প্রান্তিক পেশাজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল কর্নারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ এবং সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিএইচটি সেন্টার খুলনার তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) মো. শফিকুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, সমাজে প্রতিটি পেশার গুরুত্ব রয়েছে। কামার, কুমোর, দর্জি, মুচি, সুইপারসহ দশটি শ্রেণির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সমাজসেবা অধিদপ্তর নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা আরও বলেন, কর্মের জন্য কাউকে ছোট করে দেখা উচিত নয়, বরং এসব পেশাজীবীদের পাশে থাকা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
আলোচনায় অংশ নেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অতীশ সরকার, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান ডাবলু, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারহাদ জামিল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস. এম. আজিজুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহিনুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন ও মুখপাত্র মোহিনী তাবাচ্ছুম প্রমুখ।
সভায় সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে লিচু খাওয়ার সময় গলায় বিচি আটকে আবু বক্কর (৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (২৪ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের ভৈরবনগর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর বিদ্যাকুট গ্রামের মো. তারেক জিয়ার ছেলে। ঘটনার সময় সে তার নানা বাড়ি ভৈরবনগর বেড়াতে গিয়েছিল।নিহত শিশু আবু বক্করের বাবা তারেক জিয়া বলেন, 'বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে ভৈরবনগর নানার বাড়িতে বেড়াতে যায় আবু বক্কর। শনিবার সকালে তার নানা বাজার থেকে লিচু নিয়ে যান। নানা বাড়ির উঠানে খেলাধুলার ফাঁকে লিচু খাচ্ছিল।এ সময় গলায় বিচি আটকে যে সে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায়।' পরিবারের সদস্যরা প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে শিশুটিকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া ৮ দিন বয়সী কন্যা শিশুটির বাবা মায়ের পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশুটি জাহানারা বেগম ও নুর মোহাম্মদ দম্পতির সন্তান। তাদের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বাঁশেরতল বকশির খামার এলাকায়।শনিবার (২৪ মে) দুপুরের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের একটি মোবাইল ফোন টাওয়ার সংলগ্ন মিলন মিয়া ও আসমাউল হোসনা দম্পতি তাদের বাড়ির ওয়াশরুমের পাশে একটি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে শিশুটিকে উদ্ধার করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির অভিভাবক না পেয়ে ভুরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে শিশুটিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ হলে ওই শিশুটির ভাই শুক্রবার রাতে শিশুটির মাকে ফোন করে এ তথ্য জানায়। রাত দুইটার দিকে অভিভাবক শিশুটির মা ভূরুঙ্গামারী থানায় যোগাযোগ করে।পুলিশ জানায়, আসমাউল হোসেন ও জাহানারা বেগম সম্পর্কে খালাতো বোন। গত ১৭ মে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে নুরজাহান বেগম একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।নুরজাহানের স্বামী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গত শুক্রবার সকালে ঘর থেকে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে ভূরুঙ্গামারীতে আসমাউল হোসনার বাড়ির পাশে গোপনে রেখে চলে যায়। পরে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী থানার সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ও নার্সের সহযোগিতায় শিশুটি এখন সুস্থ আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, শিশুটি সুস্থ আছে এবং তার অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউএনও, ওসি ও সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিততে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মাহমুদ জানান, শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরিচয় যাছাই বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে শিশুটিকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মিথ্যা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন প্রধান শিক্ষক।শনিবার (২৫ মে) বিকাল ৫টায় চিতলমারী প্রেসক্লাবে নিজস্ব কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত ভাবে পাঠ করে শোনান উপজেলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার সিকদার।তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৯৯৫ সাল থেকে সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। শিক্ষকতাই আমার পেশা। শিক্ষকতা ও শিক্ষাঙ্গনের বাইরে আমি কোন রাজনৈতিক দলের জড়িত ছিলাম না। তবে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে বিদ্যালয়ে উন্নতি স্বার্থে এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ব্যক্তি বা সংগঠনের সাথে চলাফেরা করতে হয়েছে। তবে মনে প্রাণে আমি কখনো কোন দলের সাথে জড়িত ছিলাম না। এখনো নাই এবং ভবিষ্যতে থাকবো না। আমি শিক্ষকতা পেশা নিয়ে থাকতে চাই।সম্প্রতি কিছু দুষ্কৃতকারী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ ও তাঁতী লীগের নাকি আমার নাম রয়েছে। প্রতিহিংসা মুলকভাবে কেউ আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এই মিথ্যা অপপ্রচারে বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জিন্নাত আলী শেখ চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাইদুর রহমান সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতিসহ অনেকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাইবান্ধা দারুল আমান ট্রাষ্টে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আমীর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি প্রভাষক মোঃ ওবায়দুল হকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ জহুরুল হক, বাইতুল মাল সেক্রেটারি মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য একেএম ফেরদৌস আলম প্রমুখ।অনুষ্ঠানে গাইবান্ধা সদরের সকল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্বের পাশাপাশি প্রতিজন জনশক্তিকে নৈতিকতার সাথে নিজেদের মানোন্নয়নের জন্য আহবান জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ