সাতকানিয়ায় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলা- উদ্বোধন
সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি ‘- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভূমি মেলা -২০২৫ শুরু হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়েরো সার্বিক সহযোগিতায় রোববার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। আজ রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী চলবে এ ভূমি মেলা।
এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম, সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত রেজা, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা মৌসুমী ও কানুনগো বাচ্চু মনি চাকমা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩ দিনব্যাপী এ ভূমি মেলার প্রথমদিন রোববার অনুষ্ঠিত হয় ভূমি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা। এছাড়া চলবে ভূমি বিষয়ক আড্ডা ও গণশুনানি। প্রচার করা হবে ভূমি বিষয়ক ডকুমেন্টারি। এছাড়াও উপজেলা ভূমি অফিসসহ স্থানীয় ৫ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস সমূহে চলমান থাকবে এ কর্মসূচি। সেবা প্রার্থীদের জন্য থাকবে ভূমিকা সেবা স্টল। যেখানে সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব দিবেন সেবা বুথে থাকা একজন ভূমি কর্মকর্তা। বুথে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারি আবেদনসহ অন্যান্য সেবা তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হবে। গুরুত্ব দেওয়া হবে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিস্তা করিম বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যতম একটি ক্ষেত্র হলো জনবান্ধব ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। এ ছাড়া নিশ্চিত করা হবে দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত ভূমি সেবা। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ভূমি সংক্রান্ত সেবা সমূহ অটোমেশনের মাধ্যমে জনগণের নিকট পৌঁছানোর লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
নওগাঁর মান্দায় গনেশপুর ইউনিয়নের সতীহাটে কলার পাতা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে দুই জন আহত হয়েছে।রোববার (২৫ মে) সকালে উপজেলার ৫ নং গনেশপুর ইউনিয়নের সতীহাটে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন-মান্দা উপজেলার গনেশপুর গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে পারভেজ (২৬) এবং পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে কালাম (৩৮)।প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, সতীহাটে সপ্তাহে ৩ দিন কলা বেচা-কেনা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল ১০ টার দিকে সতীহাট কলাহাটিতে কলা কেনা-বেচার এক পর্যায়ে কালাম নামে এক কলা ব্যাবসায়ী কলা কেনার পর তা কলার পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন। সেখান থেকে পারভেজ নামের এক কলা ব্যাবসায়ী অনুমতি ছাড়াই দু’টো কলার পাতা নেয়। এতে কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে ধস্তাধস্তি করার সময় তার হাতে থাকা কলার কাঁধি কাটা হাসুয়া লেগে পারভেজের পিঠ কেটে যায়। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে পারভেজের বাবা আতোয়ার রহমান ১০ থেকে ১৫ জন লোক ডেকে এনে কালামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আহতদের উভয়কে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছিলো।ভোরের আকাশ/এসআই
নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমির সুরক্ষিত মালিক হই”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ভূমি মেলা ২০২৫ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি উপজেলার ভূমি অফিসের কাছে সড়ক প্রদক্ষিণ করে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার, সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, সঞ্চালন করেন ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কমিশনার আজিজুল হক। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন আলআমিন ও গীতা পাঠ করেন টিপু শিল।প্রধান অতিথি বলেন, ভূমি সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি জনগণকে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ ক্রয়কৃত জমির নামজারি সম্পন্ন করার আহবান জানান। তিনি ভূমি মেলায় স্থাপিত সেবামূলক স্টল পরিদর্শনপূর্বক জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।এ সময় ভূমি সেবা সপ্তাহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, নান্দাইল বাজার কমিটির সভাপতি হাফেজ মোঃ ফজলুল হক, সাবেক পৌরসভার মেয়র আজিজুল ইসলাম পিকুল, জামাতের সভাপতি সামছুউদ্দিন, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান খোকন, সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল, সাংবাদিক হান্নান মাহমুদ।সহকারী কমিশনার ফয়জুর রহমান বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই ভূমি মেলা'র আয়োজন।উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ভূমি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জনগণকে অনলাইনে ভূমি সংক্রান্ত সেবা, নামজারি, খতিয়ান উত্তোলন ও ভূমি কর প্রদান সম্পর্কিত নানা তথ্য প্রদান করা হয়।মেলার আয়োজন করেছে উপজেলা ভূমি অফিস, নান্দাইল। সহযোগিতায় ছিলো ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প।ভোরের আকাশ/জাআ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেছেন, জনগণের দেয়া ট্যাক্সের টাকায় সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন হয়। যাদের টাকায় আমাদের বেতন হয়, আমরাই আবার তাদের প্রভু সেজে যাই।রোববার (২৫ মে) খুলনায় গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, যে সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করে, সে জ্ঞানত অন্যায় করতে পারে না। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন আমরা সবাই দুর্নীতি বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, একই সাথে মানসম্মত সেবা প্রদানের নিশ্চয়তাও দিতে হবে।তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা হতাশ হবে না। পরিবারকে যেমন সেবা করতে হবে, তেমনি লব্ধ জ্ঞান প্রজাতন্ত্রের কাজে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে উদ্যোক্তা হতে হবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আবদুল ওয়াদুদ। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, দুদকের মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) মোঃ আক্তার হোসেন, পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার ও পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বক্তৃতা করেন।দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)-এর আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে খুলনার সরকারি দপ্তরসমূহে সেবাবঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের অভিযোগ বিষয়ে সরাসরি এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে খুলনা সদরে অবস্থিত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গনমাধ্যমকর্মী, বিশিষ্ট নাগরিক ও অভিযোগ উত্থাপনকারী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বো আগামীর শুদ্ধতা’ এই শ্লোগান নিয়ে খুলনা মহানগরে সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের অভিযোগ সরাসরি শুনতেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুদক। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক তাৎক্ষণিক তদন্ত করার নির্দেশ বা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
মেলা গ্রামীণ ও দেশজ সাংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে। গ্রামীণ মেলা দেশজ মেল-বন্ধনের এক অন্যতম নিদর্শন। বাঙালির প্রাণের অনুষ্ঠান ঈদ বা পূজা-পার্বনের মতই মেলাতেও সবাই উঠে মেতে। মেলা উপলক্ষ্যে সবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ এবং কুশল বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই এলাকায় ঈদের পরেই স্থানীয়রা এই গ্রামীণ সোনারা মেলাকে গুরুত্ব দেয়।বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের শাঁওইল গ্রামে সোনারা মেলা বসছে একশ বছরের বেশি সময় ধরে। প্রতি বছর বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের দ্বিতীয় রবিবার এই সোনারা মেলা চিরাচরিত নিয়মে পালিত হয়ে আসছে। মূলত এই মেলা চলে তিন দিন। তবে মূল মেলা চলে দুইদিন। মূল মেলার পরের দিন মহিলাদের জন্য মেলা চালু রাখা হয়।প্রতি বছরই এই মেলাকে ঘিরে আদমদীঘি, তিলকপুর, আক্কেলপুর, দুপচাঁচিয়া, ক্ষেতলাল, কালাই, কাহালু উপজেলাসহ আশেপাশের উপজেলার গ্রামে গ্রামে চলে উৎসবের আমেজ। আত্মীয়-স্বজনের সমাগম আর কেনাকাটায় সরগমর হয়ে উঠে এলাকাটি। ব্যস্ততা বেড়ে যায় প্রতিটি বাড়ীতে। মেলা উপলক্ষে জামাতা ও আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করার রেওয়াজ বহুকাল আগের। বাড়িতে বাড়িতে বানানো হয়েছে খই, মুড়কি, নারকেল ও চালের আটার নাড়ু। মেলা থেকে বড় মাছ ও ফলমূল কিনে আনার দায়িত্ব পড়ে নতুন জামাইদের উপর।মেলায় বসেছে হরেক রকমের দোকানপাট। বড় বড় মাছ, রস গোল্লা, কাঠের সামগ্রী, নারীদের চুরি-ফিতা, গোশতের দোকান, ফলের দোকান, কাঁচা বাজার ও হরেক ধরনের আচারের দোকান। আগে এই মেলাতে চুন বেচাকেনা হতো। তবে এখন তেমন আর চোখে পড়ে না।ছাট ছেলেমেয়েদের জন্য মেলায় রয়েছে নাগরদোলা, চড়কি এবং নৌকা দোল। এছাড়াও প্রায় ৬০টিরও বেশি খেলনার দোকান রয়েছে।রোববার দুপুরে সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা গেল, পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। মিষ্টান্ন, খেলনা, চুড়ি, ফিতা, আলতা থেকে শুরু করে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিচিত্র জিনিসপত্র। এই মেলায় শুধু জিলাপি ভাজা হচ্ছে ৫০টির বেশি দোকানে। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। সকাল থেকে একটানা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত বেচা-বিক্রি। ঝুড়ি ভাঁজা (হুরুম) এই মেলার ঐতিহ্য।মেলায় এসেছেন পাশবর্তী জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গুডুম্বা এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, একটানা কয়েক বছর এই মেলায় মিষ্টির দোকান নিয়ে আসি। এবারও বেচাকেনা ভাল হয়েছে। তবে বিকেলে সবচেয়ে বেশি বেচা-বিক্রি হয়। আশা করছি ভাল বেচাবিক্রি হবে।তিনি অভিযোগ করে জানান, গতবছর প্রতি দোকান থেকে ১ হাজার টাকা করে খাজনা উঠানো হয়েছিল। এতে আমরা লাভ করতে পারতাম না। তবে এবছর খাজনা উঠানো হবে না বলে মাইকিং করা হয়েছে। খাজনা না দিলে অনেক দোকানদার এই মেলায় পণ্য নিয়ে আসবে। ফলে মেলা হবে আরও জমজমাট। আর বিক্রিও বাড়বে।কোমারপুর চারমাথায় মিষ্টান্নের দোকান বসিয়েছে স্থানীয় জিনইর গ্রামের আহসান হাবীব। তিনি জানান, মেলায় মিষ্টি বিক্রি করে লাভবান হই। প্রতিবছরই এই মেলায় আমরা দোকান বসাই। প্রচুর লাভ করি। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবছর প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি হবে।মেলায় দুপচাঁচিয়া উপজেলা থেকে এসেছেন তানভীর নামের এক যুবক। তিনি জানান, আমি স্থানীয়দের কাছে থেকে শুনে এই মেলা দেখতে এসেছি। মেলায় সবকিছুই আছে। তবে ইলেকট্রনিকস পণ্যের কোন দোকান দেখতে পাইনি। এছাড়া সবকিছুই ভাল লেগেছে।সোনারা মেলার নামকরন সম্পর্কে স্থানীয় এক প্রবীণ জানান, যেই পুকুর পাড়ে সোনারা মেলা বসে সেটি অনেক দিনের পুরাতন। আমরা আমার দাদা-দাদীদের কাছে শুনেছি-যে মেয়ের সোনার জন্য বিয়ে হতো না, সে যদি ওই পুকুরে ডুব দিত। তবে সে সোনার গয়না পেয়ে যেত। সেখান থেকেই এই মেলার নামকরণ করা হয়েছে সোনারা মেলা। ভোরের আকাশ/এসআই