বেতাগীতে ভূমি সেবা উপলক্ষে বর্নাঢ্য র্যালি
"নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি”– এই স্লোগানসংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করে ভূমি মেলা ২০২৫ উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।
বরিবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভূমি সংক্রান্ত সেবা জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে জনগণকে উৎসাহিত করতে বরগুনার বেতাগী পৌর শহরে ভূমি মেলা ২০২৫ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সহযোগিতায় আয়োজিত এই র্যালিতে অংশ নেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, ভূমি অফিসের কর্মচারী এবং স্থানীয় জনসাধারণ।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী, বিশেষ অতিথি বেতাগী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সমর বেপারী, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান, পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান খান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি প্রভাষক মো. শাহাদাৎ হোসেন মুন্না।
এ সময় উপজেলা প্রশাসন ভূমি মেলায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। এতে ভূমি মালিকদের সময়মতো কর পরিশোধ ও সঠিক দলিল সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন জানায়, এই র্যালির মাধ্যমে শুরু হলো বেতাগীতে আয়োজিত ভূমি মেলা ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। মেলায় নাগরিকদের জন্য ই-নামজারি, খতিয়ান ও ম্যাপ সংগ্রহ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধসহ বিভিন্ন সেবাসমূহ সরাসরি প্রদান করা হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের ভূমি সুুরক্ষিত রাখি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জামালপুরে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলা শুরু হয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে এই ভূমি মেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।রবিবার (২৫ মে) দুপুরে শহরের ফৌজদারী মোড় থেকে এ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে জেলা প্রশাসন। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দেওয়ানপাড়াস্থ উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।পরে সেখানে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, মেলার মূল্য উদ্দেশ্য সরকারের ভূমি সেবাগুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা। ভূমি সেবা ডিজিটালাইজড করায় এখন ঘরে বসেই ভূমি সংক্রান্ত কাজ করা সম্ভব। কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই অনলাইনের মাধ্যমে নামজারিসহ অন্যান্য ভূমি সেবা প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখার ইউনুস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন, জামালপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলে এলাহী মাকামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলায় জেলা প্রাশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা, রাজস্ব শাখা, রেকর্ড রুম শাখা, জামালপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিস, পৌর ভূমি অফিস, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, সেবা বুথসহ মোট সাতটি স্টল স্থান পেয়েছে। ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রণীত,Criminal rules and Orders এর বিধি অনুযায়ী নোয়াখালীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৫ মে) বিকাল সাড়ে চার টায় নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর সম্মেলন কক্ষে জেলার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন এর সভাপতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল বলেন, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে বিচার কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনা করা যায়। তিনি বলেন, এই কনফারেন্সের মুল উদ্যেশ্য হলো একে অপরের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান ত্রুটি বিচ্যুতিসমূহ দূর করে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার কার্যক্রমকে গতিশীল করে মানুষের মাঝে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির পথকে সুগম করা। আলোচনায় বিচারিক কার্যক্রম এর সাথে জড়িত সকল দপ্তরকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিচার ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এমদাদ এর সঞ্চালনায়, এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরজাহান বেগম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এমদাদ, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুক, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজিব আহমেদ চৌধুরী , নোয়াখালী জেলার বিজ্ঞ পিপি মোঃ সাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসাইন বুলবুল, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ গন।কনফারেন্সে নোয়াখালী জেলায় বিচারাধীন মামলার ত্রুটি বিচ্যুতি চিহ্নিতকরণ এবং মামলার অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কনফারেন্সে বক্তারা ফৌজদারি বিচার কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটগণের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়সাধন জোরদার, সময়মত আইনানুগভাবে প্রদত্ত মেডিকেল সার্টিফিকেট, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন,ফরেনসিক রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট নিশ্চিতকরণ, বিচারাধীন মামলা সমূহের সমন, ওয়ারেন্ট, হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা দ্রুত জারিকরণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা নিরসনের উপায় চিহ্নিতকরণ, যথাসময়ে সাক্ষী হাজির নিশ্চিতকরণ এবং সাক্ষীদের আদালতে আগমন ও প্রত্যাবর্তিকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্রে শৈথিল্য দূরীকরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।এছাড়াও প্রত্যেকের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করাসহ ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করণের লক্ষ্যে ফলফসু আলোচনা করেন।ভোরের আকাশ/এসআই
ঈশ্বরদীরস্থ পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যেকার উত্তেজনা ও গুলাগুলির ঘটনায় অশান্ত চরে চাষাবাদ করতে গিয়ে ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে চর থেকে কৃষকের দুইটি বড় আকারের গরু লুট করে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খেয়েছে।রোববার (২৫মে) দুপুরে পাবনা ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িস্থ পদ্মা চরে আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার কাকন বাহিনী এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। বর্তমানে চরে কেউ গেলেই তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিটসহ রক্তাক্ত জখম করছেন।আহতরা হলেন- উপজেলার সাঁড়া ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আইযুব আলীর ছেলে আনছার মাঝি (৬৭), আনছার মাঝির ছেলে মজনু ( ৩৫), একই উপজেলার মাঝদিয়া এলাকার সাদেকের ছেলে মাছিদুল (৩৬) ও মজিদুল (৪০), দুলাল খার ছেলে লিটন (৪০) এবং সোহান, আরাফাত ও এজাজুল।আহতদের মধ্যে আহত লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই প্রান্তিক কৃষক। পদ্মানদীতে জেগে উঠা নিজস্ব ও লিজ নেওয়া জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন তারা।আহত আনছার মাঝি, মজনু, মাছিদুল, সোহান ও আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা নদীর চরে ও নদী থেকে বালু উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনির সঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতা ভেড়ামারার বাহাদুরপুর এলাকার ইঞ্জিনিয়ার কাকনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, হামলা, গুলাগুলির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমরা কৃষক। আমরা তো কারও পক্ষের লোক না। পদ্মানদীতে জেগে ওঠা আমাদের পৈত্রিক জমিতে চাষাবাদ করি। ঘটনার দিন আমরা নৌকা যোগে চাষাবাদ করার জন্য চরে যায়। সেই সময় কাকনের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করেছেন। তারা আমাদের দুটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খেয়েছেন।ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও আবাসিক চিকিৎসক সাহিদুল ইসলাম শিশির বলেন, আহতদের মধ্যে লিটনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এবিষয়ে লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এব্যাপারে কেউ অভিযোগও দেয়নি। ভোরের আকাশ/এসআই
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উপজেলায় তিন দিন ব্যাপী ‘ভূমি মেলা ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। মেলা উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (২৫ মে) সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভূমি অফিসের আয়োজনে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড, ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সহযোগিতায় এই ভূমি সেবা প্রদান চালু করা হয়। ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ডিজিটাল সেবার প্রচলন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করাই এই মেলার মূল উদ্দেশ্য।র্যালিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ গ্রহণ করেন। র্যালিতে অংশ গ্রহণকারীরা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যাতে ভূমি সেবা সংক্রান্ত তথ্য ও সচেতনতামূলক বার্তা ছিল। র্যালি শেষে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল হক।তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান ও জমির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’-এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ভূমি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। সাধারণ জনগণ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং প্রশাসনের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন সুদৃঢ় করে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের মেলা আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা।ভোরের আকাশ/এসআই