স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৫৭ পিএম
সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে আজ তামিম ইকবাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। শুধু তিনি নন, তার সঙ্গে আরও ১৪ জন হেভিওয়েট প্রার্থীও সরে দাঁড়িয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। সকালেই শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে নিজের প্রার্থিতা বাতিল করেন তামিম ইকবাল। প্রক্রিয়া শেষ করে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
ক্ষুব্ধ তামিম বলেন, দেখুন, আরও অনেকেই নাম প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝানো হয়েছে বা চাপ সৃষ্টি করে থামানো হয়েছে। আজ যদি ১৫ জনও নাম সরিয়ে নেন তো সেটা একটা বড় নম্বর। আমি কোনো একসময়ে হয়ত আপনাদের সাথে এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব যে কি হয়েছে আর কি হয়নি।
নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে সরাসরি আক্রমণ করে তামিম বলেন, একটা জিনিসই বলব যে যারা বোর্ডে আছেন, তারা যদি এভাবে নির্বাচন করতে চান, করতে পারেন। জিততেও পারেন এভাবে। তবে আজকে ক্রিকেট ১০০% হেরে গেছে, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
বিসিবির নির্বাচনকে ‘ফিক্সিং’ বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বড় গলায় বলেন, বাংলাদেশে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। তারপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করার চেষ্টা করবেন।
তার অভিযোগ, পুরো নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইচ্ছেমতো নিয়ম বদল করা হয়েছে, আমার এরচেয়ে বেশি কিছু বলার নেই। সবাই স্পষ্ট জানে যে কারা কারা কী করেছে, কী ধরনের হস্তক্ষেপ হয়েছে। নিয়ম নিজেদের ইচ্ছামতো, সুবিধামতো পরিবর্তন করা হয়েছে। এটার সাথে কারা কারা জড়িত তা স্পষ্ট। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে আমি বিস্তারিত বলব এটা নিয়ে।
শুধু তাই নয়, এ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দেন তামিম, এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে গেল। এই নির্বাচনের সাথে যারা আছেন, তারাও বুঝছেন যে কোনোদিক থেকেই এটা নির্বাচন ছিল না।
নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম বলেন, আমিসহ প্রায় ১৪-১৫ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। এর পেছনের কারণ পরিষ্কার। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি নির্বাচন কোনদিকে যাচ্ছে সেটা আপনারা বুঝতে পারছেন। এটা কোনো সুন্দর প্রক্রিয়া না।
তিনি আরও বলেন, যখন যা মনে হয়েছে, তাই করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এ জিনিসটা কোনোভাবেই মানায় না। যারা সরে দাঁড়িয়েছেন তারা সবাই শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। এটা আমাদের প্রতিবাদ। আমরা কোনোভাবেই এই নোংরামির অংশ হতে পারি না। দিনের শেষে মনে হয়েছে এর সঙ্গে থাকা সম্ভব না।
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনে তামিমসহ ১৫ প্রার্থী সরে যাওয়ায় সেই নির্বাচনের আকর্ষণ কতোটা থাকল তানিয়ে প্রশ্ন আছে!
ভোরের আকাশ/তা.কা