ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের প্রধান সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে উপজেলার সারেংগল এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে অংশ নেয় ওই ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ। মানববন্ধনে সংগ্রামনীল পুলিশ বক্স থেকে সারেংগল বাজর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানানো হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ এক যুগ আগে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে রাস্তাটি ভাঙাচোরা ও বেহাল হওয়ায় কেওড়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এছাড়াও সড়কটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এম এ মান্নান লাবু, প্রভাষক এনামুল হক এনাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান বাবু, কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হক টুটুল ও শফিকুল ইসলাম রানাসহ আরো অনেকে। বক্তারা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
মাকে হত্যা করে পালিয়ে গেলেন বাবা। মায়ের লাশের পাশে কাঁদছিলো ছয় মাস বয়সি শিশু তুয়া মনি। মায়ের সাড়া না পেয়ে অবুঝ তুয়া লাশের পাশে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছিল। শিশুর কান্না শুনে বাড়ির ভাড়াটিয়া ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানায় তারা। তিনি এসে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে আকলিমা আকতারের মরদেহ দেখতে পান। পাশে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে অবুঝ তুয়া। ঘরে নেই বাবা আদনান ইসলাম। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী আদনান মিয়া।স্থানীয়দের অভিযোগ পারিবারিক কলহের কারণে আদনান তার স্ত্রীকে হত্যা করে ঘরে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। নিহত আকলিমা আক্তার (৩০) ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার ইমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পলাতক স্বামী আদনান ইসলাম (৩৫) একই জেলা থানার মন্ডলসেন গ্রামের এশার আলীর ছেলে। আদনান দম্পতি উপজেলার তলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের জয়নালের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। আকলিমা আক্তার ও আদনান ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার পৃথক পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন।পুলিশ ও বাড়ির লোকজনের সূত্রে জানা যায়, আকলিমা ও তার স্বামী ওই বাড়িতে প্রায় দুই বছর ধরে ভাড়ায় থাকেন। তাদের মধ্যে প্রায়সই ঝগড়া হতো। গতকালও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। বুধবার সকালে বাড়ির লোকজন ঘরের মেঝে আকলিমা আক্তারের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া নুরুন্নাহার জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠেই পাশের ঘরে শিশুর কান্না শুনতে পান। দীর্ঘ সময় পরো ঘরে কারো সাড়া শব্দ পাননি। এক পর্যায়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পান মেঝে আকলিমা পড়ে আছে। পাশে শিশু তুয়া কাঁদছে। বিষয়টি তিনি বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীন ঘরে ঢুকে মেঝেতে আকলিমার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মায়ের মরদেহের পাশে ছয় মাসের শিশু তুয়া মনি কাঁদছিলো। তার স্বামী ঘরে নেই।স্থানীয়দের ধারণা, আদনান তার স্ত্রীকে হত্যাকরে লাশ ঘরে ফেলে পালিয়ে গেছে। নিহতের ছোটভাই শামীম ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার বোন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাকে বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতো বোন জামাই। দুলাভাই আমার বোনকে হত্যা করে পালিয়েছে। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আব্দুল বারিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যা পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বগুড়ার আদমদীঘির সাঁওইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের প্রচন্ড গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরন, শিক্ষকদের একছুটি ১শ’ টাকা নেয়ার অভিযোগে অভিভাবক ও এলকাবাসীর দায়ের করা অভিযোগ তদন্তের সত্যতা মিলেছে।এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুর রহিম প্রধান জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অতিসত্বর একটি সিদ্ধান্ত আসবে।গত ৩১ ডিসেম্বর উপজেলার নসরতপুর ইউপির সাঁওইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী নুরুজ্জামান, জিয়াউর রহমান ও আবু বক্কর সিদ্দিক নামের তিন ব্যক্তি নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগটির তদন্তে নামেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, নাজিম উদ্দিন সোহেল ও সুবাস চন্দ্র পাল। তাঁরা তদন্তে ওই প্রধান শিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। সে অনুয়াযী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ২০২৪ সালের মহান বিজয় দিবস পালন করেননি। তিনি প্রতিদিনই ১০টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন, সরকারি বরাদ্দের অর্থ ইচ্ছামত খরচ করেন। নিয়মিত মিটিং করেন না, শিক্ষকদের প্রচন্ড গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। তিনি শিক্ষকদের প্রতি ছুটির (সি.এল) জন্য ১০০ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ছুটি মঞ্জুর করেন না। এছাড়া শিক্ষিকিারা তাদের শিশুকে ব্রেষ্ট ফিডিং করাতে গেলে খারাপ ব্যবহার করেন। সহকারী শিক্ষক এস, এম রহমত আলী, জয়নব, রোমানা, ফরহাদ, মোহসিন ও ইউনুস আলীসহ অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত টিমকে একই রকম লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। এতেই প্রমাণীত হয় যে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য। এদিকে তাঁর (প্রধান শিকের) লিখিত বক্তব্য উপস্থপন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন বক্তব্য পেশ করেন নি।এদিকে তাঁর (প্রধান শিক্ষকের) লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন বক্তব্য পেশ করেন নি।অভিযোক্ত প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদ জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সবই মিথ্যা।উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুর রহিম প্রধান বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। ব্যপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপ সীদ্ধান্ত দিবেন। ভোরের আকাশ/এসআই
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ৬ ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যানদের আটক করেছে পুলিশ।বুধবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষ করে বের হলে ফুলছড়ি থানা পুলিশ তাদের আটক করে।আটককৃতরা হলেন কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু, উড়িয়ার চেয়ারম্যান কামাল পাশা, গজারিয়ার চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান খুশু, ফুলছড়ির চেয়ারম্যান আজহারুল হান্নান, ফজলুপুরের চেয়ারম্যান আনসার আলী ও এরেন্ডাবাড়ির চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান আকন্দ।বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলছড়ি থানার ওসি হাফিজুল হক বলেন, আটককৃত চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে স্পেসিফিক কোনো অভিযোগ নেই। তবে ফুলছড়ি থানার একটি নাশকতা মামলায় তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তাদের আটকের পর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশজুড়ে আলোচিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পাবনার চাটমোহর উপজেলার সেই কবরস্থানের সভাপতি পদের নির্বাচন স্থগিত করেছেন স্থানীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।বুধবার (২১ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কবরস্থান নির্বাচন কমিশন প্রধান ও কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাস্টার।এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কবরস্থানে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলাজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়। আব্দুল মতিন মাস্টার জানান, উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার, মহরমখালী ও জগতলা (আংশিক) তিন গ্রামের সমাজ নিয়ে গঠিত ‘জান্নাতুল বাকি’ কবরস্থান কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী শনিবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক ও এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে। দুই-একদিনের মধ্যে গ্রামের প্রধান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে সমঝোতার মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেব বলে আশা করছি।নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সেখানে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে বলে জেনেছি। তারা নিজেরা যদি সবার সম্মতিতে একটা গ্রহণযোগ্য কমিটি দিতে পারে তাহলে সেটাই ভালো হয়। তবে কেউ যদি এ নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা আমরা গ্রহন করবো।সভাপতি পদের প্রার্থী উপজেলা যুবদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এখন সবাই যদি বসে আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি নির্ধারণ করুক তারা। আমি আর এর মধ্যে নাই। যাকে সভাপতি বানায় বানাক আমার কোনো আপত্তি নাই। আমি আর কমিটির মধ্যে থাকবো না। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। অনেক হুমকিও আসছে। সেগুলো আর বলতে চাইনা।’অপর প্রার্থী মূলগ্রাম ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। এলাকাবাসী দাবি জানান ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হোক। আর এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চাটমোহর উপজেলাসহ সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার মধ্যেই দুই প্রার্থী তাদের নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা করতে থাকেন। এ নিয়ে এলাকায় দুই দ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাও বিরাজ করতে থাকে। মানুষের মাঝে সংশয় এবং উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হলে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে।ভোরের আকাশ/এসআই