গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫ ০২:০৭ পিএম
সাদুল্লাপুরে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী কোষাধ্যক্ষের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোনের সহকারী কোষাধ্যক্ষ মোঃ জনি বাবুর (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় তালায় অফিস কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যু মো. জনি বাবু চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ধরমপুর গ্রামের মৃত. হারুন-অর-রশিদের ছেলে। তিনি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সাদুল্লাপুর উপজেলা জোনের সহকারী কোষাধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। উপজেলা পরিষদের অদুরে ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।
ওই অফিসের নৈশ প্রহরী আবু তাহের মিয়া জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা মোড়ের একটি ফটোষ্ট্যাট দোকানের কর্মচারী খলিল মিয়া বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভবনের দ্বিতীয় তালায় সহকারী কোষাধ্যক্ষ মোঃ জনি বাবুর অফিস কক্ষের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে খলিল মিয়া বিষয়টি তাকে জানান।
তিনি আরও জানান, পরে বিষয়টি তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থানরত আনছার ব্যাটেলিয়ান সদস্যদের অবগত করেন।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, খবর পেয়ে রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। আজ শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায় কিছুদিন আগে উপজেলার জয়েনপুর গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে নাজু মিয়ার নিকট থেকে জনি বাবু বেশ কিছু টাকা দাদনে ধার নেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেন নাই।
এদিকে দাদন ব্যবসায়ী নাজু টাকা ফেরত না পেয়ে সুকৌশলে জনি বাবুর প্রথম স্ত্রীকে সম্প্রতি ভাগিয়ে নিয়ে যায়। ধারনা করা হচ্ছে এই অপমান ও দুঃখ কষ্টে নিজ অফিস কক্ষের ফ্যানের সাথে লাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে জনি বাবু আত্মহত্যা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। এই মুহুর্তে তাই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ