× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প

ভাঙনের হুমকিতে দুই কিলোমিটার বাঁধ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫ ১২:৩৪ পিএম

ভাঙনের হুমকিতে দুই কিলোমিটার বাঁধ

ভাঙনের হুমকিতে দুই কিলোমিটার বাঁধ

শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধের পুরো দুই কিলোমিটার অংশ ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। ভাঙনের ফলে নদী বাঁধের কাছে চলে আসায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ভাঙনের মুখে রয়েছে পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, নাওডোবা-পালেরচর সড়ক, মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর বাজার ও চারটি গ্রামের অন্তত ৫৫০ বসতবাড়ি। 

ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বাঁধের বিভিন্ন অংশ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর নভেম্বরে ওই বাঁধের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১০০ মিটার অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। এরপর বাঁধটিতে সমীক্ষা চালায় পাউবো ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। এতে দেখা যায়, এক কিলোমিটার অংশে বাঁধের কাছে নদী গভীর। সেখানে তলদেশ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আর বাকি ১ কিলোমিটার অংশের বাঁধের কাছে নদী চলে এসেছে। সেখানেও মাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে।

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পদ্মা নদী থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে সার্ভিস এরিয়া-২, সেনানিবাস, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের দিকে জমি অধিগ্রহণের সময় নাওডোবা এলাকায় পদ্মার ভাঙন শুরু হয়। পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা নদীভাঙনের কবল হতে রক্ষা করার জন্য তখন সেতু থেকে ভাটির দিকে ২ কিলোমিটার এলাকায় ১১০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার বণিক বলেন, গত বছর ওই বাঁধের যে ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়েছিল, তা সংস্কার করা হচ্ছে। ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এর বাইরেও বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকি রয়েছে।

স্থানীয় জামাল হোসেন, মামুন মাঝি ও পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন খান বলেন, বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বাঁধটির পাশে মহর আলী মাদবরবান্দি, আলম খাঁরকান্দি, ওছিম উদ্দিন মাদবরকান্দি ও কালাই মোড়লকান্দি গ্রাম অবস্থিত। এ ছাড়া মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর বাজার রয়েছে। বাঁধের পাশ দিয়ে নাওডোবা-পালেরচর সড়ক রয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে জাজিরার নাওডোবা, পালেরচর, বড়কান্দি, জাজিরা ও বিলাশপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। দ্রত বাঁধটি সংস্কার না করা হলে এলাকার পাশাপাশি পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়বে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধটি সেতু বিভাগ নির্মাণ করেছিল ১২-১৩ বছর আগে। ওই বাঁধে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতে বাঁধটি এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। বাঁধটি মজবুতকরণ করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাঁধটি মজবুতকরণ করা না হলে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।

 ভোরের আকাশ/আজাসা

  • শেয়ার করুন-
 ভুট্টার বাম্পার ফলন খুশি চাষিরা

ভুট্টার বাম্পার ফলন খুশি চাষিরা

 এসএসসির উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে ১০ শিক্ষক আটক

এসএসসির উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে ১০ শিক্ষক আটক

 ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান কর্তন

ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান কর্তন

সংশ্লিষ্ট

ভুট্টার বাম্পার ফলন খুশি চাষিরা

ভুট্টার বাম্পার ফলন খুশি চাষিরা

এসএসসির উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে ১০ শিক্ষক আটক

এসএসসির উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে ১০ শিক্ষক আটক

ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান কর্তন

ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান কর্তন

ট্রেনে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত, অবশেষে থানায় এসে আসামির আত্মসমর্পণ

ট্রেনে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত, অবশেষে থানায় এসে আসামির আত্মসমর্পণ