আজিজুল হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কাঁঠাল গাছের পাতা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনায় প্রতি পক্ষের আঘাতে নিহত আজিজুলের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের দাদপুর নতুন পাড়া গ্রামে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তারা আজিজুল হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, এক মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যা মামলার কোন আসাসী গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অথচ আসামি পক্ষের দেওয়া মিথ্যা লুটপাটের মামলার তদন্ত নিয়ে তৎপর তারা। আমরা দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার চাই।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে আজিজুল তার নিজ বাড়ির কাঁঠাল গাছের পাতাসহ ডাল কাটার সময় প্রতিবেশী হাজী আশরাফ আলীর জায়গায় সেটি পরে। পাতা সংগ্রহ করতে গেলে প্রথমে আশরাফ এতে বাঁধা দেয় এবং আজিজুলের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে আশরাফ ও তার দুই ছেলে নুর মোহাম্মদ এবং নুরে আলমকে সঙ্গে নিয়ে এসে আজিজুলকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম ও রক্তাত্ত করে।
এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় আজিজুলকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আজিজুলের পিতা শামছুল হক বাদি হয়ে উল্লাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র লক্ষ্যে খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে বিএনপির তারুণ্যের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১৭ মে)। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে দেশের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এছাড়া জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল নয়ন, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেকসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নেতা-কর্মীরাও এ তারুণ্যের সমাবেশের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগর ও জেলা-উপজেলা জুড়ে বিএনপির নেতার্কমীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ তৈরী হয়েছে। পোস্টার-ব্যানার ও বিলর্বোডে ছেয়ে গেছে শহরের রাস্তাঘাট, অলিগলি। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চলছে দিনভর মাইকিং। একই সাথে ব্যানার-বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে বিভাগের ১০জেলা ও ৬৮উপজেলায়, চলছে সবা-মতবিনিময়সহ নানান প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম।খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং যুবদল নেতৃবৃন্দ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাকস্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে তরুণ প্রজন্ম। তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এই সমাবেশ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের তরুণ প্রজন্মের রাজণৈতিক নেতাকর্মীদের মহামিলন। সমাবেশে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই বিভাগের সকল জেলা-উপজেলার নানা শ্রেণি-পেশা, মতাদর্শ, সামাজিক, রাজণৈতিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে উঠে আসা তরুণ-তরুণীরা। তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এই সমাবেশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এমন যুগান্তকারী কর্মসূচি বলে মনে করছেন তারা।খুলনা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ সুমন জানান, খুলনাসহ দক্সিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ তারুণ্যের সমাবেশ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে দেশবাসীকে উপহার দেয়া হবে। সমাবেশে দুই বিভাগের তরুণ সমাজের ও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে তারেক রহমানের নির্দেশনায় তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই একতাবদ্ধ। সমতা, সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে তরুণদের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। যে বাংলাদেশে তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তরুণদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিএনপি সকল বৈষম্যমূলক প্রথার অবসান ঘটিয়ে আধুনিক ও বাসযোগ্য দেশ গঠনে তরুণ প্রজন্ম বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।এদিকে, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের যৌথ তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশের আগে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবে তরুনদের দক্ষতা, ভাবনা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে নতুন দিগন্ত উন্মাচন ও জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের সাথে সংযুক্ত করতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সেমিনারে জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্্যথ-শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল নয়নসহ যুবদল, স্বেচ্চাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে, শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ সফলে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টুর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এতে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি, নয়টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভা বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি-আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক-সদস্য সচিববৃন্দ অংশগ্রহন করেন। ভোরের আকাশ/এসআই
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাছের ঘের কাটা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী জানান, কোটালীপাড়ার বর্ষাপাড়া গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সাথে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে জমিতে মাছের ঘের কাটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে আজ মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের লোকজনকে মারধর করে। এই মারধরের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, বিলে আমার একটি মাছের ঘের কাটা নিয়ে এলাকার মোকসেদ আলী ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজ শুক্রবার আমার লোকজন মোকসেদ আলী ফকিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করে। আমি লোকজন নিয়ে বাঁধা দিতে গেলে মোকছেদ আলী ফকিরের লোকজন আমাদের উপরও হামলা চালায়। হামলায় আমার প্রায় ২৫ জন লোক আহত হয়েছে।মোকসেদ আলী ফকিরের ছেলে আলামিন ফকির বলেন, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে লোকজন নিয়ে জোর করে আমাদের জমিসহ কয়েকজনের জমিতে মাছের ঘের কাটতে ছিল। আমরা বাঁধা দিলে ঘের কাটা বন্ধ হয়। আজ শুক্রবার ইব্রাহিম ফকির লোকজন নিয়ে আমাদের সেই জমিতে ঘের কাটতে যাওয়া দিলে আমরা বাঁধা দেই। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ি। সংঘর্ষে আমাদের কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ইব্রাহিম ফকিরের বিচার চাই।কোটালীপাড়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনেছি। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বর্তমানে উক্ত এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।শুক্রবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আটঘরিয়ার দেবোত্তরস্থ উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে পাবনা-চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন জামায়াতের নেতা কর্মীরা। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘন্টা ব্যাপী সমাবেশ শেষে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সহকারী সেক্রেটারি এস এম সোহেল ও আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নকিবুল্লাহ সহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা জামায়াতের অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে পবিত্র কোরআন শরীফ যারা পুড়িয়েছে তাদের গ্রেফতার ও দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অভিবাবক প্রতিনিধি নির্বাচন বাতিলের দাবী জানান।এদিকে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশেন পর উপজেলা বিএনপি শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে আটঘরিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।উল্লেখ্য, আটঘরিয়ার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অভিবাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংষর্ষের ঘটনায় উভয় দলের রাজনৈতিক অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ নেতা কর্মী আহত হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
কিশোরগঞ্জের ১৩ টি উপজেলার চিকিৎসা সেবার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে সরকারি সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এটি ২০১১ সালে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট রোগীর সেবার লক্ষ্যে স্থাপিত হয়। চিকিৎসা সেবা শুরু করা হয় ২০১৮ সাল থেকে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অদ্যাবধি চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন।(১৫ জানুয়ারি) বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ভুল ইনজেকশন পুশ করায় দুজন রোগী মারা যায়।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যে ইনজেকশনটি পুশ করা হয়েছিল সেটি ছিল এনাসথিয়া অজ্ঞান করার ইনজেকশন, যা থাকার কথা ছিল ওটিতে কিন্তু ঐ ইনজেকশন ওয়ার্ডে থাকায় দুই হানিয়া অপারেশনের রোগীকে সিনিয়র নার্স নাদিরা বেগমের ভুল করে পুশ করায়, তিন মিনিটের মধ্যেই দুজন রোগীই মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে।এ ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী নার্স নাদিরাসহ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার ভুল ইনজেকশন পুশ করার কথা স্বীকার করেন। পরে তদন্ত সাপেক্ষে সিনিয়র নার্স নাদিরাকে চাকরি হতে প্রত্যাহার করা হয়।২৬ দিনের মাথায় আবারও (১০ ফেরুয়ারি) তারিখে বিনয় সেন (৬৫) কিশোরগঞ্জ শহরের সতাল এলাকার মৃত নয়ন সেনের ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ উঠে, ঘটনার সততা যাচাই না করেই রোগীর আত্মীয়স্বজন ও বিক্ষিপ্ত জনতা হাসপাতাল ভাংচুর শুরু করে, বিষয়টি জানাজানির পর, পুলিশ, সেনাবাহিনী, হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।এ বিষয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার রোগী মৃত্যুর ভুল ইনজেকশন পুশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিনয় সেন মৃত্যুটি স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্তকমিটির রিপোর্টে ভুল চিকিৎসার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।লক্ষ্য করা গেছে প্রতিনিয়তই দূর দুরন্ত থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শত শত রোগী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং সিংহভাগ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট রোগীর চিকিৎসার জন্য ২০০ ডাক্তার এর প্রয়োজন, কিন্তু আমাদের আছে মাত্র ৮৫ জন ডাক্তার।তিনি আরও জানান, জনবল কাঠামোর সংকটের ঘাটতি পূরণ হলে আমরা আরো ভালো মানের চিকিৎসা সেবা দিতে পারতাম। গোপন সূত্রে জানা যায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ হাসপাতালের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথে একটি চক্র নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন এমনকি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে গুজব ছড়িয়ে হাসপাতালের চিকিৎসার মান ক্ষুন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ষড়যন্ত্রমূলক একটি অভিযোগ উঠেছে রাজিব চন্দ্র সূত্রধর নামের ওই সিনিয়র স্টাফ নার্স দীর্ঘদিন হাসপাতালের ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকলেও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের (দোলা ভাইয়ের) দাপটে নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ গণমাধ্যম কর্মী বৃন্দ অনুসন্ধান চালিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেন, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের প্রকৃতগত কোন শ্যালকেই নেই, এটি একটি কাল্পনিক, চক্রান্তমূলক সাজানো অভিযোগ বলে দাবি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সিনিয়র স্টাফ নার্স রাজিব চন্দ্র সূত্রধর এর অনুপস্থিত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানায়, রাজিব চন্দ্র সূত্রধর নিয়মিত অফিস করেন কিন্তু ভুলবশত কারণে মাঝে মাঝে বায়োমেট্রিক হাজিরায় কিংবা খাতায় হাজিরায় সাইন করেন না, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্ক করে দিয়েছেন।জানা যায়, গত বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিভিন্ন অভিযোগের উপর ভিত্তি করে মোঃ মোজাম্মেল হোসেন যুগ্ম সচিব ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ঢাকা, ডাক্তার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সহযোগী অধ্যাপক এনাথসি লজি বিভাগ ময়মনসিংহ, মোসাম্মাৎ জরিনা খাতুন অর্থ বাজেট ও সদস্য নাসি ও মিডওয়াইফাটি মহাখালী ঢাকা, আহমেদ হোসাইন সহকারি পরিচালক (শৃঙ্খলা) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা , খন্দকার রবিউল ইসলাম সিনিয়র সহকারি সচিব প্রশাসন (চার শাখা) ও সদস্য সচিব ঢাকা।এই পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য সেবা ঢাকা থেকে তদন্ত কমিটি কিশোরগঞ্জ সরকারি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। উল্লেখ্য কিছুদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করার হবে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসআই