চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছর পর এবার এপ্রিলে সবচেয়ে কম তাপপ্রবাহ

চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছর পর এবার এপ্রিলে সবচেয়ে কম তাপপ্রবাহ

শিরিন জামান, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশ : ১১ ঘন্টা আগে

আপডেট : ১১ ঘন্টা আগে

চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছর পর এবার এপ্রিলে সবচেয়ে কম তাপপ্রবাহ

চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছর পর এবার এপ্রিলে সবচেয়ে কম তাপপ্রবাহ

প্রতিবছর এপ্রিল মাসে গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় তাপপ্রবাহ ‘আপন রূপে’ দেখা দেয়। গত বছরের ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরো এপ্রিলেই তীব্র গরম ভুগিয়েছিল মানুষকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, গত বছরের মতো এবছরও এপ্রিলে গরম তীব্র হতে পারে। এ নিয়ে জনমনে শঙ্কাও ছিল। কিন্তু এবার গরম থাকলেও ততোটা তীব্র হয়নি। গ্রীষ্মে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার জেলা হিসেবে পরিচিত চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের মধ্যে এবারের এপ্রিলে সবচেয়ে কম তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় মাসের শেষ দিন ৩০ এপ্রিল বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৭৯ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে এবার একই তারিখ ও সময়ে তাপমাত্রা কমেছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। গ্রীষ্মে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার জেলা হিসেবে পরিচিত চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের মধ্যে এবারের এপ্রিলে সবচেয়ে কম তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালে: এপ্রিল মাসে ২৫ দিন তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে ১৪ দিন প্রচণ্ড, ৯ দিন মাঝারি, ২ দিন মৃদু তাপপ্রবাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা মাত্র ১২ শতাংশ। ২০২৩ সালে: ২২ দিন তাপপ্রবাহ। ৮ দিন প্রচণ্ড, ৭ দিন মাঝারি, ৭ দিন মৃদু। ১৯ ও ২০ এপ্রিল ছিল ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে: ৯ দিন তাপপ্রবাহ। ২ দিন প্রচণ্ড, ২ দিন মাঝারি, ৫ দিন মৃদু। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২১ সালে: ২১ দিন তাপপ্রবাহ। ২ দিন প্রচণ্ড, ৮ দিন মাঝারি, ১১ দিন মৃদু। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২০২৫ সালে (চলতি বছর): ৯ দিন তাপপ্রবাহ। ২ দিন মাঝারি, ৭ দিন মৃদু। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২৩ এপ্রিল)।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, এ বছর তাপমাত্রা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে বৃষ্টিপাত। জেলার স্বাভাবিক গড় বৃষ্টিপাত ৩৯ মি.মি., গত বছর যেখানে মাত্র ২ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছিল, এবার রেকর্ড করা হয়েছে ৭০ মি.মি.।

ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-মধ্য ভারতের আবহাওয়ার সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার মিল রয়েছে। সেখানেও এপ্রিলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে, আকাশ মেঘলা ছিল, ফলে তাপপ্রবাহ কম ছিল।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি বছরের ৩ ও ৪ এপ্রিল বাদে দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিন বৃষ্টি হয়েছে। ১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট বৃষ্টি হয়েছে ৪৮২৬ মি.মি., এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২৩ এপ্রিল)।

আবহাওয়াবিদরা বলেন, বজ্রঝড়ই তাপপ্রবাহ কমাতে পারে। এবছর মৃদু তাপপ্রবাহের সময় বজ্রঝড় হওয়ায় তীব্রতা বাড়েনি, এবং দীর্ঘস্থায়ীও হয়নি। 

ভোরের আকাশ/এসআই

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিখোঁজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিখোঁজ

গোমস্তাপুরে রঙিন ভুট্টা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক

গোমস্তাপুরে রঙিন ভুট্টা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক

শিশুর শরীরে বার্ড ফ্লু  সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ

শিশুর শরীরে বার্ড ফ্লু সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ

কুকুরের উৎপাতে উড়োজাহাজ  অবতরণ-উড্ডয়ন ঝুঁকিপূর্ণ

কুকুরের উৎপাতে উড়োজাহাজ অবতরণ-উড্ডয়ন ঝুঁকিপূর্ণ

মন্তব্য করুন