গাইবান্ধায় বজ্রপাতে মারা গেল কৃষকের গরু
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বজ্রপাতে এক কৃষকের গরুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারীর মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শহিদুল মিয়া (৩২) ওই এলাকার বাসিন্দা। গরুটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় লাখ টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সময় কৃষক শহিদুল মিয়া মুন্সিপাড়ার ওয়াফদা বাঁধ এলাকায় ঘাস খাওয়ার জন্য গরুটিকে (বকনা গাভী) রেখে আসেন। এরই মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। পাশাপাশি শুরু হয় বৃষ্টির বজ্রপাতও। এসময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গরুটি।
গরুর মালিক কৃষক শহিদুল মিয়া বলেন, বৃষ্টি শেষ হলে গরু আনতে যাই। গিয়ে দেখি বজ্রপাতে আমার গরুটি মারা গেছে। আমি কৃষি কাজ করে সংসার চালাই পাশাপাশি গরুটি লালন পালন করছিলাম। আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খুশু বলেন, বাঁধের ওপর ফাঁকা জায়গায় (বকনা গাভী) গরুটি বাধা ছিল। ওই সময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হলে গরুটি মারা যায়।
ভোরের আকাশ/আজাসাা
সংশ্লিষ্ট
গোপালগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে গোপালগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শরীফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি শামচুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত গভীর রাতে গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাট জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোঃ সাজেদুর রহমান জানান, গোপালগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শহরের থানাপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তাকে ওই স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।অপরদিকে, টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ খোরশেদ আলম জানান, শুক্রবার (১৬ মে) রাতে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া বাজার নামক এলাকা থেকে ছাত্রলীগের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি শামচুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলা, পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে।শনিবার (১৭ মে) বিকালে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি শামচুল হক এবং গোপালগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভোরের আকাশ/ এসআই
একটা সময় লোকমুখে সর্বাধিক জনপ্রিয় ধাঁধা ছিলো স্থানীয় মুরুব্বিরা নাতী-নাতনীদের সাথে গল্প করতেন ‘বাজার আছে ঘর নাই’ উত্তর ছিল বাবুর হাট। বাবুর হাট/বাজার হলো কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীনতম হাট। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে হোসেনপুরের প্রথম জমজমাট বাজার বাবুরহাট প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই হাটে সূচনা লগ্ন থেকে কোন ঘর ছিলনা।বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের সূত্রমতে সরকারি তালিকায় ১৬টি বাজারের মধ্যে বাবুর বাজারের নাম থাকলেও বর্তমানে বাজারের নেই বাস্তবিক অস্তিত্ব।জানা যায়, ১১ শতাংশ জায়গা নিয়ে বসতো এ হাট। দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসতো এ হাটে, প্রয়োজনীয় সকল পন্য কেনাবেচা হতো। কিন্তু কালের আবর্তে বাবুর হাট এখন শুধুই স্মৃতি। হাটের যায়গায় এখন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর শোভা পাচ্ছে। খেজমত নামের স্থানীয় এক মুরুব্বির মতানুসারে বাবুর হাটে কোনো ঘর না থাকলেও প্রায় ৪০ বছর আগে তার বাবা আব্দুল মজিদ অস্থায়ী ছোট একটা মুদি দোকান দিয়েছিল।কথিত আছে, বাবুর হাটের নামকরণ হয় ইংরেজ আমলের নীলকর বাবুদের নামানুসারে মূলত নীলকরদের হাতেই শুরু হয়েছিল বাবুর হাট।বাবুর হাটটি বিলুপ্তির পিছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ইংরেজ শাসকদের স্মৃতি কেউ ধরে রাখতে চায়না কারণ তৎকালীন ইংরেজ শাসকদের নিষ্ঠুরতম বর্বরোচিত করুণ আচরণ আজও কষ্ট দেয় মুসলিমদের এছাড়াও আশপাশে এখন পিতলগঞ্জ, পাগলা বাজার ও হারেঞ্জাসহ অসংখ্য হাট/বাজার গড়ে উঠেছে যেখানে সবরকম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যায়। প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার জমতো বাবুর হাট বর্তমানে একই দিনে জমে হাজীপুর বাজার।হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের চৌদার (সাহেবের গাঁও) এলাকায় নীলকরদের বাড়ি এবং চর পিতলগঞ্জ এলাকায় নীলকুঠির কার্যালয় ও পুরাতন পুকুরটি নীলকর সাহেবদের নানা স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে। বাংলার তদানীন্তন সুলতান আলা উদ্দিন হোসেন শাহের নামানুসারে হোসেনপুর পরগনার ব্রহ্মপুত্র নদের পুর্ব তীরে গড়ে উঠেছিল নীলকুঠি। আনুমানিক ১৭৩০ থেকে ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নীলকুঠি প্রতিষ্ঠা করে নীলের আবাদ শুরু করে। এক সময় এখান থেকে ইংল্যান্ডে প্রচুর নীল রপ্তানি করা হতো। প্রথম দিকে ইংরেজরা নীলের ব্যবসায় লাভ করলেও পরে ব্যবসায় ধস নেমে আসে।নীলকর ওয়াইজস্টিফেন্স ছিলেন এর মালিক ও ব্যবসায়ী। তখনকার সময়ে এ অঞ্চলে বাধ্যতামূলকভাবে চাষিদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হতো নীল চাষ। জানা যায়, ইংরেজ আমলে ফ্রান্সের অধিবাসী মাইকেল প্যাটেল হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের চৌদার (সাহেবের গাঁও) এলাকায় কারুকার্যময় একটি বাড়ি তৈরি এবং এলেনবেথ হেনসন জমিদার আমলে এ অঞ্চল নিয়ন্ত্রন করতেন।চর পিতলগঞ্জ বাবুর বাজার এলাকায় নীলকর কার্যালয়ের ধংসাবশেষ ও কার্যালয়ের পূর্ব দিকে সে আমলের একটি পুকুর রয়েছে। তাদের সুবিধার্থে তৎকালে কাছেই একটি বাজার জমানোর উদ্যোগ নেন পরবর্তীতে এটি বাবুর হাট/বাজার নামেই পরিচিতি লাভ করে। এলাকাটি আজও নীলের কুঠি হিসেবে পরিচিত। সিদলা, পিতলগঞ্জ, হারেঞ্জা, চৌদার, রানী খামার, সাহেবেরচর এলাকায় আজও ইংরেজ পাদ্রী,পিতল সহ অন্যান্য খ্রিষ্টান নীলকরদের কিংবদন্তি কাহিনী এ অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।হয়ত এখনকার প্রজন্ম এ ইতিহাস কমই জানে একটা সময় আর পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবেনা বাবুর বাজারের গল্প। ভোরের আকাশ/এসআই
ময়মনসিংহের ভালুকায় রাতের আঁধারে একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে পাঁচটি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬) রাতে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের লবণকোটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কঙ্কালগুলো হলো ওই গ্রামের মৃত শাহ আলম ড্রাইভার, ইয়াকুর আলী, তোকমান মোল্লাহ, কাশেম আলী জমাদার ও রহমত আলী জমাদারের।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চোর উপজেলার হাবিরবাড়ির লবণকোটা গ্রামের আইয়ুব আলী মাস্টারের পারিবারিক কবরস্থান থেকে পাঁচটি কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। হঠাৎ এমন ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সকালে স্থানীয় লোকজন কয়েকটি কবরের মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য মানুষের কঙ্কালের প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলোতে কঙ্কাল সরবরাহ করতেই মূলত বিভিন্ন স্থান থেকে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই কঙ্কালগুলো সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকে। সংঘবদ্ধ এই চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার দাবি স্থানীয়দের। ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কৃষকদের ফসল ও বিষ ও কীটনাশকমুক্ত ফল,উৎপাদন বাড়াতে দিনব্যাপী পার্টনার কংগ্রেস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বিষ ও কীটনাশকমুক্ত ফল, ফসল ও সবজি আবাদে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে। এ নিরাপদ কৃষি কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।শনিবার (১৭ মে) গোপালপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে কৃষি বিষয়ক এক পার্টনার কংগ্রেস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আশেক পারভেজ। এতে সভাপতিত্ব করেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন।জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক-কিষাণীদের নিয়ে প্রথমে গ্রুপ গঠন করছেন। এরপর এদেরকে যুগোপযুগী প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল কৃষিকার্ড প্রদান করা হচ্ছে।কৃষি বিভাগ সুত্রে জানানো হয়, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ, নামক প্রকল্পের আওয়তায় উপজেলার কয়েকটি গ্রামে কৃষক পার্টনার স্কুল গ্রুপ তৈরি করা হয়। এ সুসংবদ্ধ পার্টনার স্কুল গ্রুপের মাধ্যমে কৃষিবিদরা কৃষকদের নানামুখি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। প্রকল্পের কাজ সফলভাবে চলছে। নিরাপদ কৃষির মাধ্যমে উৎপাদিত কৃষি পণ্য দেশবিদেশে বাজারজাতকরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা আক্তার, প্রেসক্লাব সভাপতি জয়নাল আবেদীন, মৎস্য অফিসার সৌরভ কুমার, কৃষক আব্দুর রউফ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নবাগত সহকারি কমিশনার(ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাদিকুল হাসান ও মোঃ তৌসিকুর রহমান সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কৃষকগণ। ভোরের আকাশ/এসআই