ঝিনাইদহে ৩ বাড়িতে ‘অজ্ঞান পার্টি’র হানা, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামে অজ্ঞাত পার্টি হানা দিয়েছে। বুধবার (১৪ মে) গভীর রাতে দুবৃত্তরা ৩ বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ওই গ্রামের গফুর মোল্লা জানান, গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সকালে জ্ঞান ফিরলে তারা ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান এবং মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যাওয়ার বিষয়টিও বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘর থেকে নগদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণের গহনা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেকবই লুট করে নিয়ে গেছে।
একইভাবে প্রতিবেশী মনোরঞ্জন বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেয় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এ সময় সেখান থেকে ১ ভরি স্বর্ণের গহনা ও ২ ভরি রুপার গহনা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও প্রতিবেশী আরও একজনের বাড়ি থেকে ২ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ টাকা লুট হয়েছে।
শৈলকুপার ভাটই থানার এ এস আই রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা গিয়েছিলাম এবং তদন্ত চলছে। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও শৈলকুপায় একই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মনোনীত হন স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুনুর রশিদ। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তার লোকজন কলেজে এসে হামলা ও ভাংচুর চালায়। তাকে সভাপতি হিসেবে গ্রহণ করতে না পেরে উচ্চ আদালতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের রীটে আটকে যায় তার সভাপতি পদ। বর্তমানে এই কলেজের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন জেলা প্রশাসক।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কলেজের এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ মার্চ। এরই মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কর্তৃপক্ষের পূর্নাঙ্গ কমিটির কাগজপত্র পেয়ে কোন ধরণের সমাধান না দিয়ে নতুন করে ২৪ এপ্রিল শুধুমাত্র মো. হারুনুর রশিদকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে অধ্যক্ষকে চিঠি দেয়। এতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরী রানী সাহা সংক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ আদালতে রীট দায়ের করলে হারুনুর রশিদের সভাপতি পদ স্থগিত হয়। বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে কলেজটির এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্বে জেলা প্রশাসক।এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি প্রেরণসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।এই কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন ডাঃ আনোয়ারা হক। তিনি ৬ মাসের জন্য মনোনীত হন। আর এর মেয়াদ শেষ হয় ৩১ মার্চ। তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। প্রস্তাবিত কমিটির বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিয়মে নিস্পত্তি না করে ২৪ দিন পর সভাপতি ডাঃ আনোয়ারা হক এর মনোনয়ন পরিবর্তন পূর্বক তদস্থলে মো. হারুনুর রশিদকে মনোনয়ন প্রদান করেন।কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোনীত সভাপতিকে কোন ধরণের আমন্ত্রণ কিংবা টেলিফোনে সভাপতি হিসেবে চিঠি পেয়েছেন এমন তথ্য নিশ্চিত করেননি। যে কারণে সভাপতি হারুনুর রশিদ নিজেই গত ৭ মে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের সাথে বৈঠকে বসেন। ওই সময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন না। এই বৈঠকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।ওই বৈঠকের পর সভাপতি তার দায়িত্বভার আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেয়ার কোন তথ্য না পাওয়াগেলেও তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরী রানী সাহাকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন পরিসংখ্যান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেনকে।নতুন করে নিয়োগ পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ নিয়োগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসরণ করে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কী-না তা আমি জানিনা। সভাপতি নিয়োগ প্রদান করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। এখানে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ হয়েছে কীনা সে বিষয়ে সভাপতি বলতে পারবেন।দেলোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ৭ মে সভাপতি হিসেবে কলেজে এসে কোন ধরণের নোটিশ ছাড়া মিটিং করে কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন?এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। তিনি (সভাপতি) ৭ তারিখে এসে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ পরিবর্তন হবে। পরদিন ৮ তারিখ ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। অধ্যক্ষের কক্ষ বন্ধ থাকায় নতুন করে রেজুলেশন বুক নিয়ে তিনি (সভাপতি) সভার রেজুলেশন তৈরী করে নিয়েছেন।এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মো. হারুনুর রশিদকে সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব না পাঠানোর কারণে কলেজের সামনে মানববন্ধন, কলেজ ক্যাম্পাস ও অধ্যক্ষের কক্ষে ভাংচুর, শিক্ষককে লাঞ্ছিত এবং শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পুরো ঘটনায় জড়িত সকলেই মো. হারুনুর রশিদের অনুসারী। এই বিষয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ হয় স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফরিদগঞ্জ থানায় আবেদন করেন।উপজেলার সনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারীদের জন্য ভীতসন্তস্ত থাকেন কলেজটির অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্টের জন্য দায়ী ব্যাক্তি মো. হারুনুর রশিদকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটির নতুন সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরী রানী সাহা সংক্ষুব্ধ হয়ে ২৮ এপ্রিল উচ্চ আদালতে একটি রীট করেন।উচ্চ আদালত এই রিটের বিষয়ে ২৮ ও ২৯ এপ্রিল এবং ৪ মে শুনানি শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত সভাপতির ওই চিঠির কার্যকারিতা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সাথে এই বিষয়ে জবাব দিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিষ্টার, কলেজ পরিদর্শক বরাবর রুল জারি করেন। পাশাপাশি এই তিন মাস কলেজ শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদান ও কলেজের প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক স্বাক্ষরের জন্য জেলা প্রশাসক চাঁদপুরকে নির্দেশনা দেয় উচ্চ আদালত।ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরী রানী সাহা বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশের কপি জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করা হয়েছে এবং বিষয়টি আমি নিজেও মৌখিকভাবে জানিয়েছি।২৪ ঘন্টার মধ্যে কীভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ বলেন, এই পদ স্থায়ী নিয়োগ নয়, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি, এটি তেমন কিছু নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসরণ না করে নিয়োগ কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুর্বের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কমিটির লোকজনের বিষয়ে অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এভাবে একটি কলেজ চলতে পারে না। এই জন্য তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়ে আপনার পদ স্থগিত করা হয়েছে এই বিষয়ে আপনি জেনেছেন কিনা, এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ফেসবুকে দেখেছি। এরকম হয়ে থাকলে এটি আইনগত বিষয়। সেভাবে দেখা হবে।গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উচ্চ আদালতের আদেশ সংক্রান্ত কোন কপি জেলা প্রশাসক পেয়েছেন কীনা জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন পেয়েছেন বলে নিশ্চিতকরেন। ভোরের আকাশ/এসআই
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর দুটি দল অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। সড়ক বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণ কাজসহ রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আমলে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুর্নীতি দমন কমিশন এর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশেক্রমে দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয় এ অভিযান শুরু করে। দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়ের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মোঃ সোহরাব হোসেন সোহেল ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমিন হোসেন।গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় জানান, প্রথমে বৃহস্পতিবার দিনভর গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয় পরে টেকেরহাট-ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সড়কের ৩৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর হতে টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশের কাজ কয়েক বছরেও শেষ হয়নি। কিছু ব্রিজের উপর পিচ না থাকায় সমতল রাস্তা হতে ৫-১০ ইঞ্চি নিচু হওয়ায় ও সতর্কতা সাইন না থাকায় হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে ও গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তার কাজ শেষ না হতেই বিভিন্ন স্থানে ফাটল এবং ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালে কাজ শুরু হলেও অদ্যাবধি কাজ শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দলটি।তিনি জানান, গোপালগঞ্জ শহরের প্রবেশ পথে পুলিশ লাইন্সের আগে হরিদাসপুর সেতুতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নিম্নমানের লাইট স্থাপন করা হয়। তাই সেই লাইট গুলি কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত সড়কে সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে এতে চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। সড়ক ও সেতুর মেরামত খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় সাধারণ জনগণ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।বিজন কুমার রায় আরও বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে নড়াইল যাওয়ার পথে চাপাইল সেতুর নিম্নমাণের লাইটসমূহ দীর্ঘদিন নষ্ট হলেও মেরামত না করায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মেরামত খাতের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় লাইটগুলো ঠিক হচ্ছে না। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের হরিদাসপুর সেতু ও চাপাইল সেতুর লাইট দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হলেও মেইনটেইনেন্স না করায় জনদুর্ভোগের বিষয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া সড়কে ৬০০টি ৩০ ওয়াটের স্ট্রিট লাইটের পরিবর্তে ২০ ওয়াট লাইট দেয়ায় আলো কম হয়ে জনদুর্ভোগ ও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে সরেজমিনে লাইট পরিদর্শন করা হয়। এসব অনিয়ম ও অভিযোগ তদন্ত করে দুদকের টিম সত্যতা পেয়েছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ঢাকা-খুলনা মহাসড়েকের গোপালগঞ্জ অংশে মেরামতের বাজেটের বেশিরভাগ অর্থ যথাযথ ব্যয় হচ্ছেনা মর্মে জানা গেছে। বিগত ৪-৫ বছরে ব্যায়ের তালিকা যাচাই করলে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরো ব্যাপক তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে দাখিল করা হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
সাবিহা আক্তার বিথি। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর এলাকার স্কুল দপ্তরী মর্জিনা আক্তারের এক মাত্র মেয়ে। ১২০ টাকায় পুলিশে চাকুরী পাওয়ায় বিথির দু চোখে আনন্দ অশ্রু যেন থামছে না।টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় আবেদন করে ৫০ জন পুলিশের চাকুরীতে প্রাথমিক নিশ্চিত হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) রাতে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনের গ্রীলশেডে ফলাফল প্রকাশ করে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এসময় চাকুরী পাওয়া প্রার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তরফপুর এলাকার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মর্জিনা বেগমের মেয়ে সাবিহা আক্তার বিথি। স্বপ্ন বড় হয়ে পুলিশে জয়েন করবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে ১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলো পুলিশের রিক্রুট কনেস্টবলে। এরপর পর পর কয়েকটি ধাপ পার করে চুড়ান্ত তালিকায় উঠে আসে বিথি। বুধবার টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনের গ্রীল শেডে তার নাম চুড়ান্ত তালিকায় দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বিথি। বিথির মতো রাখী সূত্রধর ও অনান্য চাকুরী পাওয়ারাও আনন্দে আত্মহারা।পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, একদম সচ্ছ ভাবে এবার পুলিশে নিয়োগ হয়েছে।এবার কোন কোঠা দ্বারা নিয়োগ হয়নি। সবাই বিনা কোঠায় নিয়োগ পেলো। এবার টাঙ্গাইলে ২৭ হাজার ৭১ জন আবেদন করেছিলো। এরপর ৫০ জনকে চুড়ান্ত করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
নওগাঁর মান্দায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেছে পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (পিএসএফ)।এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংস্থার সতীহাট কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।সংস্থার পরিচালক মনসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এইচআর এডমিন খালেদুর রহমান, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, প্রোগ্রাম অফিসার মোল্লা আজাদুল হক, নওগাঁর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন, সতীহাট শাখাা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ, মান্দা উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী আশরাফুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ প্রমূখ।উল্লেখ্য, ‘পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’ এর শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার মৈনম ইউনিয়নে শিশুদের নিয়ে ১৮টি স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে আজ বৃহস্পতিবার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই