নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫ ১১:৪২ এএম
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আঘাত হানতে পারে ২৬-২৯ মে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরি হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। চলতি মে মাসের ২৬ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা তার। ভারতের উড়িষ্যা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘শক্তি’, যা শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টি অতিপ্রবল না হলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি স্থলভাগে আঘাত হানার সময় ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোস্তফা কামাল পলাশ মনে করেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পড়তে পারে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে। এই সার্কুলেশন ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘জাগরণ’ জানিয়েছে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এখনো ঘূর্ণিঝড়টি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা বলছে—এটি আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সময়মতো নির্দেশনা দেবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকে বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন ঝড়ের আচরণ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে।
এর আগে, গত বছর অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছিল। আঘাতের আগে সেখানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এবং উপকূলীয় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে।
চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
দেশের অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়েছে, সেই সঙ্গে সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা জনমনে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা