ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫ ০৯:৩৬ পিএম
ফাইল ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাড়ে ঊনিশ হাজার পশু। এদের মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল, দুম্বা। এলাকায় চাহিদা রয়েছে প্রায় সতেরো হাজার পশুর। উদ্বৃত্ত থেকে যাবে সাড়ে ছাব্বিশ’শ পশু। বিক্রি নিয়ে শংকা থাকলেও লোকশান হবে না বলে জানিয়েছেন খামারীরা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও খামার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় ১৬ হাজার ৮৩৫ টি পশুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ টি পশু। এদের মধ্যে গরু ১২ হাজার ২৫ টি,মহিষ ২২২ টি,ছাগল ৬ হাজার ৯৮৫ টি, দুম্বা-ভেড়া ২০৫টি। কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার ৮৩৫ টি। উদ্বৃত্ত থেকে যাবে ২ হাজার ৬৩৫টি পশু।
উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের খামার মালিক ও পশু পালন কারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খামারের বাইরে ও অনেক ব্যক্তি গরু মহিষ ছাগল ভেড়া দুম্বা পালন করে থাকেন। গত বছর থেকে শ্রীপুরে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরের উপদ্রবে গ্রাম পল্লীতে কৃষক পর্যায়ে অনেকে গরু পালনে উৎসাহ হারিয়েছে। সঠিক পদ্বতিতে গরু পালন করলে এবং পশু খাদ্যের দাম সহনীয় থাকলে পশু পালন করীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। এবার বাজার ভালে তাই লোকশান গুনতে হবেনা বলে মনে করছেন তারা। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে কুরবানী কিছু টা কম হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
শ্রীপুর পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামের মাষ্টার এগ্রোর মালিক মাহফুজুর রহমান জানান, চোরের আশংকায় এবার গরু কম পালন করেছেন। তার খামারে জেলার সব থেকে বড় ৩০ মনের ভাওয়াল রাজা রয়েছে। তিনি গরুটির দাম হাঁকেন সাড়ে আট লাখ টাকা।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের ময়না ডেইরী ফার্মের মালিক মো. আ.কাইয়ুম জানান, এবার কোরবানীর জন্য তার খামারে ৮০ টি গরু প্রস্তুত করেন। তিনি খামার থেকেই গরু বিক্রি করে থাকেন। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশী গরু বিক্রি হয়ে গেছে। দু-তিন দিনের মধ্যে বিক্রি শেষ হবে। আল্লার রহমতে এবার লোকশানের শংকায় নেই।
উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের ডিজাইন এগ্রো পার্কের ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম জানান, এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারে ১৫০টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। এদের মধ্যে ১১০০ কেজির গরুসহ ৯০০ কেজির ভারতীয় কংকারাজ জাতের গরু। প্রকৃতিক ঘাস, খড়, দানাদার খাবার দিয়ে এসব গরু লালন পালন করা। এরই মধ্যে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। সব ঠিক থাকলে লোকশানের আশংকা নেই।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো. আশরাফ হোসেন জানান, কোরবানী উপলক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ১৯৪৬৭ টি গরু মহিষ ছাগল ভেড়া দুম্বা পালন করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১৬৮৩৫ টি পশুর। উদ্বৃত্ত থেকে যাবে ২৬৩৫ টি পশু। বৃষ্টির কারণে বাজার একটু থেমে আছে। দু’এক দিনের মধ্যে বাজার ঘোরে দাড়াবে। লোকশানের আশংকা না থাকলেও কুরবানী কমে গেলে বাড়তি চাপে পরবেন তারা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ