দামেস্কের গির্জায় আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২০
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দামেস্কের দুওয়েইলা অঞ্চলের মার এলিয়াস অঞ্চলে এই হামলা হয়।সরকারি সূত্র জানায়, আইএস দমনে নতুন সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে। এক সময় বিদ্রোহী এইচটিএস নিজেও আইএসের বিরুদ্ধে লড়েছে। তারা আইএসকে চরমপন্থী ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্য অস্থিরতা সৃষ্টিকারী বলেই বিবেচনা করত।আইএস তাদের প্রচারণামাধ্যমে সম্প্রতি সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকের ছবি প্রকাশ করে একে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘জিহাদি আদর্শ থেকে বিচ্যুতি’ হিসেবে প্রচার করে।নতুন সরকার জানিয়েছে, তারা দেশের সব ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। দামেস্কের খ্রিস্টান পাড়ায় সাধারণত প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা বাহিনী গাড়ি তল্লাশি করে।তথ্যমন্ত্রী হামজা আল-মুস্তফা বলেন, এই কাপুরুষোচিত হামলা আমাদের নাগরিকত্বের মূল মূল্যবোধের পরিপন্থী। জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক শান্তির স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।দামেস্ক সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, বোমা হামলার পেছনে কারা জড়িত ও কীভাবে নিরাপত্তা ভেদ করে তারা গির্জায় ঢুকতে পারল—তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।যদিও সরকার নামমাত্রভাবে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বাস্তবে অনেক এলাকায় এখনো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি আছে। নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এসব মিলিশিয়াদের একটি জাতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে আনার কাজ শুরু করেছে। যারা এতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের নিরস্ত্র করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৩ জুন ২০২৫ ১১:৩৩ এএম
গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ২৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলার শিকার ফাহমী-আল-জারজাভী স্কুলটি একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এবং সেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। স্কুলে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে দুজন রেড ক্রস কর্মী এবং এক সাংবাদিকও রয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল বাহিনীর হামলার শিকার ওই স্কুলটি একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং সেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিহত ২৫ জনের মধ্যে দুজন রেড ক্রস কর্মী, এক সাংবাদিক এবং একাধিক শিশু রয়েছে।এদিকে, গাজায় বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এতে মাত্র এক সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬০০ জনের বেশি। অন্যদিকে, প্রায় তিন মাস ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধের ফলে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করেছে, অল্প সময়ের মধ্যেই হাজার হাজার শিশু অনাহারে মারা যেতে পারে।জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের ১৯ মাসের হামলায় এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩১ শতাংশই শিশু। গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক ও আবাসিক এলাকায় সরাসরি স্থল অভিযান ও দখলদার বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরাইল। এসব এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হয় ফিলিস্তিনিদের।ভোরের আকাশ/এসএইচ