রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:০৭ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
রংপুরে গৃহবধু ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় স্বামী সোহান মিয়াকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে পঞ্চগড় সদরের মিলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিন) তোফায়েল আহমেদ।
তিনি জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর বালাপাড়র গৃহবধু মিতু বানুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা হয়। এতে মিতুর স্বামী সোহান মিয়া, শ্বশুর রাজা মিয়াসহ চার জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়। মিতু বানুর মৃত্যুর পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপনে চলে যায়। শুক্রবার পঞ্চগড় পুলিশের সহযোগিতায় সোহানকে গ্রেফতার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) তোফায়েল আহমেদ বলেন, মিতুর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সোহানের রিমান্ড চাওয়া হবে। এছাড়া যারা এখনও পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। দেশে নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর বালাপাড়ার গৃহবধু মিতু বানুর মরদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ উঠে, শ্বশুরের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়াসহ আপত্তিকর একটি ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মিতু বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নাটারাম গ্রামের মেনাজুল মিয়ার মেয়ে।
ভোরের আকাশ/জাআ