নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৫১ এএম
হালাল পণ্য উৎপাদনে বিশেষ সহায়তা দিচ্ছে সরকার: আশিক চৌধুরী
বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান হালাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে হালাল পণ্য উৎপাদনে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত “হালাল অর্থনীতি ৩৬০: বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি” শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আশিক চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক হালাল অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করতে চায়। বর্তমানে অধিকাংশ হালাল পণ্য অমুসলিম দেশগুলোতে তৈরি হচ্ছে— যা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।”
তিনি হালাল শিল্পে উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সার্টিফিকেশন ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার কথাও জানান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. মোমিনুল ইসলাম। তিনি হালাল অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য কৌশল ব্যাখ্যা করেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন হালাল পণ্য উৎপাদক, সার্টিফায়ার এবং সরবরাহ চেইন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে দেশের হালাল সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করার আহ্বান জানান।
বিএমসিসিআই সভাপতি সাব্বির এ খান বলেন, “আমাদের তৈরি পোশাক খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। হালাল অর্থনীতি আমাদের জন্য বিকল্প সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।” তিনি জানান, শুধু মালয়েশিয়াতেই ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হতে পারে।
একটি পূর্বাভাসের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক হালাল খাদ্য বাজারের আকার যেখানে ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, তা ২০৩৪ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়াবে ৯.৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এ ধরনের উদ্যোগ ও আলোচনা দেশের অর্থনীতিতে হালাল শিল্পের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ গড়ার পথকে সুগম করবে বলে মত দেন অংশগ্রহণকারীরা।
ভোরের আকাশ//হ.র