কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫ ০৪:৩৯ পিএম
সংযোগ সড়ক তলিয়ে কিশোরগঞ্জে ফেরি চলাচল বন্ধ
একটানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কিশোরগঞ্জের ঘোরাউত্রা, ধনু নদীসহ হাওরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাটগুলোর সংযোগ সড়ক। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে করিমগঞ্জ, মিঠামইন ও ইটনার অন্তত পাঁচটি ঘাটের ফেরি চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাওরবাসী।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর জানায়, করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা ও চামড়াঘাট, মিঠামইনের শান্তিপুর, ইটনার বড়িবাড়ি ও বলদা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদী পার হচ্ছেন। কেউ কেউ হাঁটু পানি মাড়িয়ে পার হচ্ছেন তলিয়ে যাওয়া সড়ক।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হাওরাঞ্চলের সব নদ-নদীতে পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইটনা উপজেলার কুর্শি গ্রামের মো. ছোটন কবির বলেন, কয়েকদিন ধরে হাওরের নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ বাড়ি থেকে এসে দেখি ফেরিঘাটের রাস্তা তলিয়ে গেছে, যে কারণে ফেরি বন্ধ। আগে সহজেই ফেরি দিয়ে নদী পার হয়ে গাড়িতে করে শহরে আসতে পারতাম। ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে কষ্ট করে শহরে আসতে হয়েছে।
মিঠামইন সদর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মাফিজুল ইসলাম মাহফুজ বলেন, হাওরে পানি বাড়ায় ফেরিঘাট তলিয়ে গেছে। মিঠামইন থেকে নদীপথে বালিখোলা যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। অন্যদিকে ফেরিতে যেতে সময় লাগতো মাত্র এক ঘণ্টা। এতে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এছাড়া মালামাল পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, পানিবৃদ্ধির কারণে ফেরিঘাটের রাস্তা তলিয়ে গেছে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রতিদিনই হাওরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
ভোরের আকাশ/এসআই