নিষেধাজ্ঞা শেষ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৫ ০৫:৫৪ পিএম
মেঘনায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ
মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার জন্য মধ্যরাত থেকে নেমেছেন জেলেরা। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা নদীতে বিচরণ করার পরও কাক্সিক্ষত ইলিশ মিলছে না। ইলিশ না পেয়ে অনেক জেলে খালি হাতে ফিরছেন। তবে তারা পোয়া, শিলন, ভেলে, চেওয়া, ছোট চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পেয়ে কিছুটা স্বস্তি লাভ করেছেন।
শুক্রবার (১ মে) সদর উপজেলার তরপুচণ্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা। কেউ মাছ ধরার জন্য নদীতে নেমে যাচ্ছেন, আবার অনেকে জাল ঠিকঠাক করছেন। কেউ বা ধরে আনা মাছ পাড়ে বিক্রি করছেন।
আনন্দ বাজার এলাকার জেলে সুজন দেওয়ান জানান, তিনি বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় নদীতে নেমেছিলেন। নৌকায় ছিলেন ৩ জন। সকাল ১০টায় মাছ ধরা শেষে পাড়ে ফিরে এসেছেন এবং পেয়েছেন পোয়া ও ছোট প্রজাতির মাছ। বিক্রি করেছেন ৪ হাজার ৮০০ টাকা।
একই এলাকার জেলে মিজানুর রহমান বলেন, ভোরে নদীতে নেমেছিলেন এবং বেলা ১১টার দিকে ফিরে এসেছেন। ছোট সাইজের কয়েকটি ইলিশ ও পোয়া মাছ পেয়েছেন। বাজারে নিয়ে বিক্রি করলে খরচ উঠে যাবে, তবে কাক্সিক্ষত ইলিশ পাননি।
জেলে আরিফুর রহমান ঢালী জানান, তিনি ৪ জন মিলে নৌকা নিয়ে ভোরে নদীতে নেমেছিলেন। বেলা ১১টার দিকে উঠে এসেছেন এবং ৮ কেজি ওজনের পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ পেয়েছেন। বিক্রি করেছেন ১৪ হাজার টাকা। নিষেধাজ্ঞা শেষে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার কথা ছিল, তেমনটা হয়নি।
শহরের লঞ্চঘাট এলাকার জেলে বাচ্চু দেওয়ান বলেন, ভোরে নদীতে নেমে ইলিশ পাননি। তবে পোয়া মাছ পেয়েছেন এবং বিক্রি করেছেন ২ হাজার টাকা।
এদিকে, চাঁদপুরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সকাল থেকেই অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি আড়তে দেশীয় প্রজাতির পোয়া, বাটা, চিংড়ি সহ কিছু মাছ পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, ইলিশ পরিভ্রমণশীল মাছ, যা সাগর থেকে নদীতে আসে এবং আবার সাগরে ফিরে যায়। আশা করি, জেলেরা তাদের কাক্সিক্ষত ইলিশ পাবে। শুধু ইলিশই নয়, নদীর সব ধরনের মাছই মূল্যবান এবং জেলেরা তা পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইলিশের পোনা (জাটকা) রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সময় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল।
ভোরের আকাশ/এসআই
নিষেধাজ্ঞা শেষ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
মেঘনায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ
মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার জন্য মধ্যরাত থেকে নেমেছেন জেলেরা। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা নদীতে বিচরণ করার পরও কাক্সিক্ষত ইলিশ মিলছে না। ইলিশ না পেয়ে অনেক জেলে খালি হাতে ফিরছেন। তবে তারা পোয়া, শিলন, ভেলে, চেওয়া, ছোট চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পেয়ে কিছুটা স্বস্তি লাভ করেছেন।
শুক্রবার (১ মে) সদর উপজেলার তরপুচণ্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা। কেউ মাছ ধরার জন্য নদীতে নেমে যাচ্ছেন, আবার অনেকে জাল ঠিকঠাক করছেন। কেউ বা ধরে আনা মাছ পাড়ে বিক্রি করছেন।
আনন্দ বাজার এলাকার জেলে সুজন দেওয়ান জানান, তিনি বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় নদীতে নেমেছিলেন। নৌকায় ছিলেন ৩ জন। সকাল ১০টায় মাছ ধরা শেষে পাড়ে ফিরে এসেছেন এবং পেয়েছেন পোয়া ও ছোট প্রজাতির মাছ। বিক্রি করেছেন ৪ হাজার ৮০০ টাকা।
একই এলাকার জেলে মিজানুর রহমান বলেন, ভোরে নদীতে নেমেছিলেন এবং বেলা ১১টার দিকে ফিরে এসেছেন। ছোট সাইজের কয়েকটি ইলিশ ও পোয়া মাছ পেয়েছেন। বাজারে নিয়ে বিক্রি করলে খরচ উঠে যাবে, তবে কাক্সিক্ষত ইলিশ পাননি।
জেলে আরিফুর রহমান ঢালী জানান, তিনি ৪ জন মিলে নৌকা নিয়ে ভোরে নদীতে নেমেছিলেন। বেলা ১১টার দিকে উঠে এসেছেন এবং ৮ কেজি ওজনের পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ পেয়েছেন। বিক্রি করেছেন ১৪ হাজার টাকা। নিষেধাজ্ঞা শেষে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার কথা ছিল, তেমনটা হয়নি।
শহরের লঞ্চঘাট এলাকার জেলে বাচ্চু দেওয়ান বলেন, ভোরে নদীতে নেমে ইলিশ পাননি। তবে পোয়া মাছ পেয়েছেন এবং বিক্রি করেছেন ২ হাজার টাকা।
এদিকে, চাঁদপুরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সকাল থেকেই অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি আড়তে দেশীয় প্রজাতির পোয়া, বাটা, চিংড়ি সহ কিছু মাছ পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, ইলিশ পরিভ্রমণশীল মাছ, যা সাগর থেকে নদীতে আসে এবং আবার সাগরে ফিরে যায়। আশা করি, জেলেরা তাদের কাক্সিক্ষত ইলিশ পাবে। শুধু ইলিশই নয়, নদীর সব ধরনের মাছই মূল্যবান এবং জেলেরা তা পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইলিশের পোনা (জাটকা) রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সময় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল।
ভোরের আকাশ/এসআই