চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৪১ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের নিউ মন্ডল জুয়েলার্সের সিন্দুক কেটে প্রায় ৩৫-৪০ ভরি স্বর্ণ দুর্ধর্ষভাবে চুরি হয়েছে। এই ঘটনার পর গত ৩ দিনেও চুরিকৃত স্বর্ণ উদ্ধার না হওয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাপস কুমার মন্ডল (৪৫) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দিশেহারা পুরো পরিবার।
জানা যায়, সন্তোষপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত গোপাল চন্দ্র মন্ডলের ছেলে তাপস কুমার মন্ডল প্রায় ২২-২৩ বছর ধরে চিতলমারী সদরের কর্মকার পট্টিতে স্বর্ণের ব্যবসা করেন। গত ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে তার দোকানের সিন্দুক কেটে প্রায় প্রায় ৩৫-৪০ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়ে যায়। পরদিন দোকান খুলে এ বিষয়টি দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঙ্গী ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল ও আশেপাশে পরিদর্শন করেন এবং দোকানের আশে পাশে থাকা সকল সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত তাপস মন্ডল এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনার পর গত তিনদিনেও স্বর্ণ উদ্ধার কিংবা কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় নানা দু্ঃশ্চিন্তায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিভাবে তিনি দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করবেন, কিভাবে সংসার চালাবেন এবং কিভাবে পাওনাদারের দেনা মেটাবেন তা ভেবে দিশেহারা অবস্থা। তার স্ত্রী দীপিকা মন্ডল কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত তাপসের ছেলে একাদশ শ্রেণীতে এবং মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাপস কুমার মন্ডল এই বিষয়ে পুলিশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
তাপসের দোকানের প্রতিবেশী জ্যোতি টেলিকমের মালিক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত তাপস দোকানে বসে শুধু কাঁদছেন। প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব স্বর্ণ উদ্ধার করবে এটাই প্রত্যাশা।
চিতলমারী স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সমীর কর্মকার বলেন, সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চিতলমারী সদর বাজারে এতো বড় দুর্ধর্ষ চুরির সাথে যত শক্তিশালীরা জড়িত থাকুক না কেন; পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে বিশ্বাস করি। চিতলমারী বাজারের ৩০টা স্বর্ণ ব্যবসায়ী পুলিশকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বাগেরহাটের চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম শাহাদাৎ হোসেন জানান, ওই দোকানটির আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং মালামাল উদ্ধার ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভোরের আকাশ/জাআ