ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫ ০৯:১৬ পিএম
জোড়া বামন তারাকে প্রদক্ষিণ করা গ্রহের খোঁজ
এক সময় মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে রাতের আকাশে দেখা বস্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে ভেবেছে। বিংশ শতাব্দীতে রকেটের বিকাশ এবং ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, যন্ত্র, প্রাণী এবং তারপর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে মানুষকে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। তবে প্রযুক্তি এই অর্জনগুলিকে সম্ভব করার অনেক আগেই, মহাকাশ অনুসন্ধান ইতিমধ্যেই অনেক মানুষের মন কেড়ে নিয়েছিল। কিন্ত থেমে নেই মহাকাশ অনুসন্ধান। তারই ধারাবাহিকতায় এবার, এক জোড়া যমজ বাদামি বামন তারাকে প্রদক্ষিণ করা বিরল এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন খোঁজ পাওয়া এই গ্রহের নাম ২এম১৫১০(এবি)বি। ভিন্ন ধরনের গ্রহটি যমজ বাদামি বামন নক্ষত্রের চারপাশে ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রদক্ষিণ করছে। নতুন এই গ্রহের খোঁজ মহাবিশ্বে গ্রহ কীভাবে তৈরি হয় ও কক্ষপথে আবর্তন করে, তার সম্পর্কে দীর্ঘদিনের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। গ্রহটি যে যমজ বামন তারার চারপাশে ঘুরছে, সেগুলো বাইনারি হিসেবে পরিচিত। এসব তারা একে অপরকে এমনভাবে প্রদক্ষিণ করছে, যা পৃথিবী থেকে মনে হয় একে অপরের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। গ্রহটির কক্ষপথ তার নক্ষত্রের কক্ষপথের সমান লম্বা। এই বিরল গ্রহটিই প্রথম গ্রহ, যা একটি মেরু কক্ষপথ অনুসরণ করছে।
এই দুটি বাদামি বামনের ওজন প্রায় সমান। প্রতিটির ওজন সূর্যের ভরের মাত্র ৩ শতাংশ। কক্ষপথে আবর্তন করতে প্রায় ২১ দিন সময় নেয়। এই জোড়া বামন আরেকটি তৃতীয় বাদামি বামন থেকে প্রায় ২৫০ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিট দূরে অবস্থিত। দুটি বাদামি বামন তারার নাম ২এমএসএস জে১৫১০৪৭৮৬-২৮১৮১৭৪। ২০১৮ সালে বামন তারাগুলো আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তিন বামনের উপস্থিতির জন্য পুরো অবস্থা সেখানে বেশ জটিল। সিস্টেমটি আরগাস মুভিং গ্রুপের অন্তর্গত, প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ বছর পুরোনো তরুণ নক্ষত্রের একটি কাঠামো। বাদামি বামন সিস্টেম বিজ্ঞানীদের নতুন বস্তুর বিবর্তনের মডেল পরীক্ষা করতে অনেক তথ্য দিচ্ছে।
আমরা লক্ষ করেছি যে দুটি বাদামি বামনের কক্ষপথ একে অপরের চারপাশে সূক্ষ্মভাবে প্রভাবিত করছে। সাধারণত গ্রহ তাদের হোস্ট নক্ষত্রের মতো প্রায় একই সমতলে প্রদক্ষিণ করে। ১৬টি পরিচিত সার্কামবাইনারি ধরনের গ্রহের বেশির ভাগই দুটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে নতুন গ্রহটি তারার কক্ষপথ খাঁড়াভাবে প্রদক্ষিণ করছে। বললেন বিজ্ঞানী ললিতা সাইরাম।
সূত্র: দ্য ব্রাইটার সাইড
ভোরের আকাশ/এসআই