× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেয়ার আশ্বাস

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকান্ডে জড়িত আট জন গ্রেফতার

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৩৫ পিএম

ছবি: ভোরের আকাশ

ছবি: ভোরের আকাশ

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগ পত্র) দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।

এসময় তিনি যথার্থ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারার কারণে তুহিন হত্যায় ব্যর্থতা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ও নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

জিএমপি কমিশনার শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় জিএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন। 

জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, সাংবাদিক হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারি না৷ আমাদের ব্যর্থতা ও জনবল স্বল্পতা রয়েছে।  পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন করা সম্ভব হয় না।  এখানে জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হয়।  অপরাধ দমনে তিনি পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। 

জিএমপি কমিশনার বলেন, “সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের ওপর ছিল।  আমরা প্রিভেন্ট করতে পারিনি।  প্রিভেনশন সব সময় করা যায় না।  বিশ্বের কোনো দেশ ক্রাইম একেবারে শূন্যতে নিয়ে আসতে পারেনি।  তাই, আমাদের শত চেষ্টার পরেও ক্রাইম হয়ে যেতে পারে।  যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।”

পুলিশ কমিশনার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, ঘটনার দিন এই ঘটনার প্রথম ভিকটিম বাদশা মিয়া স্থানীয় একটি এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তোলেন।  বিষয়টি দেখে তাকে ফাঁসানোর জন্য গোলাপি বাদশাকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেন।  গোলাপির সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বাদশা মিয়া বিষয়টি বুঝতে পারেন, যে তাকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।  তারপর কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় এবং বাদশা মিয়া গোলাপিকে ঘুষি মারেন।  সিসিটিভি ফুটে বিষয়টি দেখা যায়। 

পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, গোলাপিকে ঘুষি মারার পরপরই আগে থেকে উৎপেতে থাকা গোলাপির সহযোগীরা ৫-৬ জন এগিয়ে এসে চাপাতি দিয়ে বাদশা মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে।  তখন বাদশা মিয়া সেখান থেকে পালিয়ে যাবার সময় এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।  সাংবাদিক তুহিনের ভিডিও ধারণ করার বিষয়টি আসামিরা দেখে ফেলে।  তখন আসামীরা বুঝে যায় যে, এই ভিডিওর মাধ্যমে তাদের অপরাধ মানুষের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে। 

তিনি বলেন, তারপরে আসামিরা সাংবাদিক তুহিনের ভিডিওটি কেড়ে নেয়ার জন্য তার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায় এবং তাকে ধাওয়া করে।  এক পর্যায়ে সাংবাদিক তুহিন একটি চা স্টলে আশ্রয় নিলে তাকে সেখান থেকে ধরে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

কমিশনার আরো বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজ দেখে আমরা ৮ জনকে চিহ্নিত করেছি। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি৷ বাকি একজনকেও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে পারব৷

জিএমপি কমিশনার জানান, সাংবাদিক হত্যা মামলায় ৮ আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।  গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তার স্ত্রী গোলাপী (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো: স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), কুমিল্লার হোমনা থানার আন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর থানার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩)  সুমন ও ফরিদপুর জেলার আল আমীন নামের একজন। 

তিনি আরো জানান, হত্যার প্রধান আসামি কেটু মিজানের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে।  কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, যিনি হানি ট্র্যাপ কার্যক্রমে জড়িত।  অপর আসামী আল আমিনের ২টি মামলা, আসামী স্বাধীনের নামে ২টি মামলা, আসামী শাহজালালের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা, আসামী ফয়সাল হাসানের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধের চিত্র ধারণ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন সাংবাদিক।  এ ঘটনায় আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছেন, প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী আছে।  সমস্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে।  তুহিনের মরদেহের ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট দিতে পারব।  আমরা আশা করি দ্রুত সময়ে তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।  সাজার সংস্কৃতি নিশ্চিত করা গেলে ক্রাইম দমন করা যাবে।  আসামিরা যদি নাও স্বীকার তবে, এভিডেন্সই তাদের অপরাধ।

ভোরের আকাশ/জাআ

  • শেয়ার করুন-
রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ গ্রেফতার

রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ গ্রেফতার

জামালগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল গ্রেফতার

জামালগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল গ্রেফতার

সাংবাদিক শহীদ রানার মায়ের মৃত্যুতে ডিএসইসির শোক

সাংবাদিক শহীদ রানার মায়ের মৃত্যুতে ডিএসইসির শোক

কাউখালীতে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

কাউখালীতে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

শ্রীপুরে সাংবাদিক জামাল উদ্দিনের মৃত্যু

শ্রীপুরে সাংবাদিক জামাল উদ্দিনের মৃত্যু

 কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

 গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন ত্রাণবাহী নৌবহর

 পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও অনন্য বৈশিষ্ট্য

 ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

ঢাকার দুই সিটি : মশায় নাগরিক দুর্দশা চরমে

 বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

 টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

 যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

যাদের অর্থ-অস্ত্রে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল!

 ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

ঢাকায় বাড়বে গরমের অনুভূতি, হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিও

 ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তই কাল হলে বাংলাদেশের

 শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাকে আজ ফের জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স

 মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য নতুন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা বিসিবির

 তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন স্কটল্যান্ডের নারী

তুর্কি ড্রামা ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন স্কটল্যান্ডের নারী

 মিয়ানমারে বৌদ্ধ উৎসবস্থলে সামরিক বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৪০

মিয়ানমারে বৌদ্ধ উৎসবস্থলে সামরিক বোমা হামলা, নিহত অন্তত ৪০

 বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বদলি ও পদায়নে নতুন নীতিমালা কার্যকর করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সংশ্লিষ্ট

বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, রংপুর-গাইবান্ধায় অনুসন্ধান দল

পাংশায় ওয়ান শুটারগান সহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার

পাংশায় ওয়ান শুটারগান সহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার

খুলনায় যুবককে গুলি করে হত্যা

খুলনায় যুবককে গুলি করে হত্যা

অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদ

অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদ