গরুর খামারে ডাকাতি, নাতিকে বস্তাবন্দি করে দাদাকে হত্যা
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মুরাদপুর এলাকায় একটি খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা মিয়া নামে এক বৃদ্ধ খামারিকে হত্যা করেছে ডাকাত দল। মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে ঘটে এ ঘটনা।
চাষাবাদ ও গরু পালনের উদ্দেশ্যে মুরাদপুরের কাউলিয়া চরে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে নাতি মো. ইব্রাহিমকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করছিলেন তারা মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে ঘরে ঢুকে প্রথমে নাতি ইব্রাহিমকে বস্তাবন্দি করে এবং পরে দাদা তারা মিয়াকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর খামার থেকে চারটি গরু নিয়ে নৌকায় করে পালিয়ে যায় দলটি।
চৌহালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, যেখানে ডাকাতি হয়েছে, সেটা নির্জন ও চর এলাকা। ডাকাতদের চিহ্নিত করা খুবই কঠিন কাজ। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে দিনরাত পরিশ্রম করে দেশীয় পদ্ধতিতে ষাড় মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত হয়ে পরেছে খামারীরা। গো-খামারিরা কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, খৈলসহ বিভিন্ন দানাদার খাদ্য খাইয়ে মোটা তাজা করা হয়। এবার সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৪টি কোরবানির উপযোগী গবাদিপশু। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবছরেই এ জেলায় মোটাতাজা করা কোরবানির পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাট বাজারে বিক্রি করা হয়।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ একে এম আনোয়ারুল হক সবুজ এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় এবার প্রস্তুত গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভী রয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০টি, ছাগল প্রায় ৪ লাখ, মহিষ ৩ হাজার ৮৭৫ এবং ভেড়া ৬৭ হাজার ৩০৩টি। এবার এ জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। বাকি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৩টি পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে। চরাঞ্চলে ঘাসের প্রাচুর্যের কারণে সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু-ছাগল পালন করায় এই এলাকার পশুর চাহিদা অন্যান্য অঞ্চলে বেশি-বলেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।১৯৭৩ সালে সমবায় ভিত্তিক রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত করন কারাখানা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। গরুর খামার একসময় ছড়িয়ে পড়ে সারা জেলাতেই। বিশেষ করে উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, তাড়াশ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলেও খামার ও পারিবারিকভাবে এসব গরু খামারে বেশি লালন পালন করা হয়ে থাকে। এ সকল গো-খামারে প্রতি বছরই ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে ব্যাপকভাবে ষাড় মোটাতাজাকরণ করা হয়। এ বছরেও প্রানী সম্পদ বিভাগের দেয়া প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খর, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, খোল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাড় মোটা তাজাকরণ করছে খামারিরা। তবে খাদ্য, ওষুধসহ সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এ বছর পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনের খরচ বেড়েছে। তারপরও ভালো দাম পাবার আশায় শ্রম ও অর্থ দুটোই ব্যয় করছেন।অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরে গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় পশুপালনে ব্যয় বেড়েছে অনেকটাই। এর উপর যদি ভারত থেকে আসা গরু কোরবানির হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হয় তার জন্য লোকসানের আশঙ্কা করছেন গো-খামারিরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সড়ক-মহাসড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও হয়রানির আশঙ্কা রয়েই গেছে।প্রতি বছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় তিন থেকে চারশো টাকা। ফলে ষাড় মোটাতাজাকরণের ব্যয় বেড়েছে খামারিদের। এ বছরে উচ্চমুল্যের গো-খাদ্য খাইয়ে মোটাতাজা করা ষাড় সঠিকমুল্যে বিক্রি করতে পারলে লাভের আশা করছেন তারা। কিন্তু কোরবানির পশুর হাটে যদি ভারতীয় গরু অবাধে বিক্রির সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দেশীয় কোরবানির পশুর নায্য দাম না পাওয়ার আশংকা করছেন প্রান্তিক খামারিরা। এমনকি এসব পশু পরিবহনে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।কামারখন্দ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ ও বেলকুচি উপজেলার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, সড়ক পথে ট্রাক ও নছিমন-করিমনে পশু নিতে গেলে পথে পথে হয়রানি ও চাঁদা দিতে হয়। একইভাবে নৌপথেও কিছু এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে পশু নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।শাহজাদপুরের গরু ব্যবসায়ী মুন্সী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যমুনা নদী পথে পশু নিতে গেলে মাঝপথে জোর করে নৌকা থামিয়ে পশু নামাতে বলা হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন অনেক ব্যবসায়ীরা।সিরাজগঞ্জ সদরের গরু ব্যবসায়ী শিশির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ও মজিবর শেখসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের কড্ডা মোড় দিয়ে মহাসড়ক ছাড়া পরিবহনের বিকল্প পথ নাই। আমাদের এই মহাসড়কে অনেক ডাকাতি হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। আমরা সারা বছর কষ্ট করে গরু লালন-পালন করেছি, ডাকাতির কবলে পড়তে চাই না। ডাকাতের কবলে পড়লে সর্বশান্ত হয়ে যাবো। এজন্য মহাসড়কে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন।সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, গত রোজার ঈদে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সামনে কোরবানির ঈদে যেনো কোনো ডাকাতি বা চাঁদাবাজি না হয়, সে ব্যাপারে জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় রাখব আমরা। আমাদের একাধিক টিম থাকবে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ বলে জানালেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন। তিনি আরও জানান, পশুবাহী যানবাহন এবং হাট কেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার নিরাপত্তা থাকবে।সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় জানান, অনুমোদিত পশুর হাট ছাড়া অন্য কোথাও অস্থায়ী হাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।প্রশাসনের এমন উদ্যোগে আশাবাদী হলেও ব্যবসায়ীরা চান, মাঠপর্যায়ে এসব ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়ন হোক যেন তারা নির্বিঘ্নে পশু বিক্রি করতে পারেন। দিতে যেন না হয় মহাসড়কে চাঁদা। বৈধ-অবৈধ পথে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করাসহ মোটাতাজাকরা ষাড়ের নায্যমূল্য নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের গো-খামারিদের। ভোরের আকাশ/এসআই
টঙ্গীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়েছে একদল সন্ত্রাসী।এসময় দুর্বৃত্তরা হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে মরকুন টিএনটি বাজার কুস্তরী হোটেলে এ হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন হোটেল মালিকের দুই ছেলে শফিকুল ইসলাম শুভ (২৯) ও শহিদুল ইসলাম শান্ত (২৪)।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ৪৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ দুলাল মিয়ার মালিকানাধীন কস্তুরী হোটেলের কর্মী শহিদুল ও তারেকের সাথে রাতে কতিপয় দুষ্কৃতকারীর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা ফোন করে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হোটেলে হামলা চালায়। তারা হোটেলে ভাঙচুরের পাশাপাশি হোটেল মালিকের দুই ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় উপজেলায় দুটি পৃথক স্থান থেকে অজ্ঞাত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।বুধবার (২১ মে) সকালে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ললাটি বাস স্ট্যান্ড থেকে একজন ও সোনারগাঁ আষাড়িয়ারচর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ অজ্ঞাত মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। অজ্ঞাত দুই যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ মধ্যে হবে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, মরদেহ দুটির কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। সিআইডি ও পিবিআই তদন্ত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় সনাক্তে পুলিশি কার্যক্রম চলছে। ভোরের আকাশ/এসআই
রংপুরের পীরগঞ্জে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ নামে নতুন ভাইরাসে ফাঁকা হচ্ছে কৃষকের গোয়াল ঘর। এ রোগের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না অল্প বয়সের বাছুর এমনকি স্বাস্থ্যবান গরুও। চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে শত শত গরু। ফলে হতাশায় ভুগছেন গবাদিপশুর মালিকরা।উপজেলার অধিকাংশ কৃষকদের সংসারের একমাত্র সহায় সম্বল গরু। পল্লী অঞ্চলের কৃষক সারা বছর চাষাবাদ করে। আর এই চাষাবাদের অর্থ যোগান দেয় তাদের ঘরে লালন-পালন করা গবাদী পশু গরু। অধিকাংশ কৃষক চাষাবাদে বেশিরভাগ সময় লোকসান গুনে থাকে। বছর শেষে লোকসানের বোঝা হালকা করে থাকে এই গরু।সাম্প্রতিক সময়ে সেই গরুর নতুন আতংক লাম্পি স্কিন ডিজিস ভাইরাস। রংপুরের পীরগঞ্জে ১টি পৌরসভাসহ ১৫ টি ইউনিয়নে গরুর লাম্পি স্কিন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নামের রোগে।সরেজমিনে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে কথা হয় একাধিক গরু মালিকের সাথে। ভুক্তভোগীরা জানান, এ রোগ এতোটাই ভয়াবহ যে ঔষধ কোন কাজই করে না। সুস্থ সবল গরু সন্ধ্যায় গোয়াল ঘরে তুলে রেখে পরদিন সকালে গিয়ে দেখা যায় গরুর গোটা শরীর ফুলে গেছে। খুড়িয়ে হাটছে। ফুলে যাওয়া স্থানগুলো দু’এক দিনের মধ্যেই চামড়ার নিচে ফোস্কা পড়ার মতো হয় পরে দগদগে ঘা হয়। এরপর ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বের হয়। পল্লী চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, তেল, পাউডার জাতীয় কেন্ডুলা ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসা করেও অধিকাংশ গরু মারা যায়। বিশেষ করে শংকর জাতের ছোট বাছুর গুলোকে এই রোগে আক্রান্ত হলে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না।ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেন, চিকিৎসকের অভাবে লাম্পি স্কিনের স্থানীয় হাতুড়ী চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষ কে বোকা বানিয়ে এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন পুশ করে ইচ্ছে মতো টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও এলাকায় কিছু হোমিও চিকিৎসকও এক হাতে টাকা আরেক হাতে পানি পড়া দিয়ে টাকা নিচ্ছেন। এসব চিকিৎসার ব্যপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে ব্যপক প্রচারের প্রয়োজন থাকলেও তা করা হয় না। উল্টো গ্রামে-মহল্লায় তাদের দেখাই মেলে না। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছেন হাতুড়ে চিকিৎসকগণ।উপজেলার কাবিলপুর ইউপি’র জামালপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম, সাজেদুল বারী, বাদল মিয়া, ইয়াকুব আলী, আনোয়ার হোসেন, সমশের আলী, আজাদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, বাদশা মিয়া, হোসেন আলী, আনরুলের ১টি করে গরু ১ সপ্তাহের মধ্যে মারা গেছে। এছাড়াও কৃষ্ণুপুর গ্রামের রিপন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, মতিয়ার মিয়া, রাসেদুল ইসলাম। চতরা ইউনিয়নের সোন্দলপুর গ্রামের হাবিবর, সোনাতলা গ্রামের নওফেল হোসেন, বড়আলমপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মমদেল হোসেনের একটি করে গররু মারা গেছে।শানেরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম জানান, গত মাসে আমার ১টি বাছুর ও বড় ভাইয়ের একটি বাছুর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই ইউপি’র বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সকল বাড়িতে এই রোগের প্রার্দুভাব আছে।রায়তীসাদুল্যাপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, আমার দু’টি বাছুর গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসা করে অনেক টাকা ব্যয় করেও কোন ফল হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিস্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল কবির বলেন, ‘লাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসার জন্য সরকার কাজ করছে। এ রোগের ভ্যাকসিন হাতে পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ে আমরা সাধারণত খামারিদেরকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। ভোরের আকাশ/এসআই