কুড়িগ্রামে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, গাঁজা, টাকাসহ আটক ১
কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট উপজেলায় পৃথক অভিযানে ট্যাপেন্টাডল গ্রুপের টাপাল নামীয় ট্যাবলেট, গাঁজা, নগদ টাকাসহ মোবাইল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এসময় এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। অপর এক মাদক কারবারি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পালিয়ে যায়। কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোররাত ৪টার দিকে রংপুর অঞ্চলের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের অধীন ২২ বীরের একটি টহল দল ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঠালবাড়ীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১২৭ পিস ট্যাপেন্টাডল গ্রুপের টাপাল নামক ট্যাবলেট, ১শ গ্রাম গাঁজা, মাদক বিক্রির নগদ ৬১হাজার ৩৪০ টাকা এবং ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারি রবিউল ইসলাম (৩০) পালিয়ে যায়। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর একই টহল দল ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার মাদাই পাঠান পাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকা থেকে ট্যাপেন্টাডল গ্রুপের টাপাল নামীয় ট্যাবলেট ৫১ পিস ও ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধারসহ মাদক কারবারি মো. মোস্তফাকে (১৯) আটক করে। কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত মেজর শাহরিয়ার আহাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। অপর এক পলাতক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করার জন্য যৌথ অভিযান চলমান। এ ছাড়া আগামীতে সেনাবাহিনীর মাদক ও চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৮ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩০ পিএম
পিরোজপুরে ১কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার যুবক
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৯শত গ্রাম নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ মাছুম শেখ (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের মধ্য কলারণ গ্রামের মাছুম শেখ এর কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সে মধ্য কলারণ গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে।থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসেরের নির্দেশে ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মিলন কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে এসআই রবিন রহমান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় চন্ডিপুর ইউনিয়নের জমাদ্দার হাট বাজার রোডস্থ ডা. লুৎফর রহমানের বাড়ির সামনের রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মাছুম শেখের কাছ থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ হাজার টাকা।ইন্দুরকানী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, চন্ডিপুরের মধ্য কলারন এলাকা থেকে প্রায় ১কেজি গাঁজাসহ মাছুম শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৭ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৩৯ পিএম
কুড়িগ্রামে ইয়াবা নগদ টাকাসহ মোবাইল ফোন উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে সন্দেহভাজন মাদক কারবারি। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বুধবার রাত ২টার দিকে নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭০০ পিস ইয়াবা, নগদ ৯, ৯০০ টাকা, ৮ টি মোবাইল ফোনসহ মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, রংপুর অঞ্চলের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের অধীন ২২ বীরের একটি টহল দল ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে।কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত মেজর শাহারিয়ার আহাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করার জন্য যৌথ অভিযান চলমান। আগামীতেও সেনাবাহিনীর মাদক ও চাঁদাবাজবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভোরের আকাশ/মো.আ.
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মাদক ও অস্ত্রের গোপন আস্তানা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ পদক্ষেপ স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি তৈরি করেছে।মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে সদর ইউনিয়নের করাইয়া নগর এলাকার একটি বাড়িতে সেনাবাহিনীর টহল দলসহ অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মো. জানে আলম (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।তার কাছ থেকে কাঠের বাটযুক্ত পুরাতন একটি বিদেশি রিভলভার, একটি কার্তুজ, একটি খোসা এবং ২৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।সাতকানিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও অস্ত্র বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা আসার রুট হিসেবে সাতকানিয়ার বিভিন্ন গ্রাম ব্যবহৃত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। এসব মাদক শুধু তরুণ সমাজকে বিপথগামী করছে না, বরং পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিরতাও বাড়াচ্ছে।অন্যদিকে অস্ত্রের ছড়াছড়ির কারণে স্থানীয় বিরোধ, দাঙ্গা ও অপরাধ প্রবণতাকে আরও তীব্র করে তুলছে। ফলে ছোটখাটো পারিবারিক ঝগড়াও বড় ধরনের সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে।যৌথবাহিনীর অভিযানে এলাকাবাসী নতুন আশার সঞ্চার দেখছেন। স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্র ভেঙে পড়বে। শুধু গ্রেপ্তার নয়, এর পেছনে থাকা মূল হোতাদেরও আইনের আওতায় আনা জরুরি।অভিযানের পর করাইয়া নগর এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “অনেক দিন ধরেই এলাকায় গোপনে মাদক কেনা-বেচা হচ্ছিল। আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারতাম না। এবার সেনাবাহিনী আর পুলিশের অভিযান আমাদের সাহস জুগিয়েছে।”সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.