কুলাউড়ায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।সোমবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের বাবনিয়া-হাসিমপুর পয়েন্ট এলাকা থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।আটককৃতরা হলেন- কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা জুবেল মিয়া (১৯) ও পশ্চিম মিনার মহল এলাকার বাসিন্দা শাকিল মিয়া (২১)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার রাতে সদর ইউনিয়নের বালিচিরি গ্রামের বাসিন্দা নবীন্দ্র করের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত দুই যুবক। পরে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাবনিয়া-হাসিমপুর পয়েন্টে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার সকালে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য আটকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, আটকদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ জুন ২০২৫ ০৯:৫২ পিএম
দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ জন গ্রেপ্তার
গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকার কুখ্যাত চাঁদাবাজার ও কিশোর গ্যাং লিডার ইলিয়াস মোল্লাস চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ইলিয়াস মোল্লার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে তার বাসা থেকে গাজীপুর সেনা ক্যাম্পের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান তাদের গ্রেফতার করা হয়।জানা যায়, ইলিয়াস মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে বাঘের বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও জায়ান্ট টেক্সটাইল এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো। সে পূর্বে সেনা টহলের সামনেই দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসের মহড়া দেয়। এই সন্ত্রাসী ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় ৪ টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার ইলিয়াস মোল্লা, সহযোগী আপু নাহিদ ও জাহিদ।গাজীপুর সেনাবাহিনীর তথ্য মতে জানা যায়, যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে দ্রুত আটক করা হয়। পরবর্তীতে সকল আসামিকে জয়দেবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ঘটনায় এলাকাবাসী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন পরে তারা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৩১ মে ২০২৫ ০১:০৮ পিএম
মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় একই পরিবারের ৭ জন আহত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) রাত প্রায় পৌনে দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে দেশীয় ধারালো অস্ত্র। ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তারা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের নাম—স্বপন, সাব্বির, রাব্বি, কাসেম, আফজাল, ফাতেমা বেগম ও মামুন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে বাসার সামনে দুই কিশোরকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে রাব্বি নামের এক ব্যক্তি তাদের পরিচয় জানতে চান। এতে কিশোরদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র দল এসে প্রথমে রাব্বিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে আসা স্বজনদের ওপরও হামলা চালানো হয়। তারা বাসার ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে একে সাতজনকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।আহত আফজাল হোসেন বলেন, “আমরা রাতের দিকে বাড়ির সামনে বসে ছিলাম। দুই কিশোর সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই তাদের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার হাতের রগ কেটে গেছে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। আমার ভাই স্বপনের অবস্থা সংকটাপন্ন।”ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফাতেমা বেগম জানান, “প্রতিদিনের মতো রাতে জেগে ওয়াসার পানি সংগ্রহ করছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল যুবক রাব্বিকে কুপাচ্ছে। তাকে বাঁচাতে গেলে আমরাও আহত হই।”এ ঘটনায় তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।ভোরের আকাশ//হ.র