মমতাজকে ৬ দিনের রিমান্ড
মানিকগঞ্জের পৃথক দুই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (মানিকগঞ্জ-২ আসন) ও ফোক সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ বেগমকে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা কাশিমপুর কারাগার থেকে মানিকগঞ্জ কোর্টের কোট কারাগারে নেয়া হয় তাকে। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে বিচারক নূর হোসেন ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে সিংগাইরের গোবিন্দলের চারজন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মানিকগঞ্জ সিনিয়র দায়রা ও জজ আদালতে তোলা হয় মমতাজকে। এদিন মামলার শুনানিতে মমতাজের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোরশেদ আলম এবং জাহিদ খান উজ্জ্বল।
গত ১৩ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মমতাজের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান। আর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা।
এর আগে গত ১২ রাত পৌন ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মমতাজকে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভুক্তভোগী মো. সাগর অংশ নেন। সেদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এতে ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে তার শরীরের পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। আর ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি মমতাজ।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এ তথ্য জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ এর দফা (৬) অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক পদ থেকে ২১ মে অপসারণ করেছেন।‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়। সেই ১২ বিচারপতির মধ্যে দিলীরুজ্জামান ছিলেন একজন।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি নেওয়া খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২০১৮ সালের ৩০ মে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এর দুই বছর পর তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।এই বিচারপতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রধান ছিলেন। তিনি ঘটনা তদন্তে রংপুরও সফর করেছিলেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
মানিকগঞ্জের পৃথক দুই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (মানিকগঞ্জ-২ আসন) ও ফোক সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ বেগমকে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা কাশিমপুর কারাগার থেকে মানিকগঞ্জ কোর্টের কোট কারাগারে নেয়া হয় তাকে। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে বিচারক নূর হোসেন ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে সিংগাইরের গোবিন্দলের চারজন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মানিকগঞ্জ সিনিয়র দায়রা ও জজ আদালতে তোলা হয় মমতাজকে। এদিন মামলার শুনানিতে মমতাজের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোরশেদ আলম এবং জাহিদ খান উজ্জ্বল।গত ১৩ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মমতাজের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান। আর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা।এর আগে গত ১২ রাত পৌন ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মমতাজকে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভুক্তভোগী মো. সাগর অংশ নেন। সেদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এতে ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে তার শরীরের পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। আর ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি মমতাজ।ভোরের আকাশ/আজাসা
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করেন।এর ফলে ডিএসসিসি মেয়র পদে ইশরাকের শপথে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টর মাহবুব উদ্দিন খোকন। আগামী ২৬ মে’র মধ্যে ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এর আগে বুধবার (২১ মে) বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের আদেশের দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করেন হাইকোর্ট।বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।চলতি বছরের ২৭ মার্চ সেই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।এদিকে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ইশরাকের সমর্থকরা।ভোরের আকাশ/আজসা
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেট অবৈধ ঘোষণার দাবি এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চেয়ে রিট মামলার আদেশ পিছিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দিন রেখেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেয়।এ রিট মামলার ওপর মঙ্গলবার দুই দফা শুনানির পর গতকাল বুধবার আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু এদিন আবার দুই পক্ষের শুনানি হয় এবং পরে আদালত আদেশের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন রাখে। এদিন রিট আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী কায়সার কামাল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন। অন্যদিকে রিটকারী পক্ষে জবাব দেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন।ইশরাকের পক্ষে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে কয়েকটি ‘ভুল’ থাকার দাবি তুলে রুল জারির আর্জি জানান মোহাম্মদ হোসেন। অন্যদিকে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায় ও আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যায়। সেটা করতে পারে মামলার বিবাদী পক্ষ। সেখানে আপিল না করে একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট মামলা করতে পারেন না।২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে ইশরাকের শপথ অনুষ্ঠান এখনও হয়নি। তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সে জন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।এদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে নগর ভবন অচল করে রেখেছেন। গতকাল বুধবার হাইকোর্টে যখন শুনানি চলছে, তখনো মৎস্যভবন ও কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ইশরাক সমর্থকরা। এর পাল্টায় নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।দলটির অভিযোগ, ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করেছে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এনসিপি দাবি ‘রাজনৈতিক’; নির্বাচনি ট্রাইবুনালের রায়ে ইসির পক্ষভুক্ত হওয়ার নজির নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ