ছবি: ভোরের আকাশ
বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে চলছে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। সকালেই কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান নেন। এর আগে গতকাল বিকেলে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম শুরু করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
নেতারা জানান, দুর্গাপূজা পর্যন্ত গণস্বাক্ষর চলবে এবং এ সময়ের মধ্যে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকছে না। তবে দাবি আদায় না হলে দুর্গাপূজার পর আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো–কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, “আমরা ৪ আসন বহালের দাবিতে গণস্বাক্ষর নেওয়া শুরু করেছি। স্বাক্ষর করার জন্য বাঁধাই করা বই তৈরি করা হয়েছে, যা প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় পাঠানো হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাগেরহাটবাসীর একতাবদ্ধ দাবি স্পষ্ট হবে।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন সংস্কার কমিটির প্রস্তাবে বাগেরহাটের চারটি আসনের একটি কমিয়ে ৩টি করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এরপর থেকেই স্থানীয়রা আন্দোলনে নামেন।
৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে তিনটি আসন বহাল রাখে। এতে বাগেরহাটবাসীর দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
চূড়ান্ত সীমানা অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন রাখা হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে এ জেলায় চারটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের উৎস ও বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল মাঠে নেমেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমানের নেতৃত্বে অনুসন্ধান দলটি গঠিত হয়েছে।অন্য দুই সদস্য হলেন, অধিদপ্তরের এপিডেমিওলজি সেলের ডা. ফয়সাল তালুকদার এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ডা. তায়ফুর রহমান।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রতিনিধি দলটি রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার কয়েকটি এলাকায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত খামারি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এদিকে পীরগাছা, কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরের পর এবার রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলাতেও দুই ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে।উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মর্ণেয়া ইউনিয়নের মৌভাষা গ্রামের ওই দুই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার বলেন, মৌভাষা এলাকা কাউনিয়ার হারাগাছ সংলগ্ন। হারাগাছে যেহেতু অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাই এই দুই রোগীকেও সন্দেহভাজন হিসেবে নমুনা পাঠানো হয়েছে।এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলটি সোমবার (৬ অক্টোবর) রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সেখানে খামারি আমিনুল ইসলামের তিনটি গরু মারা যাওয়ার পর সেগুলো পুঁতে ফেলা হয়েছে। মৃত গরুগুলো যে গাছের পাতা খেয়েছিল, তারও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।মঙ্গলবার দলটি কাউনিয়ার ঠাকুরদাস, পীরগাছার আনন্দী ধনীরাম ও মাইটাইল গ্রাম পরিদর্শন করেন। পীরগাছার এসব এলাকায় দুই নারী-পুরুষ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু গবাদিপশুও আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলেও জানা গেছে।প্রতিনিধি দলের প্রধান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বয়জার রহমান বলেন, গবাদিপশুর সংগৃহীত ১১টি মাংসের নমুনার মধ্যে ১০টিতেই অ্যানথ্রাক্স পজিটিভ পাওয়া গেছে। আরও কিছু নমুনা পরীক্ষাধীন রয়েছে। আমরা ঘাস ও মাটির নমুনাও সংগ্রহ করেছি, সেগুলো পরীক্ষার পর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।ডা. বয়জার রহমান আরও বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, জাতীয় চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়। আক্রান্ত এলাকা শনাক্ত হলে ‘রিং মডেল’ অনুসারে ওই অঞ্চল ও আশপাশে টিকাদান কর্মসূচি চালানো হয়, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। তবে সিরাজগঞ্জের পর এবার এত বিস্তৃত এলাকায় অ্যানথ্রাক্স ছড়ানো উদ্বেগজনক। আক্রান্ত সব এলাকার গবাদিপশুকে টিকাদান নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুসন্ধান দল বুধবার (৮ অক্টোবর) রংপুরের মিঠাপুকুর ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজবাড়ী পাংশার কশবামাজাইলে যৌথবাহিনীর এক সফল অভিযানে একটি ওয়ান শুটারগান সহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের শান্তিখোলা গ্রামের মনির বিশ্বাস এর বাড়ির পশ্চিম পাশে ডুমুর গাছের নিচে হইতে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ অস্ত্র উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।পাংশা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে, ১টি হাতে তৈরি সচল ওয়ান শুটার পাইপ গান, ১টি সবুজ রংয়ের তাজা কার্তুজ। ৫টি সবুজ রংয়ের পটকা, ১টি হাঁসুয়া ও ১টি ৩৬ ইন্ঞ্চি লম্বা হকিস্টিক।এ বিষয়ে থানা পুলিশ জানায়, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
খুলনায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে ইমরান মুন্সি নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর কাস্টমস ঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।খুলনা থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশ লাইনের দিকে চলে যায়। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থান থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। নিহত ইমরান মুন্সি খুলনার গ্রেনেড বাবুর সক্রিয় সদস্য ছিল। তাকে অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের সদস্যরা হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ঢাকার নর্থনাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কর্তৃক পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জীবননগরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার বিকালে জীবননগর মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস জীবননগর শাখার ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার, দীন ইসলাম জিন্দাবাদ, আল কুরআনের অপমান সইবে না মুসলমান, আল কুরআনের শত্রুরা হুশিয়ার সাবধান ইত্যাদি স্লোগানে জীবননগর শহর মুখরিত হয়ে ওঠে।বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশর অধিকাংশ লোক মুসলমান। এদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিধর্মী শিক্ষার্থী পবিত্র আল-কুরআন শরিফকে অবমাননা করেছে। আমরা সেই শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। যদি তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হয় তাহলে পরবর্তীতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের খান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জীবননগর থানা শাখার সভাপতি মুফতি শাহ জামাল। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের আল মাহমুদ।এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আমানুল্লাহ, মাওলানা তরিকুল ইসলাম, মুফতি আবু সাঈদ, মাওলানা বাসার, আব্দার আলী, মাহমুদ, মাওলানা ইমারান, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ, এহসানুল্লাহ, আব্দুল হায় প্রমুখ।উল্লেখ্য, গত শনিবার নিজের ফেইসবুকে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননা করে বেশ কিছু পোস্ট করে অপূর্ব পাল। এই ঘটনায় ওই দিন মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ভোরের আকাশ/জাআ