জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ সম্পাদক দাবি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৮ পিএম
সংগৃহীত ছবি
বাউফলে পুলিশের হাতে আটক সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ সম্পাদক দাবি করে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ।
আটক ছাত্রলীগের সাবেক ওই নেতার নাম মাইনুল ইসলাম। তিনি ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার বাবার নাম মো. আব্দুস সালাম সিকদার।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বাউফল থানার এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ মাইনুল ইসলামকে মমিনপুর গ্রাম থেকে আটক করে। তাকে আটকের পর মাইনুলের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ স ম ফিরোজের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক ওরফে অপুর পক্ষে নির্বাচন করেছেন। তিনি এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলামকে আটকের পর তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়েছেন কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ। তিনি থানায় এসে মাইনুলকে ছাড়ানোর জন্য তদবির করেন।
এ বিষয়ে গোলাম আবু সাইদ বলেন, “শুধু মাইনুল নয়, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতারাও সাবেক চেয়ারম্যান অপুর নির্বাচন করেছে৷ সে ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিলো না। আমার ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। তার জন্য স্বাভাবিক ভাবে আমাকে আসতে হয়।”
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “মাঈনুল নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত কিনা, তা নিশ্চিত হতে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।”
বাউফল সার্কেলের জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, “আটক করার বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে, আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হবে।”
ভোরের আকাশ/জাআ