মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩৬ পিএম
শীত গেলেও কম্বল এখনো চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে
শীতকাল পেরিয়ে গেলেও সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বল বিতরণ না করে ফেলে রাখা হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে। এতে শীতকালে শীতবস্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছেন হতদরিদ্র শীতার্তরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর প্রতিটি ইউনিয়নে শীতার্তদের জন্য কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নাজিরাবাদ ইউনিয়নে এ বছর সেই কম্বল এখনো ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি কক্ষে অরক্ষিতভাবে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আহমদ তার পছন্দের লোকদের এসব কম্বল দিতে চান। তাই তিনি বিতরণে গড়িমসি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সদস্য জানান, আমরা বারবার বলেছি কম্বল বিতরণ করতে; কিন্তু চেয়ারম্যান তা করেননি। এটা দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনার পরিচয়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হৃষিকেশ চৌধুরী জানান, কতটি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি মনে নেই। তবে যা পেয়েছি তার বেশিরভাগ বিতরণ করা হয়েছে। কিছু কম্বল হয়তো অবশিষ্ট রয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর ইউএনও মো. তাজ উদ্দিন বলেন, কম্বল বিতরণ না করে ফেলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ভোরের আকাশ/এসআই
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ঘন্টা আগে
আপডেট : ২১ ঘন্টা আগে
শীত গেলেও কম্বল এখনো চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে
শীতকাল পেরিয়ে গেলেও সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বল বিতরণ না করে ফেলে রাখা হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে। এতে শীতকালে শীতবস্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছেন হতদরিদ্র শীতার্তরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর প্রতিটি ইউনিয়নে শীতার্তদের জন্য কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নাজিরাবাদ ইউনিয়নে এ বছর সেই কম্বল এখনো ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি কক্ষে অরক্ষিতভাবে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আহমদ তার পছন্দের লোকদের এসব কম্বল দিতে চান। তাই তিনি বিতরণে গড়িমসি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সদস্য জানান, আমরা বারবার বলেছি কম্বল বিতরণ করতে; কিন্তু চেয়ারম্যান তা করেননি। এটা দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনার পরিচয়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হৃষিকেশ চৌধুরী জানান, কতটি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি মনে নেই। তবে যা পেয়েছি তার বেশিরভাগ বিতরণ করা হয়েছে। কিছু কম্বল হয়তো অবশিষ্ট রয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর ইউএনও মো. তাজ উদ্দিন বলেন, কম্বল বিতরণ না করে ফেলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ভোরের আকাশ/এসআই