুযোগ করে দেবেন।৫ আগষ্টের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণার আশাবাদ ব্যক্ত করে মাহফুজ আলম বলেন, আশা করি, ৫ আগস্টের আগেই ঐকমত্য নিশ্চিত হবে এবং আমাদের প্রজন্ম ও জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আলোর মুখ দেখবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তব হবেই।জুলাই শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, দল-মতাদর্শ নির্বিশেষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সব গুরুত্বপূর্ণ পর্বের স্বীকৃতির ব্যাপারে আমরা উদার হওয়া সত্ত্বেও জুলাই ছাত্র-জনতার ন্যায্য স্বীকৃতি বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ