ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০৯ এএম
ছবি- ভোরের আকাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ঘাটুরা এলাকায় বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির লিকেজ শণাক্তের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্যাসের লিকেজ মেরামতের নামে টিমের সদস্যরা বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে টাকা দাবি করছে। টাকা না দিলে গ্যাসের মাথা খুলে নেওয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়াসহ নানা অমানবিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সদর পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ড পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানীর একটি টিম অভিযান চালায়। এলাকাবাসী জানায়, কারো কাছ থেকে ১০ হাজার, ৫ হাজার, ৩ হাজার করে টাকা দাবি করা হয়; এমনকি একজনের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার ভিডিওর প্রমাণও রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইনচার্জ মুশফিক সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী কারো কাছ থেকে টাকা নেননি।' এলাকাবাসীর প্রশ্ন— তাহলে প্রকাশ্যে টাকা নিয়েছে কারা?
এদিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক ইয়াসিন মাহমুদসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
সদর থানার সদ্য সাবেক ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, 'বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির অভিযোগের তালিকায় সাংবাদিক ইয়াসিন মাহমুদের নাম রয়েছে। তদন্ত শেষে সত্য প্রতিবেদন দেওয়া হবে।' সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা অমিতাভ তালুকদার জানান, নাম রয়েছে, তবে চিন্তার কিছু নেই। তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিক ইয়াসিন মাহমুদ বলেন, 'আমি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম এবং আমার পরিচয়পত্র টিমের একাধিক ব্যাক্তির হাতে দিয়েছিলাম। তারপরও আমাকে মামলায় আসামি করা কতটা ন্যায়সঙ্গত।'
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ক্ষোভ জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ছোট কর্মচারী পর্যন্ত প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। তারা প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/জাআ