মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা হাসপাতালে নিহতের স্বজনদের আহাজারী
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দক্ষিণ ভরাট গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাউস আলী (৪০) নামের এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে।
শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতে ‘গ্রাউন্ডার মেশিন’ দিয়ে দেয়াল কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। গুরুতর অবস্থায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাংনী থানা ওসি বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতের বড়ভাই গিয়াস উদ্দিন জানান, নিজের ঘরের দেয়াল কাটা সময় তিনি গ্রাউন্ডার মেশিনে বিদ্যুৎসৃষ্ট হলে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার গান্ধীমারা বাজারে সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. নাসিরুল ইসলামের মার্কেট নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে নির্মাণসাইটে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন নির্মাণশ্রমিক আহত হয়েছেন।শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সংঘটিত এ ঘটনায় চারজন নির্মাণশ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এবং বাকি দুজনকে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন- মদাপুর ইউনিয়নের বৃ-গোপালপুর গ্রামের কাওসার মন্ডল (৩৫), আব্দুর রহমান (২৮), হাসান খান (৩০) ও চরমদাপুর গ্রামের হাসান মন্ডল (৩০)।আহত আব্দুর রহমান ও কাওসার মন্ডলের অভিযোগ, প্রবাসী নাসিরুল ইসলাম তার নিজ মালিকানাধীন ৬২ শতাংশ জমি ও জেলা পরিষদ থেকে লিজ নেওয়া অতিরিক্ত জমিতে মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্রভাবশালী মহল কাজে বাধা দিয়ে আসছিল।শুক্রবার সকালে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস ফকির ও তার সহযোগীরা (৩০ থেকে ৩৫ জন) নির্মাণ কাজে বাধা দিতে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে নির্মাণসাইটে থাকা শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর করে।খবর পেয়ে কালুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহতরা।অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস ফকির জানান, সেখানে কিছু কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হলেও কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তিনি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।এ বিষয়ে কালুখালী থানার ওসি মো. জাহেদুর রহমান বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
গাজীপুরের দক্ষিণ কাঁচপুরে অবস্থিত নেদায়ে ইসলাম বেপারী বাড়ী জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে এক হৃদয়ছোঁয়া আয়োজনে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান, আলিয়া মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ ও শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (২৩ মে) বিকাল ৪টায় আয়োজিত এ ধর্মীয় ও শিক্ষাবিষয়ক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের সভাপতি এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ মোঃ মতিউর রহমান বেপারী।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (পূর্ব), এন. এম. নাসিরউদ্দিন।এন. এম. নাসিরউদ্দিন বলেন, নৈতিক শিক্ষা ছাড়া জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। হাফেজ ও আলেমগণ শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায়ও মুখ্য ভূমিকা রাখেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন, টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ ইস্কান্দার হাবিবুর বলেন, মোঃ শহীদুল ইসলাম বাদলসহ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ ও সমাজসেবকগণ।অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব, চরিত্রগঠনমূলক শিক্ষা ও সমাজে নৈতিকতার চর্চার ওপর জোর দেন।আয়োজনটি ছিল সার্বিকভাবে দাওয়াতি ও উৎসবমুখর পরিবেশে পরিপূর্ণ। অনুষ্ঠানে পাগড়ি প্রাপ্ত হাফেজ ছাত্রদের চোখেমুখে ছিল অনাগত দিনের উজ্জ্বল স্বপ্ন, আর শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মুখে ফুটে উঠেছিল উৎসাহ ও কৃতজ্ঞতা।প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষার এই প্রচেষ্টাকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এমন আয়োজন আরও ব্যাপকভাবে করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ভোরের আকাশ/এসআই
ভোলার চরফ্যাশনে সাধারণ জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাস্তাঘাটে জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে সড়কে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে (চরফ্যাশন-ভোলা) মহাসড়কের চরফ্যাশন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর সামনে চেক পোস্ট বসিয়ে নৌবাহিনীর সদস্য ও ট্রাফিক পুলিশ এই অভিযান চালায়।অভিযানে গাড়ির কাগজপত্র ও বেশ কজন হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহীর নামে মামলা দেয় পুলিশ।এ সময় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল থামিয়ে চালানো হয় তল্লাশি।এ সময় অভিযানে চরফ্যাশন ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই নাইম বলেন, যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে এই অভিযান চলছে। অভিযানের মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।সবশেষে আমরা মোটরসাইকেল আরোহীদের আটক করছি। কারণ মোটরসাইকেলে অনেকে হেলমেট ব্যবহার করেন না। একই সাথে ওভার স্পীডে রাস্তায় চলাচল করে থাকে।তিনি আরো বলেন, সাধারণ জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাস্তাঘাটে জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নৌবাহিনী ও পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে এবং দুষ্কৃতকারীদের তৎপরতা যেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।ভোরের আকাশ/জাআ
গ্রীষ্মের দাবদাহ যখন প্রকৃতিকে রুক্ষ ও বিবর্ণ করে তুলতে চায়, তখনই প্রকৃতি নিজেই যেন এক নিপুণ শিল্পীর মতো তুলে ধরে তার রঙিন তুলি। মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার সড়কের দু’পাশ জুড়ে এখন চোখে পড়ে হলুদ ঝর্না ধারার মতো ঝুলে থাকা অসাধারণ এক ফুল সোনালু। বাঁদর লাঠি নামেও পরি-চিত এই ফুলটির ইংরেজি নাম ‘Golden Shower Tree ’। বৈজ্ঞানিক নাম ‘Cassia fistla’।বিশেষ করে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, শমশেরনগর, পতনউষার, আলীনগর, মাধবপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রামাঞ্চলের পথের ধারে ধারে ফুটে উঠেছে সোনালুর অপরূপ সৌন্দর্য। বাতাসে দুলতে থাকা এই ফুলের থোকাগুলো যেন প্রকৃতির রং তুলি দিয়ে আঁকা রঙিন দৃশ্যপট।পর্যটক, পথচারী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে তৈরি করছে প্রশান্তি ও আনন্দ। সোনালু ফুল সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে ফুটে থাকে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এটি বেশি দেখা যায়। ছোট-বড় অনেক গাছেই দেখা যায় এই ফুলের বাহার। ডাল থেকে ঝুলে পড়া থোকা থোকা ফুলের মাঝে থাকে গাঢ় হলুদ রঙের মাধুর্য। সূর্যের আলোতে ঝকমক করে এই ফুল, যা দূর থেকে দেখলে ঝুলন্ত সোনার মালার মতো মনে হয়। জানাযায় বন বিভাগের উদ্যোগে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় সোনালু গাছ রোপণ করা হয়েছে সড়ক ও মহাসড়কের পাশে। এটি শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, পরিবেশ রক্ষায়ও ভূমিকা রাখে। এর পাতা ও ডাল থেকে ছায়া পাওয়া যায়, যা গ্রীষ্মের খরতাপে এক প্রশান্তির আবেশ এনে দেয়।কমলগঞ্জের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আব্দুল কাদির বলেন, শুধু রূপেই নয়, গুণেও অনন্য সোনালু গাছ। এর বাকল, পাতাসহ বিভিন্ন অংশ আয়ুর্বেদিক ও হেকিমি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদ মতে, সোনালুর ফল পেট পরিষ্কার করতে সহায়ক।এছাড়া চর্মরোগ ও বিভিন্ন অস্ত্রের রোগ নিরাময়ে এই গাছের নির্যাস ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা লেখক ও গবেষক আহমেদ সিরাজ বলেন, “প্রতিবছর যখন সোনালু ফুটে, তখন মনে হয় প্রকৃতি নিজেই যেন একটি উৎসব আয়োজন করে। গ্রামের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে এই হলুদ ফুলের স্নিগ্ধতায় মন জুড়িয়ে যায়। আমরা চাই, এই ফুলকে ঘিরে আরও সচেতনতা তৈরি হোক এবং কমলগঞ্জের পর্যটনের নতুন উপকরণ হোক এই সোনালু। ভোরের আকাশ/এসআই