বসতভিটায় কীটনাশকমুক্ত সবজি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হলেন পাঁচ শতাধিক গৃহবধূ
দিন দিন ফসল চাষে রাসায়নিক সার ও মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। এর মাঝে আশার খবর হচ্ছে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক গৃহবধূ তাদের বসতভিটায় বা বাড়ির আঙ্গিনায় কীটনাশক মুক্ত শাকসবজি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ এক্সটেনশান এডুকেশন সার্ভিসেস (বিজ)- এর উদ্যোগে ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ ছাদেকুল ইসলাম প্রামাণিক এবং কৃষি কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ মোশারফ হোসেন।
মজিবুর রহমান বলেন, এই সংস্থার সার্বিক সহায়তায় সারাদেশেই উপকারভোগী নারীদেরকে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা এবং বসতঘরের আঙ্গিনায় কীটনাশক মুক্ত শাকসবজি উৎপাদনে উৎসাহ বা উদ্ধুদ্ধ করা হয়ে থাকে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই নরসিংদীতে ৫০০ জন গৃহবধূর হাতে অন্তত পাঁচ জাতের গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির বীজ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো রোপণ, পরিচর্যার যাবতীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংস্থার জোনাল ম্যানেজার মোঃ আব্দুস সালাম মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাব জোনাল ম্যানেজার সৌমেন চক্রবর্তী, সিনিয়র শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম প্রামাণিক, মো ঃ আরিফুর রহমান, কৃষি কর্মসূচির প্রোগ্রাম সাপোর্ট অফিসার আবু রায়হান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রাম নগরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র গরমে কিছুটা হলেও আরাম পাচ্ছে নগরবাসী। তবে বৃষ্টির পানিতে নগরের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।বৃষ্টিতে নগরের জিইসি মোড়, বাকলিয়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ, চকবাজার, ডিসি রোডসহ নগরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।শিক্ষার্থী জান্নাত খাদিজা বলে, সকালে রোদ ছিল, সেই সঙ্গে প্রচণ্ড গরমও। সে কারণে ছাতা নিয়ে বের হইনি। এখন স্কুল থেকে ফেরার সময় বৃষ্টি হচ্ছে, রাস্তায় পানি। বিপদে পড়ে গেলাম।হাসান বলেন, বর্ষার আগে সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়, এই বছর জলাবদ্ধতার সমস্যা হবে না। কিন্তু বৃষ্টি পড়লে সমস্যা ঠিকই হয়। চট্টগ্রামবাসীর এই ভোগান্তি কখন শেষ হবে জানি না। হাজার হাজার কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল কবে পাব, তা-ও জানি না।এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, আজ দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরে ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও কয়েক দিন এ ধরনের থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
তদবির বা ঘুষ ছাড়াই সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বরগুনা জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ১২ জন তরুণ। মাত্র ১২০ টাকার সরকারি আবেদন ফিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল।বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল বরগুনা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরগুনা জেলায় ১২টি পদের বিপরীতে মোট ৭৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেন।প্রাথমিকভাবে শারীরিক মাপ ও সক্ষমতা যাচাই শেষে ২৪৯ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪৮ জন, যার মধ্যে ২০ জন উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ১২ জনকে নির্বাচিত করা হয়।নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়ে খুশি প্রার্থীরা।একজন নবনিয়োগপ্রাপ্ত বলেন, “বর্তমানে টাকা ছাড়া চাকরি পাওয়া যেন অসম্ভব। সেখানে আমরা মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি দিয়ে চাকরি পেয়েছি। এটি আমাদের জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি।”এ বিষয়ে পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, “শতভাগ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ১২০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট ফি দিয়েই প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, তারা ভবিষ্যতে পুলিশের গর্বিত সদস্য হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।”ভোরের আকাশ/জাআ
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী পশুহাট। সাপ্তাহিক এ পশুহাটে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড়। কোরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। কোরবানির গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাপ্তাহিক শিয়ালমারী পশুহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রেতে বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গরু কেনাবেচা তেমন বাড়েনি। অনেকেই হাট ঘুরে কোরবানির গরু ও ছাগল পছন্দ করে করছেন। কেউ আবার পচ্ছন্দের পশুটির দরদাম করছেন।অধিকাংশ ক্রেতারা দেশি জাতের মাঝারি সাইজের গরু পছন্দ করছেন। ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু নিয়ে খামারিদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ২ লাখ টাকার উপরে দামের গরুগুলো কম বিক্রি হচ্ছে।গরু বিক্রি করতে আসা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের খামারি সামাদ আলী বলেন, নিজের পোষা ৩টি গরু আজ হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। গরু নিয়ে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত শুধু একজন ছাড়া আর কেউ গরুর দাম জানতে চাইনি। একজন ক্রেতা ৩টি গরু সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছে। অথচ ২ মাস আগে এই ৩টি গরুর দাম বলেছিলো ৭ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজারে গরুর খাদ্য খুদ, ভূষি ও বিচালির দাম অনেক বেশি। গরু ৩টি লালন-পালন করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তাতে করে এই দামে গরু বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।রায়পুর গ্রামের আরেক গরু বিক্রেতা শাহজামাল হোসেন বলেন, একটি দেশি জাতের গরু বাড়িতে পালন করে আজ বিক্রি করতে হাটে এসেছি। আনুমানিক ৪ মন ওজনের গরুটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।কোরবানির ছাগল কিনতে আসা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির জন্য একটা ছাগল কিনতে এসেছি। হাটে অনেক ছাগল এসেছে। দামদরে যদি ভালো মনে হয় তাহলে কিনবো। তা না হলে আগামী সোমবার ডুগডুগি পশুহাট থেকে কিনবো।পশুহাটে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের অনেক বড় গরু আমদানি হয়েছে। কিন্তু বড় গরু বিক্রি অনেক কম। তবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রেতারা বলেছেন, আর দুই-তিনটা স্থানীয় হাটে গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাবো। বিক্রি না হলে গরুগুলো রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পশুহাটে বিক্রি করবো।ভোরের আকাশ/এসআই
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে চরফ্যাশন অফিসার্স ক্লাবে ও উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়। প্রশিক্ষণে উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম, আইন-শৃঙ্খলা, নারী ও শিশু অধিকার, ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলাগুলোর মধ্যে চুরি, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধারসহ পাওনা টাকা আদায়, স্ত্রী কর্তৃক বকেয়া ভরণপোষণ, গ্রাম আদালতে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধ মামলার নিষ্পত্তি করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের গ্রাম আদালত বিষয়ে ধারনা ও বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনে ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপির অর্থায়ানে ও কারিগরি সহযোগিতায় চরফ্যাশন অফিসার্স ক্লাবে ও উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ইউপি সদস্যদের নিয়ে দু’দিন ব্যাপি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবা অফিসার মো. মামুন হোসাইন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. টি এস এম ফিদা হাসান প্রমুখ। এছাড়াও গ্রাম আদালতের উপজেলা সম্বনয়কারী রিয়াজ মোর্শেদ।প্রশিক্ষণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি বলেন, “গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে স্বল্প সময় ও খরচ বাঁচিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। তবে বিচারকদের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা পালন জরুরি। ইউপি সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণই গ্রাম আদালতের সাফল্য নিশ্চিত করবে।”প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ইউপি সদস্যরা গ্রাম আদালত সম্পর্কে গভীর ধারণা অর্জন করেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।ভোরের আকাশ/জাআ