সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার হাটিকুমরুল গোলচত্ত থেকে মো. আরাফাত হোসেন (৪০) নামের যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত আরাফাত হোসেন এলাকার সিল্ক সিটি হোটেলের কর্মচারী ছিল, সে ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সলঙ্গার হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পুলক বলেন, খবর পেয়ে সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরে হাইওয়ে রেস্ট হাউজের পিছনে ফাঁকা জায়গায় থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ইটের আঘাতে মুখ থেতলে দেয়া হয়েছে। মরদেহে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে কি ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এয়ারপোর্ট থানার একটি বিশেষ অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ মে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে, এয়ারপোর্ট থানাধীন বিসিসি ৩০নং ওয়ার্ডের গড়িয়ারপাড় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পশ্চিম পাশে, বৈশাখী স্টোরের সামনে অভিযান চালায় থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল।অভিযানটি পরিচালনা করেন এসআই (নিঃ) মোঃ তারিকুজ্জামান। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন এএসআই (নিঃ) মোঃ আজমল উদ্দিন ঠাকুর, কনস্টেবল ইউসুফ আলী, আনোয়ার হোসেন, মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং মোঃ জাকির হোসেন।অভিযানে নয়ন তালুকদার (১৯), পিতা–মিলন তালুকদার, মাতা–মৃত হাসিনা বেগম @ মনি বেগম, সাং–উত্তর ফুলহাতা তালুকদার বাড়ি, বহরবুনিয়া, থানা–মোরেলগঞ্জ, জেলা–বাগেরহাট এর হেফাজত থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং তাকে আটক করা হয়।আটককৃতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছেভোরের আকাশ/এসএইচ
কাজের সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের হাতে আটক ২৪ জন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ ও শিশুকে ফেরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।শুক্রবার (২৩ মে) রাত দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাতাড়ী সীমান্তের ৯৩২ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে বিজিবি- বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপি এ বৈঠক শেষে বিএসএফ আটক বাংলাদেশী ২৪ নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের এসি এসএইচএল সিমতি এবং বিজিবি'র পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ- অধিনায়ক মেজর হাসনাইন নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও পতাকা বৈঠকের সময় নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমান সহ বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।বিজিবি সুত্র জানায়, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বালারহাট বিওপির প্রতিপক্ষ ভারতীয় ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন করলা ক্যাম্পে ভারতে অভিবাসনরত কিছু নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করার জন্য জড়ো করা হয়েছে মর্মে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি জানতে পারেন। তখন অবৈধভাবে কোন নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন না করার জন্য প্রতিপক্ষ বিএসএফকে কঠোর বার্তা প্রদান করা হয়।বার্তায় বিএসএফকে আরও জানানো হয় যে, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী তাদেরেকে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশী নয় এমন কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে ঢুকতে দেয়া হবে না।এর প্রেক্ষিতে বিএসএফ প্রাথমিকভাবে ২৪ জনের (পুরুষ-১২ জন তন্মধ্যে শিশু -০৪ জন, মহিলা-১২ জন তন্মধ্যে শিশু-০৪ জন ) নামের তালিকা লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে প্রদান করে। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।ভারত থেকে ফেরত আসা ওই ২৪ জন হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া সমন্বয়টারী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫) তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম(১৯) মেয়ে তাসলিমা (৭) মাতা তানেকা বেগম(৪৬) বোন তাহেরা খাতুন(৭), দাসিয়ার ছড়া কামালপুর গ্রামের আছর আলীর ছেলে মানব আলী (২৩) তার স্ত্রী রুমি বেগম (২০), একই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৩১) তার স্ত্রী সাথী বেগম(২৮) ছেলে শহিদুল (৯) মেয়ে কাজলী (২), উপজেলার আরাজী নেওয়াশী গ্রামের কাজী উদ্দিনের ছেলে জায়দুল হক (৫৫) তার স্ত্রী আন্জুমা বেগম (৪৩) ছেলে আশিক বাবু (১৪) মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৯) জামাতা রবিউল (২২) ও ১০ মাস বয়সী নাতি জুনায়েদ, উপজেলার ভাঙ্গামোড় বটতলা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে হাসেন আলী (৩৫) তার স্ত্রী আলমিনা বেগম (২৯) মেয়ে হাছিনা (১৩) ছেলে আরিফ (৪) আরমান (২) এবং জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫০)।লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ- অধিনায়ক মেজর হাসনাইন জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৪ বাংলাদেশী নারী- পুরুষ ও শিশুদেরকে ফেরত আনা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধি দের সহায়তায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অপহরণের ১১ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃতা নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী (১৪)। ঘটনা তদন্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় এএসপি (আমতলী-তালতলী) সার্কেল মোঃ তারিকুল ইসলাম মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এ ঘটনায় অপহৃতার মা বাদী হয়ে গত রবিবার বরগুনা নারী শিশু আদালাতে অপহরণকারী সুকদেব হাওলাদারসহ পাঁচজনকে আসামী করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনা ঘটেছে গত ১২ মে আমতলী উপজেলা পাতাকাটা গ্রামে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে।জানা গেছে, উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী গত ১২ মে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘটখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছামাত্রই ওত পেতে থাকা সুকদেব হাওলাদার (২৩) ও তার সহযোগী কার্তিক চন্দ্র হাওলাদার, রতন শিকারীসহ ৪-৫ জনে স্কুল ছাত্রীকে জোরপুর্বক মোটর সাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই স্কুল ছাত্রীর মা আমতলী থানা সাধারণ ডায়েরী করেন।কিন্তু স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা নেই এমন অভিযোগ ছাত্রীর মায়ের। পরে ওই ছাত্রী মা গত রবিবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সুকদেবকে প্রধান আসামী করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।কিন্তু গত ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এএসপি (আমতলী-তালতলী ) সার্কেল মোঃ তারিকুল ইসলাম মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।মামালার বাদী কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, আমার নাবালিকা কন্যাকে প্রতিবেশী রতনের সহযোগীতায় অপহরণকারী সুকদেব হাওলাদার ও তার সহযোগীরা জোরপুর্বক মোটর সাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।আমার মেয়ে বেঁছে আছে কিনা আমি জানি না? আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই।তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসন দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই। আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আদালতের নির্দেশ মতে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।এএসপি (আমতলী-তালতলী) সার্কেল মোঃ তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার চেষ্টা করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
‘সোনালী আঁশের সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ’ ও ‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।শনিবার (২৪ মে) উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ‘উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’ এর আওতায় পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ-২০২৫। প্রশিক্ষণটি আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তর।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা উপ সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালিভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট অধিদপ্তর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও উপ-পরিচালক (পরিদর্শন) মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান।আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পাট কর্মকর্তা (অ.দ) তারেক মোহাম্মদ লুৎফুল আমিন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেরা আফরোজ সুবর্ণা, কৃষি উপসহকারী আনন্দ কুমার সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ প্রমূখ।প্রশিক্ষণে পাট চাষের আধুনিক পদ্ধতি, উন্নত বীজ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া, এবং সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সহায়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পাট চাষিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষকরা অংশগ্রহণ করেন এবং পাটের উৎপাদন ও বিপণন নিয়ে সরাসরি মতামত বিনিময়ের সুযোগ পান।ভোরের আকাশ/এসএইচ