ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫ ০৭:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়।
চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ইসি আরপিও সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জানিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। না ভোটের বিধান আনা হয়েছে। যেখানে একজন প্রার্থী থাকবে। বিনা ভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবে না। ফলাফলে সমান ভোট পেলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে না। পুনরায় ভোট হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে দলগুলোকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোটাররা প্রথমবারের মতো ‘না ভোট’ প্রয়োগ করেছিল। ওই সময় জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-তে এ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিধান অনুযায়ী ব্যালট পেপারের সবশেষ প্রার্থীর স্থানে লেখা থাকে ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং ভোটারদের সহজ পরিচিতির জন্য মার্কা রাখা হয় ‘ক্রস’ (ঢ)। তখন সারা দেশে মোট প্রদত্ত ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ পড়েছিল।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ৯ম কমিশন সভায় দিনভর আলোচনায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও, আরপিও সংশোধন চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচনে না ভোট ফিরিয়ে আনা, সংসদ-সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্নাতক পাশ’, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ দু’টির বেশি আসনে প্রার্থী না হওয়া, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে কোনো অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তিনি প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, খসড়ায় এমন প্রস্তাব করেছে ইসি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ