তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্য আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি চলছে।জানা যায়, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোক, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস উপস্থিত আছেন।এর আগে,গত ১৭ জুলাই বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়। গত ১৫ জুলাই আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির জন্য ওইদিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৩১ জুলাই ২০২৫ ১১:২৫ এএম
চিকিৎসার জন্য চীনে যাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর
চিকিৎসার জন্য আগামীকাল বুধবার চীন যাচ্ছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। সেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা নিবেন তিনি।লুৎফুজ্জামান বাবরের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন কারাভোগে নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন বাবর। ইউরোপ-আমেরিকার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে এসব রোগের ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও ব্যয় সংকোচনের জন্য তিনি চীনে যাচ্ছেন। প্রায় দুই সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে আগামী ৫ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।১৭ বছর কারাভোগের পর এ বছর ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলাভেন সরকার ও পরে পুরো আওয়ামী আমলজুড়েই কারাগারে ছিলেন এই বিএনপি নেতা। এ সময়ে তার নামে দায়ের অনেকগুলো মামলার মধ্যে চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সবগুলো মামলা থেকে খালাস পান তিনি। লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে জয়লাভ করেন তিনি। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লুৎফুজ্জামান বাবর।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২২ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৭ পিএম
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নেত্রকোনায় বাবরের ঈদ উদযাপন
দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ছিলেন কারাগারে। এরমধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন। এবার নিজ গ্রাম ভাদেরায় ঈদ করেছেন তিনি। শনিবার (৭ জুন) লুৎফুজ্জামান বাবরের ব্যক্তিগত সচিব মির্জা হায়দার আলী বলেন, গ্রামের ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আদায় করেছেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এরপর আত্মীয়স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে শনিবারই (৭ জুন) তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার বলেন, ১৭ বছর কারাভোগের পর এবার লুৎফুজ্জামান বাবর গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। এই খবরে মদনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।প্রসঙ্গত, লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২য় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেপ্তার হন লুৎফুজ্জামান বাবর। পরে বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
০৭ জুন ২০২৫ ১২:২৫ পিএম
১৭ বছর পর গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবেন বাবর
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজের গ্রাম ভাদেরায় ঈদ করবেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. লুৎফুজ্জামান বাবর। শুক্রবার (৬ জুন) তিনি ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত সচিব মির্জা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মির্জা হায়দার আলী জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. লুৎফুজ্জামান বাবর তিনি গ্রামের বাড়ির ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামায়াত আদায় করবেন। এর পর তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিয়ম করে শনিবারেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবেন। মদন বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ঢাকা থেকে মদনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। ১৭ বছর কারাভোগের পর শনিবার গ্রামের বাড়িতে তিনি পবিত্র ঈদুল আজহা উৎযাপন করবেন। ১৭ বছর কারাভোগ থেকে ঈদ-উৎযাপন করেছেন এমন নেতা বাংলাদেশে আছে কি না আমার জানা নেই। বাবর সাহেব নিজ এলাকায় ঈদ করবেন এমন সংবাদ শুনে মদনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। পবিত্র ঈদের নামাজ আদায়ের পর তিনি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। প্রসঙ্গত, লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২য় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেপ্তার হন লুৎফুজ্জামান বাবর। পরে বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৬ জুন ২০২৫ ০৬:৩৯ পিএম
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: লিভ টু আপিল শুনানি মঙ্গলবার
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের পরবর্তী শুনানির দিন মঙ্গলবার (২৭ মে) ধার্য করা হয়েছে।সোমবার (২৬ মে) প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে না থাকায় আজকে এ মামলার শুনানি হয়নি। পরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির দিন ঠিক করেন।এর আগে, ১৫ মে সকাল থেকে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলায় তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।ওই সময় হাইকোর্ট জানান, এসব মামলার বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ। কারণ তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধেই লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দলটির ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। আলোচিত এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দুটি মামলারই রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ