ফুলবাড়ীতে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ
অতি দরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে পবিত্র ঈদ-উল আযাহা উদযাপন উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দপ্রাপ্ত ভিজিএফ এর চাল ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সামেদুল ইসলাম ৯টি ওয়ার্ডের হত দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ করেন। এই ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে ৫৮১৫ জন হত দরিদ্রদের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দকৃত অনুদান হতদরিদ্রদের মানুষদের মাঝে সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ করতে পেরেছি। ঈদুল আযাহা উপলক্ষে দুইটি ইউনিয়নের হতদরিদ্র কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে এ চাল সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ করা হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহিনুর ইসলাম। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সাবেক সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব বাসায় পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় আমীরে জামায়াত শহরের শাহ মোস্তফা রোডস্থ দেওয়ান মঞ্জিলে মরহুম সিরাজুল ইসলাম মতলিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজ খবর নেন। মরহুমের দশ সন্তানের ৯ জন প্রবাসী। বাবার মৃত্যুতে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে দেশে এসেছেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের বড় ছেলে দেওয়ান শরীফুজ্জামান, দেওয়ান কামরুজ্জামান শিবলী , দেওয়ান মাশকুরুজ্জামান, দেওয়ান মুয়াজ উজ্জামান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সাবেক জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য আব্দুল মান্নান, জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী, প্রবাসী দায়িত্বশীল সুলতান আহমদ ও জালাল আহমদ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আলা উদদীন শাহ, মাওঃ হারুনুর রশীদ তালুকদার, আজিজ আহমদ কিবরিয়া, ছাত্র শিবির জেলা সভাপতি নিজামুদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।পরিবারের সদস্যদের সাথে অত্যন্ত আবেগঘন এ সাক্ষাৎ শেষে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান মরহুম দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিবের গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার গিয়াস নগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে ছুটে যান, মরহুমের কবর জিয়ারত করে উপস্থিত শত শত মানুষদের নিয়ে আন্দোলনের দীর্ঘদিনের সাথী মরহুম দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিবের সংগ্রামী জীবনের স্মৃতি স্মরণ করে কান্না জড়িত কন্ঠে মোনাজাত পরিচালনা করেন।আমীরে জামায়াত কে দেখতে বাড়িতে আসা এলাকার মানুষদের সালাম বিনিময় করে সকলের নিকট দোয়া চেয়ে বিদায় গ্রহণ করেন। শেষে আপনজনদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান।উল্লেখ্য যে, আমিরে জাময়াত সকাল ১১টায় কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণ বাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের নাফিজা জান্নাত আনজুম মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে মরহুমার, পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ।ভোরের আকাশ/জাআ
চট্টগ্রামে তেল পরিবহনে নিয়োজিত একটি ট্রেনের চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে নগরের সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লাইনচ্যুত সব ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জ্বালানি তেল বহনে ব্যবহৃত ট্যাংক ওয়াগনগুলো খালি ছিল। এগুলো তেল নেওয়ার জন্য নগরের চিটাগং গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে নগরের নিউমুরিং এলাকার তেল কারখানাগুলোতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় ওয়াগন চারটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর এগুলো উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত চারটি ট্যাংকের মধ্যে দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুটি উদ্ধারে কাজ চলমান। এ ব্যাপারে রেলের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিউমুরিং এলাকা থেকে তেলবাহী ট্যাংকগুলো চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও দোহাজারী, সিলেট ও রংপুর পাঠানো হয়।নগরের নিউমুরিং স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সকালে বলেন, সিজিপিওয়াই থেকে রাতে ট্যাংক ওয়াগনগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তেল ভরার জন্য। দুপুরে তেল নেওয়ার পর বিকেলে গন্তব্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন উদ্ধারে কাজ চলছে।এর আগে ১৯ জুন চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানিবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। ওই দিন দুপুরে নগরের আমিন জুট মিল থেকে অক্সিজেন সেকশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে ছিল প্রায় চার ঘণ্টা। চট্টগ্রাম নগর থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছিল ট্রেনটি। চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশন ছেড়ে হাটহাজারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। আট দিনের ব্যবধানে আবার জ্বালানি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুর জেলা যুবদলের পুর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ শে জুন) সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় দপ্তর সেল তেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।ঘোষিত পুর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটিতে আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে কামরুজ্জামান তুষার এবং সদস্য সচিব হিসেবে এমদাদুল হক মাসুদই রয়েছেন। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১৩ জনকে যুগ্ম আহবায়কের পদ দেওয়া হয়েছে। বাকী অন্য সকলকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।এর আগে ২০২৩ সালের ৫ সেস্টেম্বর মারুফ হাসানকে আহবায়ক ও এমদাদুল হক মাসুদ সদস্য সচিব করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। পরবর্তীতে জুলাই-আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগে জেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মারুফ হাসান এবং যুগ্ম আহবায়ক মোঃ বদিউজ্জামান রুবেল এবং রিয়াজ সিকদারকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। পরে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান তুষারকে আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোট পাথরঘাটা গ্রামের সাধনা রানী (৩৫) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) মধ্যরাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার স্কুলপড়ুয়া ছেলের অবস্থাও বর্তমানে আশঙ্কাজনক এবং তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগে বরগুনা শহরে প্রয়োজনীয় কাজে গেলে সেখান থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন সাধনা রানী। অসুস্থ হলে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়, পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে পাথরঘাটায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। ইতোমধ্যে বরগুনা জেলাকে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ ঘোষণা করা হয়েছে, আর সচেতন নাগরিকদের মতে পাথরঘাটাও এখন সেই চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।সাধনা রানীর মৃত্যু যেন পাথরঘাটার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের অভিযোগ—পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রায় নেই বললেই চলে। ২৭ জন চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক, যিনি মূলত একজন দন্ত চিকিৎসক (ডেন্টিস্ট)।যদিও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে, তবু চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে সেখানে রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা। ফলে অধিকাংশ রোগীকেই বরিশাল পাঠাতে হচ্ছে বা বাড়িতে থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।পাথরঘাটা পৌর শহরের ইমান আলী সড়কের বাসিন্দা মাওলানা জাকির হোসেনের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে তাকওয়াও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক না থাকায় বাড়িতেই চিকিৎসা দিতে হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশালে রেফার করা হয়।স্থানীয়রা বলছেন, শুধু মশা মারার ফগিং করলেই চলবে না, চাই দ্রুত ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ। চিকিৎসক নিয়োগ, জরুরি ওয়ার্ডে সেবার মান উন্নয়ন, ওষুধ সরবরাহ এবং মশা নিধন অভিযান আরও জোরদার করতে হবে।সাধনা রানীর মৃত্যুতে তার পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে ছেলের জীবন রক্ষার যুদ্ধ—দ্বিগুণ দুঃখে ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা।ভোরের আকাশ/জাআ