স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫ ০৬:০৪ এএম
ভাইরাল জ্বর: লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে সাধারণত ভাইরাল জ্বর বলা হয়। ব্যাকটেরিয়ার মতো নয়, যেগুলোর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন, ভাইরাল জ্বর সাধারণত সহায়ক যত্ন ও সময়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফ্লু, সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে গুরুতর সংক্রমণ—ভাইরাল জ্বরের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দায়ী।
ভাইরাল জ্বরের সাধারণ লক্ষণ
উচ্চ তাপমাত্রা: সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ১০০.৪°F (৩৮°C) বা তার বেশি থাকে।
ঠান্ডা লাগা ও ঘাম: জ্বর ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে অনুভূত হয়।
মাথাব্যথা: হালকা থেকে গুরুতর মাথাব্যথা হতে পারে।
সর্দি বা নাক বন্ধ: শ্বাসনালির ওপর ভাইরাসের প্রভাবের কারণে দেখা যায়।
শরীরব্যথা: পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা ও ক্লান্তি লক্ষ্য করা যায়।
গলাব্যথা ও কাশি: কিছু ভাইরাল জ্বরে শ্বাসকষ্টের লক্ষণও থাকতে পারে।
ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধের উপায়
হাতের স্বাস্থ্যবিধি: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে বা মুখ স্পর্শের আগে বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করুন। কমপক্ষে ৬০% অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারও কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস: কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে দিন। ব্যবহৃত টিস্যু সঠিকভাবে ফেলে দিন এবং সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুয়ে ফেলুন।
ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো: অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছাকাছি না যাওয়া। ভাইরাল সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে সরাসরি সংস্পর্শ এড়ানো।
টিকা গ্রহণ: ফ্লু ও অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকা নেওয়া গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ভাইরাল জ্বরের চিকিৎসা
বিশ্রাম: শরীরকে সুস্থ হতে সাহায্য করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া।
জলপান বৃদ্ধি: পর্যাপ্ত পানি, ভেষজ চা বা পরিষ্কার ঝোল খাওয়া।
ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ: অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেন জ্বর ও শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
কুল কম্প্রেস: কপাল, ঘাড় ও কবজিতে ঠান্ডা কাপড় দিয়ে তাপমাত্রা কমানো।
সুষম খাদ্য: হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে শক্তি পুনরুদ্ধার করা।
ভাইরাল জ্বরের উপসর্গ একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে এবং অন্য রোগের সঙ্গে মিল থাকতে পারে। তাই সঠিক নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ভোরের আকাশ//হ.র