বাবুল আহমেদ, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ১১:২৭ এএম
মানিকগঞ্জের হকারদের কষ্টের কথা
মানিকগঞ্জে ‘পেপারওয়ালার’ খবর রাখে না কেউ। সংবাদপত্রেও আসে না হকারদের কষ্টের কথা। ‘গরম খবর, গরম খবর’ ‘আজকের তাজা খবর’, সব খবর জানতে পত্রিকা পড়ুন’... এমনিভাবে ডাকতে থাকে পত্রিকার হকাররা। সেই কাকডাকা ভোরে শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে অলিগলি, বাসা বাড়ির সামনে কিংবা গ্রামের মেঠোপথেও হকাররা জীবনের চাকা ঘুরাতে পত্রিকা বিক্রি করেন।
পাঠক তার পছন্দের পত্রিকাটি অন্তত পাঁচ থেকে দশ-বারো টাকার বিনিময়ে সারা পৃথিবীর খরব পেয়ে যায় নিমিষেই হাতের নাগালে। খবরের কাগজের কারিগররা রাত ১২টার পর অপেক্ষায় থাকেন পাঠক মহলে পত্রিকাটি পৌঁছবে বলে। আর এই পৌঁছানের কাজটি যিনি করেন তাকে পাঠক মহল এক নামে চেনেন- তার নাম হলো, ‘হকার’। যাকে পত্রিকার হকার বলে চেনেন এমনকি তাকে অনেক সময় ডাকা হয়,‘এই পেপার’, ‘ওই পত্রিকা’ ইত্যাদি ইত্যাদি নামে। একটা পত্রিকার দাম যদি পাঁচ টাকা হয় তবে হকার পাঁচ টাকা বিক্রি করে পত্রিকার এজেন্ট এবং এজেন্ট পত্রিকার মালিককে দিয়ে কত টাকা হকার পায়? যা পায় তা দিয়েই চলে তার জীবিকা, সংসার। কী দিনরাত কী বৃষ্টি-রৌদ্র বা গরম কী শীত- আবহাওয়া যেমনই থাক হকার তার আরামের ঘুম হারাম করে মোরগ ডাকার আগেই নেমে পড়েন সমিতি কিংবা এজেন্টের কাছ থেকে পত্রিকা সংগ্রহ করার জন্য। এরপর ছুটে চলেন পাঠকের দুয়ারে দুয়ারে। সারা দিনের পরিশ্রমের ফল আসে একজন হকারের জন্য সর্বসাকুল্যে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। যেদিন ভালো চলে সেদিন ৪০০টাকা।
সামান্য এই আয়ে নির্ভর গোটা জীবন। তাছাড়া পরিবার-পরিজন ও সন্তান লালন-পালন করে তাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানাবিধ ব্যয়ে টিকে থাকা মুশকিল। হকাররা জনবহুল ব্যস্ত এই এলাকায় খবরের কাগজ বিক্রির উলেখযোগ্য বাজার হিসেবে বেছে নেন রাস্তার চলমান গাড়িগুলোকে। সে জন্য দিতে হয় দৌড়ঝাঁপ। সে ক্ষেত্রে দূর্ঘটনায় পড়া স্বাভাবিক। পাঠকের কাছে নিজের জীবন বাজি রেখে খবরের কাগজ পৌঁছায় ঠিকই কিন্তু দূর্ঘটনায় তাদের পাশে কেউ থাকার নাই।
প্রাকৃতিক রোগব্যাধি তো থাকেই। এই এলাকার হিসাব অনুযায়ী একজন হকারের মাসিক আয় সর্বসাকুল্যে ৯ হাজার টাকা। ব্যস্ততম এই এলাকায় পারিপার্শ্বের সাপেক্ষে ৯ হাজার টাকায় টিকে থাকার কথা না থাকলেও নিজের সমস্যা ঢেকে পাঠকদের পত্রিকা ঠিকই পৌঁছে দেয় হকার। তাদের সম্বন্ধে ভাবার জন্য নাই পাঠকের সময় না পত্রিকার হকার সমিতির সময় না পত্রিকার মালিক পক্ষের। পত্রিকার হকাররা তাদের জীবন মান উন্নয়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। সবার মত তাদেরও একটি তালিকা করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
ভোরের আকাশ/আজাসা
বাবুল আহমেদ, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ : ২ ঘন্টা আগে
আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
মানিকগঞ্জের হকারদের কষ্টের কথা
মানিকগঞ্জে ‘পেপারওয়ালার’ খবর রাখে না কেউ। সংবাদপত্রেও আসে না হকারদের কষ্টের কথা। ‘গরম খবর, গরম খবর’ ‘আজকের তাজা খবর’, সব খবর জানতে পত্রিকা পড়ুন’... এমনিভাবে ডাকতে থাকে পত্রিকার হকাররা। সেই কাকডাকা ভোরে শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে অলিগলি, বাসা বাড়ির সামনে কিংবা গ্রামের মেঠোপথেও হকাররা জীবনের চাকা ঘুরাতে পত্রিকা বিক্রি করেন।
পাঠক তার পছন্দের পত্রিকাটি অন্তত পাঁচ থেকে দশ-বারো টাকার বিনিময়ে সারা পৃথিবীর খরব পেয়ে যায় নিমিষেই হাতের নাগালে। খবরের কাগজের কারিগররা রাত ১২টার পর অপেক্ষায় থাকেন পাঠক মহলে পত্রিকাটি পৌঁছবে বলে। আর এই পৌঁছানের কাজটি যিনি করেন তাকে পাঠক মহল এক নামে চেনেন- তার নাম হলো, ‘হকার’। যাকে পত্রিকার হকার বলে চেনেন এমনকি তাকে অনেক সময় ডাকা হয়,‘এই পেপার’, ‘ওই পত্রিকা’ ইত্যাদি ইত্যাদি নামে। একটা পত্রিকার দাম যদি পাঁচ টাকা হয় তবে হকার পাঁচ টাকা বিক্রি করে পত্রিকার এজেন্ট এবং এজেন্ট পত্রিকার মালিককে দিয়ে কত টাকা হকার পায়? যা পায় তা দিয়েই চলে তার জীবিকা, সংসার। কী দিনরাত কী বৃষ্টি-রৌদ্র বা গরম কী শীত- আবহাওয়া যেমনই থাক হকার তার আরামের ঘুম হারাম করে মোরগ ডাকার আগেই নেমে পড়েন সমিতি কিংবা এজেন্টের কাছ থেকে পত্রিকা সংগ্রহ করার জন্য। এরপর ছুটে চলেন পাঠকের দুয়ারে দুয়ারে। সারা দিনের পরিশ্রমের ফল আসে একজন হকারের জন্য সর্বসাকুল্যে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। যেদিন ভালো চলে সেদিন ৪০০টাকা।
সামান্য এই আয়ে নির্ভর গোটা জীবন। তাছাড়া পরিবার-পরিজন ও সন্তান লালন-পালন করে তাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানাবিধ ব্যয়ে টিকে থাকা মুশকিল। হকাররা জনবহুল ব্যস্ত এই এলাকায় খবরের কাগজ বিক্রির উলেখযোগ্য বাজার হিসেবে বেছে নেন রাস্তার চলমান গাড়িগুলোকে। সে জন্য দিতে হয় দৌড়ঝাঁপ। সে ক্ষেত্রে দূর্ঘটনায় পড়া স্বাভাবিক। পাঠকের কাছে নিজের জীবন বাজি রেখে খবরের কাগজ পৌঁছায় ঠিকই কিন্তু দূর্ঘটনায় তাদের পাশে কেউ থাকার নাই।
প্রাকৃতিক রোগব্যাধি তো থাকেই। এই এলাকার হিসাব অনুযায়ী একজন হকারের মাসিক আয় সর্বসাকুল্যে ৯ হাজার টাকা। ব্যস্ততম এই এলাকায় পারিপার্শ্বের সাপেক্ষে ৯ হাজার টাকায় টিকে থাকার কথা না থাকলেও নিজের সমস্যা ঢেকে পাঠকদের পত্রিকা ঠিকই পৌঁছে দেয় হকার। তাদের সম্বন্ধে ভাবার জন্য নাই পাঠকের সময় না পত্রিকার হকার সমিতির সময় না পত্রিকার মালিক পক্ষের। পত্রিকার হকাররা তাদের জীবন মান উন্নয়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। সবার মত তাদেরও একটি তালিকা করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
ভোরের আকাশ/আজাসা