মৌলভীবাজারে সীমান্তে আরো পুশইন
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরো ৫৮ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এনিয়ে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ দায়ে আটকের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩২ জনে।
গত কয়েকদিন থেকেই মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ পুশইন করতে থাকে। এর মধ্যে ৫২-বিজিবির হাতে পাল্লাতল ও লাতু সীমান্তে ১০৩ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পুলিশে সোপর্দ করে বিজিবি।
ইতোমধ্যে বড়লেখা থানা থেকে ৬৪ জন তাদের গন্তব্যে চলে গেছেন। থানায় রয়েছেন ৩৫ জন। এদের প্রায় সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও যশোর। অপরদিকে, কমলগঞ্জের ধলাই সীমান্ত দিয়ে আটক হওয়া ১৫ জনকে থানার মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টায় কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে নতুন করে ১৪ জন প্রবেশ করলে বিজিবি আটক করে। এদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন, মহিলা ৬ জন ও শিশু ৪ জন রয়েছে। ৪৬-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, আটকদের পরিচয় শনাক্তের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে। এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় দুইশত অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
সাবিহা আক্তার বিথি। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর এলাকার স্কুল দপ্তরী মর্জিনা আক্তারের এক মাত্র মেয়ে। ১২০ টাকায় পুলিশে চাকুরী পাওয়ায় বিথির দু চোখে আনন্দ অশ্রু যেন থামছে না।টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় আবেদন করে ৫০ জন পুলিশের চাকুরীতে প্রাথমিক নিশ্চিত হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) রাতে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনের গ্রীলশেডে ফলাফল প্রকাশ করে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এসময় চাকুরী পাওয়া প্রার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তরফপুর এলাকার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মর্জিনা বেগমের মেয়ে সাবিহা আক্তার বিথি। স্বপ্ন বড় হয়ে পুলিশে জয়েন করবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে ১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলো পুলিশের রিক্রুট কনেস্টবলে। এরপর পর পর কয়েকটি ধাপ পার করে চুড়ান্ত তালিকায় উঠে আসে বিথি। বুধবার টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনের গ্রীল শেডে তার নাম চুড়ান্ত তালিকায় দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বিথি। বিথির মতো রাখী সূত্রধর ও অনান্য চাকুরী পাওয়ারাও আনন্দে আত্মহারা।পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, একদম সচ্ছ ভাবে এবার পুলিশে নিয়োগ হয়েছে।এবার কোন কোঠা দ্বারা নিয়োগ হয়নি। সবাই বিনা কোঠায় নিয়োগ পেলো। এবার টাঙ্গাইলে ২৭ হাজার ৭১ জন আবেদন করেছিলো। এরপর ৫০ জনকে চুড়ান্ত করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
নওগাঁর মান্দায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেছে পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (পিএসএফ)।এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংস্থার সতীহাট কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।সংস্থার পরিচালক মনসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এইচআর এডমিন খালেদুর রহমান, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, প্রোগ্রাম অফিসার মোল্লা আজাদুল হক, নওগাঁর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন, সতীহাট শাখাা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ, মান্দা উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী আশরাফুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ প্রমূখ।উল্লেখ্য, ‘পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’ এর শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার মৈনম ইউনিয়নে শিশুদের নিয়ে ১৮টি স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে আজ বৃহস্পতিবার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর বাগেরহাট জেলা শাখা থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহবায়ক হলো অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জহরলাল সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সন্দীপ বিশ্বাস ও সদস্য সচিব মানবেন্দ্র মজুমদারকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটির বাকি যুগ্ম আহবায়ক সদস্যরা হলেন শাওন মজুমদার, কালীদাস রায়, কৃষ্ণ চন্দ্র মালাকার, মনি মোহন সরকার, শ্যামল বালা, বিধান গাইন, বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল, নিউটন রানা, বাদল সাহা ও সুশান্ত বৈদ্য।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো: মফিজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের একটি টাকাও যেন নষ্ট না হয়, সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। অনুন্নত সব এলাকাকে দ্রুত উন্নয়নের আওতায় আনতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের কাজের মান বৃদ্ধি করতে হবে। নাগরিকদের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন কালে এ কথা বলেন। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কাজের মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি আতাইকুলা থানা পরিদর্শন করে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও খোঁজখবর নেন।এসময় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যরা যেন নিয়মের মধ্যে সঠিক নিয়মে বাস্তবায়ন করে। কাজের মানে ত্রুটি ও অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। জনগণের কল্যাণ হয় ব্যাপক মানুষের উপকারে আসে এমন কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, নাগরিকদের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্রসহ যাবতীয় কাজে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে। সবার সঙ্গে চমৎকার ব্যবহার করতে হবে। আর প্রকল্পের কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে রাস্তবায়ন করতে হবে। কাজে কোন অনিয়ম করা যাবে না। যেসব কর্মকর্তা বা ব্যক্তি ভালো কাজ করবে এদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। আর অনিয়ম হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সবাই যারযার জায়গা থেকে ভালো কাজ করবেন। উন্নত ও মডেল পাবনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।এসময় তিনি গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে সার্বিক দিক নির্দেশনা দেন। কৃষকদের কাজ সহজ করতে মাঠের মধ্যে দিয়ে বৃহৎ বাজেটের রাস্তা নির্মানের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না, সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাদিয়া সুলতানা, আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম হাবিবুল ইসলাম, সাঁথিয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, আর আতাইকুলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, ইউনিয়ন সচিব সহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসআই