জুলাইয়ে ড্রোন দিয়ে নজরদারি
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২২ এএম
সিটিটিসির সাবেক এডিসি ইশতিয়াক গ্রেপ্তার
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সিটিটিসির সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত দল ও পুলিশ গত রোববার তাকে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেপ্তার করে। এডিসি ইশতিয়াক বেতবুনিয়ায় পুলিশ স্পেশালাইজড ট্রেনিং স্কুলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইশতিয়াক স্বীকার করেছেন যে, তৎকালীন সিটিটিসি প্রধানের সরাসরি নির্দেশে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ এলে তিনি তা পালন করেন বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
প্রসিকিউশনের মতে, ড্রোন ফুটেজ গোপন করা এবং তা মুছে ফেলা গুরুতর অপরাধ।
তদন্তকারীদের একজন বলেন, এডিসি ইশতিয়াক দুইজন সাধারণ নাগরিককে চিহ্নিত করেছেন, যারা ড্রোন পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ওই দুজন সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত বা অনুমোদিত কেউ না হলেও নিয়মিত ড্রোন ফুটেজ সরবরাহ করতেন। তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুকেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে, বলেন ওই কর্মকর্তা।
এর আগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুলিশ কর্মকর্তা ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশের মহাপরিদর্শককে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাইয়ে ড্রোন দিয়ে নজরদারি
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৪ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
সিটিটিসির সাবেক এডিসি ইশতিয়াক গ্রেপ্তার
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সিটিটিসির সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইশতিয়াক আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত দল ও পুলিশ গত রোববার তাকে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেপ্তার করে। এডিসি ইশতিয়াক বেতবুনিয়ায় পুলিশ স্পেশালাইজড ট্রেনিং স্কুলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইশতিয়াক স্বীকার করেছেন যে, তৎকালীন সিটিটিসি প্রধানের সরাসরি নির্দেশে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ এলে তিনি তা পালন করেন বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
প্রসিকিউশনের মতে, ড্রোন ফুটেজ গোপন করা এবং তা মুছে ফেলা গুরুতর অপরাধ।
তদন্তকারীদের একজন বলেন, এডিসি ইশতিয়াক দুইজন সাধারণ নাগরিককে চিহ্নিত করেছেন, যারা ড্রোন পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ওই দুজন সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত বা অনুমোদিত কেউ না হলেও নিয়মিত ড্রোন ফুটেজ সরবরাহ করতেন। তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুকেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে, বলেন ওই কর্মকর্তা।
এর আগে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুলিশ কর্মকর্তা ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশের মহাপরিদর্শককে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ